কুরআন ও হাদিসের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:)

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪

কুরআন ও হাদিসের আলোকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:)

মেহেদী হাসান রাসেল |

আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন মজিদের নিম্নলিখিত আয়াতে উল্লেখ করেছেন,
وَ اِذۡ اَخَذَ اللّٰهُ مِیۡثَاقَالنَّبِیّٖنَ لَمَاۤ اٰتَیۡتُكُمۡ مِّنۡ كِتٰبٍ وَّحِكۡمَۃٍ ثُمَّ جَآءَكُمۡ رَسُوۡلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمۡ لَتُؤۡمِنُنَّ بِهٖ وَ لَتَنۡصُرُنَّهٗ ؕ قَالَ ءَاَقۡرَرۡتُمۡ وَ اَخَذۡتُمۡ عَلٰی ذٰلِكُمۡ اِصۡرِیۡ ؕ قَالُوۡۤا اَقۡرَرۡنَا ؕ قَالَ فَاشۡهَدُوۡا وَ اَنَا مَعَكُمۡ مِّنَ الشّٰهِدِیۡنَ ﴿۸۱﴾
আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ নবীদের অঙ্গীকার নিয়েছেন- আমি তোমাদেরকে যে কিতাব ও হিকমাত দিয়েছি, অতঃপর তোমাদের সাথে যা আছে তা সত্যায়নকারীরূপে একজন রাসূল তোমাদের কাছে আসবে- তখন অবশ্যই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমরা কি স্বীকার করেছ এবং এর উপর আমার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছ’? তারা বলল, ‘আমরা স্বীকার করলাম’। আল্লাহ বললেন, ‘তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম’।
আল্লাহ আরেক জায়গায় বলেন
وَ اِذۡ قَالَ عِیۡسَی ابۡنُمَرۡیَمَ یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اِنِّیۡ رَسُوۡلُاللّٰهِ اِلَیۡكُمۡ مُّصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیَّ مِنَ التَّوۡرٰىۃِ وَ مُبَشِّرًۢا بِرَسُوۡلٍ یَّاۡتِیۡ مِنۡۢ بَعۡدِی اسۡمُهٗۤ اَحۡمَدُ ؕ فَلَمَّا جَآءَهُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ قَالُوۡا هٰذَا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۶﴾
আর যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল, ‘হে বনী ইসরাঈল, নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল। আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমদ’। অতঃপর সে যখন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বলল, ‘এটাতো স্পষ্ট যাদু’।
এভাবে কুরআন থেকে দলিল দিতে গেলে লেখা অনেক অনেক বড় হয়ে যাবে তাই এবার হাদিসের দিকে যাই সংক্ষিপ্ত আকারে
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারীই শরহে শিফা গ্রন্থে লিখেন-

قوله كنت نبيا وآدم بين الماء والطين وفي رواية وآدم منجدل في طينته

-‘‘রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (আ.) মাটি ও পানির সাথে মিশ্রিত। অন্য বর্ণনায় এসেছে, আদম (আ.) যখন মাটির খামিরে ছিলেন তখন আমি নবী ছিলাম।’’ (আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৯৭ পৃ.)

❏ অপরদিকে আল্লামা আজলূনী (رحمة الله) উক্ত হাদিস সম্পর্কে বলেন-

لكن قال العلقمي في شرح الجامع الصغير حديث صحيح.

