সিলেট ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে আমাদের চারপাশ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব খুব দ্রুত আমাদের নিয়ে যাচ্ছে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের দিকে। পরিবর্তিত সেই সময় সাফল্য লাভের জন্য অর্জন করতে হবে প্রয়োজনীয় দক্ষতা। গবেষকরা এই দক্ষতাগুলোর নাম দিয়েছেন সফট স্কিল বা ব্যক্তিত্বনির্ভর দক্ষতা। এমন দশটি দক্ষতা নিয়ে নিম্নে তুলে ধরা হলো:
যোগাযোগ দক্ষতা
যেকোনো পেশায় কিংবা পরিস্থিতিতে যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। পড়াশোনা, সামাজিক অনুষ্ঠানে, পেশাগত কাজে এমনকি ব্যক্তিগত জীবনে-সফলতার অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি হলো যোগাযোগে দক্ষ হয়ে ওঠা। একজন ব্যক্তির যদি তার আইডিয়া সুন্দর ও সবার বোধগম্যরূপে প্রকাশ করতে না পারে, যদি তার দলের কর্মীদের সঙ্গে, ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে এবং ক্রেতার সঙ্গে সুন্দরভাবে ভাবের আদান-প্রদান করতে না পারে তাহলে সে জীবনের কোনো পর্যায়েই সাফল্য লাভ করতে পারবে না।
নেতৃত্বদানের দক্ষতা
যাদের মধ্যে নেতৃত্বদানের সহজাত প্রতিভা থাকে তারা খুব সহজেই সফলতা লাভ করেন। অন্যরা তাদের বিশ্বাস করেন। তারা অগ্রবর্তী হয়ে নতুন বিষয়, কাজ ও পদক্ষেপকে আলিঙ্গন করেন ফলে তাদের সফলতাও আসে তুলনামূলকভাবে আগে। দ্বিধা আপনার জীবনের সব অর্জনকে ধীর করে দেবে। তাই দ্বিধা ঝেড়ে অর্জন করতে হবে নেতৃত্বদানের দক্ষতা। যে ব্যক্তি সহকর্মীদের উৎসাহিত করতে পারে, সিদ্ধান্তের সপক্ষে যুক্তি প্রয়োগ করে সবার সম্মতি নিতে পারে, অন্যদের মনোভাব বুঝে কাজ করতে পারে, সামনে থেকে কাজে অংশগ্রহণ করে কাজকে এগিয়ে নিতে পারে, এমন ব্যক্তিকেই মানুষ নেতা হিসেবে পছন্দ করে এবং তার অধীনে কাজ করতে পছন্দ করে।
সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা
সময় নির্দিষ্ট কিন্তু কাজ অফুরন্ত। তাই সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত। অল্প সময়ে অধিক কাজ করার জন্য কাজ দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু একজন মানুষ যতই দক্ষ হোক না কেন, সেসব কাজ নির্দিষ্ট সময়ে করতে পারবে না যদি কাজের তুলনায় সময় অল্প হয়। এ জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হয়। যে ব্যক্তি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে পারে, কাজ বুঝে কাজের সময় নির্ধারণ করতে পারে এবং সেই নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারে এমন মানুষের ওপর সবাই নির্ভর করে।
সমস্যা সমাধানে দক্ষতা
জগতে সমস্যা অফুরন্ত আর সমাধান নিদির্ষ্ট নয়। তাই সৃজনশীল পদ্ধতিতে যে ব্যক্তি অল্প সময়ে এবং ন্যূনতম বিড়ম্বনায় সমস্যার সমাধান করতে পারে তার সাফল্য সবচেয়ে বেশি। সমস্যা সমাধানে দক্ষ হওয়ার জন্য অন্যের সহযোগিতা করার মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে বিভিন্ন পরিস্থিতির ব্যক্তি মুখোমুখি হয় এবং সমস্যা সমাধানে দক্ষ হয়ে ওঠে।
প্রযুক্তিগত দক্ষতা
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। এরপর সময়ও চলবে প্রযুক্তির সহায়তায়। তাই যেকোনো কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হবে প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে সেই ব্যক্তি সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। তাই তুমি যে পেশায় যাওয়ার কথা ভাব না কেন প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।
আবেগিক বুদ্ধিমত্তা
আগে সেই ব্যক্তিকে বুদ্ধিমান হিসেবে বিবেচনা করা হতো যার আইকিউ বেশি। কিন্তু চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে যে ব্যক্তির আবেগিক বুদ্ধিমত্তা বেশি অর্থাৎ সামনের ব্যক্তির আবেগ অনুযায়ী যিনি ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি বেশি বুদ্ধিমান হিসেবে বিবেচিত হন। পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের সময়টিতেও তারাই এগিয়ে থাকবেন। তাই নিজের আবেগিক বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হয়।
সমন্বয় ও দলীয় কাজে দক্ষতা
কোনো মানুষ একা যেমন বাঁচতে পারে না তেমনি একা বড় কোনো কাজও করতে পারে না। তাই নিজের লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের প্রয়োজন হয় অন্যের সহযোগিতার। কিন্তু অপর ব্যক্তিও বা কেন তাকে সহযোগিতা করবেন শুধু শুধু? তাই দুজনের লক্ষ্যের সমন্বয় করে দল গঠন করে একত্রে কাজ করতে হয়। যে ব্যক্তির অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে দল গঠন করার এবং দলীয় কাজে দক্ষতা বেশি আছে সফলতা তারই অর্