-‘‘তবে শরহে জামেউস সগীর গ্রন্থে আল্লামা আলকামা (رحمة الله) বলেন, হাদিসটি সহীহ বা বিশুদ্ধ।’’ ৩১৩

৩১৩. আল্লামা আজলূনী : কাশফুল খাফা : ২/১২০ পৃ. হা/২০১৫, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত।

দেখুন সাখাভী (رحمة الله) উক্ত হাদিসের শব্দ নিয়ে মন্তব্য করেছেন উক্ত হাদিসের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে নয় এ হল তার একক মতামত। মূল শব্দ হলো-

كُنْتُ نَبِيًّا وَآدَمُ بَيْنَ الْمَاءِ الطِّينِ

উক্ত হাদিসের দুটি শব্দ الْمَاءِ الطِّينِ নিয়ে মুহাদ্দিসগণ মন্তব্য করেছেন কিন্তু الطين মাটি শব্দের সমর্থনে নির্ভরযোগ্য সূত্রে হাদিস পাওয়া যায় যেমন,

❏ ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-

عَنِ الصُّنَابِحِيِّ قَالَ: قَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَتَى جُعِلْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ مُنْجَدِلٌ فِي الطِّينِ

-‘‘তাবেয়ী ছুনাবেহী (رحمة الله) হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর কাছে জানতে চাওয়া হল আপনি কখন নবী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন? রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করলেন : আদম (আ.) যখন মাটি ও দেহের খামিরে ছিলেন।’’ ৩১৪

৩১৪. ইমাম আবু নুয়াইম : হিলইয়াতুল আউলিয়া : ৭/১২২ ও ৯৫৩ পৃ., ইমাম তাবরানী : মুজামুল কাবীর : ২২/৩৩৩ পৃ: হা/৮৩৫, ইবনে কাসীর : বেদায়া ওয়ান নেহায়া : ২/৩০৭ ও ২/৩২০ পৃ., সূয়তী : খাসায়েসুল কোবরা : ১/৮ পৃ. এবং আল-হাভী লিল ফাতওয়া : ২/১০০ পৃ., ইমাম তাবরানী, মুসনাদেশ শামীয়্যীন : ২/৯৮-৯৯ পৃ হা/৯৮৪, ইবনে কাসির, সিরাতে নববিয়্যাহ, ১/৩১৭ পৃ., ইমাম মুকরিযী, ইমতাউল আসমা, ৩/১৬৯ পৃ., ইমাম ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১০/২৭৪ পৃ.

পর্যালোচনা:

✧ ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) বলেন, এ হাদিসটি (مُرْسل) মুরসাল শক্তিশালী, তার কারণ হলো তাবেয়ী ছুনাবেহী (رحمة الله)-এর সাথে হযরত উমর (رضي الله عنه)-এর সাক্ষাত ঘটেনি।

❏ ইমাম আবুল কাসেম জুনায়েদ বাজলী (ওফাত. ৪১৪ হি.) সংকলন করেন-

عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى كُنْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: وَآدَمُ مُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ

-‘‘হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আপনি কখন থেকে নবী? তখন তিনি বললেন, যখন আদম (আ.) মাটির খামিরে অবস্থান করছিল।’’ (আল-ফাওয়াইদ, ১/২৪০ পৃ. হা/৫৮০)

❏ ইমাম ইবনে সা‘দ (رحمة الله) সংকলন করেন-

قَالَ: أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ عَاصِمٍ الْكِلابِيُّ. أَخْبَرَنَا أَبُو هِلالٍ. أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ أَنَّ رَجُلا سأل رسول الله. ص: مَتَى كُنْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: بَيْنَ الرُّوحِ وَالطِّينِ مِنْ آدَمَ

-‘‘তাবেয়ী মুতাররিফ বিন আব্দুল্লাহ ইবনে সাখ্খাইরী (رحمة الله) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আপনি কখন নবী হয়েছেন? তিনি বলেন, যখন হযরত আদম (আ.) মাটির খামির এবং রূহের মাঝা-মাঝি অবস্থায় ছিলেন।’’

(ইমাম ইবনে সা‘দ, আত-তবকাতুল কোবরা, ১/১১৮ পৃ., দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, কানযুল উম্মাল, ১১/৪৫০ পৃ. হা/৩২১১৫, ইমাম আবূ সা‘দ খরকুশী নিশাপুরী, শরফুল মোস্তফা, ১/২৯০ পৃ., ইমাম ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ২/২৯৩ পৃ.)

এ হাদিসটিও মুরসাল শক্তিশালী। তবে অনেকে ‘আবূ হেলাল’ কে অনেকে যঈফ বলতে চান, আমি বলবো,

✧ তার মূল নাম (محمد ابن سليم), ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) তার সম্পর্কে বলেছেন- وهو صدوق -‘‘তিনি সত্যবাদী ছিলেন।’’ (ইবনে হাজার আসকালানী, তাক্বরীবুত তাহযিব, ৪৮১ পৃ. ক্রমিক.৫৯২৩)

❏ ইমাম বায়হাকী ও ইমাম হাকেম (رحمة الله) সংকলন করেন-

عن عرباض ابن سَارِيَةَ صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ – ﷺ – قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ – ﷺ يَقُولُ: إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَخَاتَمُ النَّبِيِّينَ وَإِنَّ آدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ

-‘‘হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়া (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি তখনই আল্লাহর দরবারে সর্বশেষ নবী হিসেবে ছিলাম যখন হযরত আদম (আ.) মাটির দেহের খামিরে ছিলেন।’’

(ইমাম ইবনে সা‘দ, আত-তবকাতুল কোবরা, ১/১১৮ পৃ., ইমাম সুয়ূতি, আল-খাসায়েসুল কোবরা, ১/৭ পৃ.)

❏ অনুরূপ উক্ত শব্দের কাছাকাছি আরও হাদিস পাওয়া যায়-

عن جابر رضى الله عنه قال: أَنَّ رَجُلا سأل رسول الله. ص: مَتَى كُنْتَ نَبِيًّا؟ قَالَ: بَيْنَ الرُّوحِ وَالطِّينِ مِنْ آدَمَ

-‘‘হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) এর কাছে জানিতে চাইলেন, আপনি কখন হতে নবী হিসেবে মনোনীত? রাসূল (ﷺ) বলেন, আদম যখন রুহ এবং মাটির মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলেন।’’ ৩১৫

৩১৫. ইমাম ইবনে সাদ : আত্-তবকাতুল কোবরা : ১/১৪৮ পৃ., ইমাম তকী উদ্দিন সুবকী : তাজীমে মুনতাহা : ১৫ পৃ.

সুতরাং উক্ত হাদিস দ্বারা الطِّينِ শব্দের প্রমাণ পাওয়া গেল এখন বাকী রইলো الماء শব্দের ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণের ব্যাখ্যা।

❏ আল্লামা দিয়ার বকরী (رحمة الله) বর্ণনা করেন-

قال عليه الصلاة والسلام كنت نبيا وآدم بين الماء والطين

-‘‘রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (আ.) মাটি ও পানির সাথে মিশ্রিত।’’ (আল্লামা দিয়ার বকরী, তারিখুল খামিস, ১/১৯ পৃ.)

❏ ইমাম মুকরিযী (رحمة الله) সংকলন করেন-

وقال صلى اللَّه عليه وسلّم: كنت نبيا وآدم بين الماء والطين

-‘‘রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (আ.) মাটি ও পানির সাথে মিশ্রিত।’’

(ইমাম মিকরিযি, ইমতাউল আসমা, ৩/১১৯ পৃ.)

উপরের আলোচনা থেকে প্রমাণিত হল যে, এ বিষয় বস্তুটি সঠিক এবং শাওয়াহেদ থাকায় বিষয়টি শক্তিশালী বলে বুঝা যায়।
কুরআন মাজিদে কি ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের কোন নির্দেশনা আছে কি না
কুরআন মাজিদে উল্লেখ আল্লাহ
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআন শরীফের মধ্যে বলেন,

لَقَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ إِذْ بَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِّنْ أَنفُسِهِمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ (এহসান) করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে (মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে) নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। বস্তুতঃ তারা পূর্বে ছিল পথভ্রষ্ট। (সূরা আল ইমরান ১৬৪)

আল্লাহতালা পৃথিবীতে নবী (ﷺ) কে পাঠিয়েছেন এটা আল্লাহর বড় উপহার বা এহসান বা অনুগ্রহ । আর আল্লাহর এই বড় অনুগ্রহ মানুষ লাভ করেছে ১২ রবিউল আওয়ালে । তাই যারা আল্লাহর শোকর গুজার বান্দা এই দিনে খুশি হয়ে থাকেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করে থাকেন এবং নবী (ﷺ) র আগমনের খুশি প্রকাশ করেন ।
এবার আসা যাক নবী করিম (সঃ) কি মিলাদুন্নবী পালন করেছে কি না হাদিসে কি কোন প্রমান পাওয়া যায় কি না
صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الاِثْنَيْنِ فَقَالَ ‏ “‏ فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَىَّ ‏”‏ ‏.

আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ঐদিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং ঐদিন আমার উপর (কুরআন) নাযিল হয়েছে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৪০ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

নবী (ﷺ) নিজের জন্মদিনে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায়ার্থে রোজা রাখতেন ।

এ হাদীস দ্বারা স্পষ্ট বুঝা গেল নবীজির জন্মদিন পালন করা নিঃসন্দেহে জায়েজ । কারণ তিনি নিজেই পালন করেছেন ।
এবার আসা যাক কোন সাহাবী পালন করেছে কি না
হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা থেকে বর্ণিত হাদীস-

عَنْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِیَ اللّٰہُ عَنْہُمَا کَانَ یُحَدِّثُ ذَاتَ یَوْمٍ فِیْ بَیْتِہٖ وَقَاءِعَ وِلاَدَتِہٖ بِقَوْمٍ فَیَبْشِرُوْنَ وَیَحْمَدُوْنَ اِذْ جَآءَ النَّبِیُّ ﷺ وَقَالَ حَلَّتْ لَکُمْ شَفَاعَتِیْ (اَلتَّنْوِیْرُ فِیْ مَوْلِدِ الْبَشِیْرِ النَّذِیْرِ لِاِبْنِ دَحْیَۃَ)

অর্থাৎ ‘‘একদিন তিনি (হযরত ইবনে আব্বাস) কিছু লোক নিয়ে নিজ ঘরে রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম-বৃত্তান্ত আলোচনা করে আনন্দ উৎসব করছিলেন এবং তাঁর প্রশংসাবলী আলোচনাসহ দুরূদ শরীফ পাঠ ও সালাম পেশ করছিলেন।

এমন সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সেখানে উপস্থিত হয়ে এটা দেখে বললেন, ‘‘তোমাদের সকলের জন্য আমার শাফা‘আত অবধারিত হয়ে গেলো।’’ [ইবনে দাহ্ইয়া কৃত আত্-তানভীর ফী মওলেদী বশীরিন নাযীর ৬০৪ হিজরী]
আর একটি কথা পৃথিবীতে সবকিছুর মিলাদ বা জন্ম আছে একমাত্র মিলাদ বা জন্ম নাই আল্লাহর তার দলিল হলো সুরা ইখলাস সেখানে বলা হয়েছে আল্লাহ কারোর থেকে জন্ম নেন নি এবং কাউকে জন্ম দেন নি এখন যারা নবীর মিলাদ স্বীকার করেন না তারা কি শিরক করতেছেন না কারন যেটা শুধুই আল্লাহর জন্য খাস একমাত্র আল্লাহর মিলাদ নাই আর সবার মিলাদ আছে।
আর যারা মিলাদুন্নবী (সঃ) কে অস্বীকার করবে পক্ষান্তরে তারা কুরআন মাজিদকেই অস্বীকার করবে। মিলাদুন্নবী (সঃ) পালনের পদ্ধতি ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু তা নির্ধারন করা যাবে ইযমা এবং কিয়াসের উপর ভিত্তি করে আর এই ব্যপারে ইযমা এবং কিয়াস পূর্বে নির্ধারিত। এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই।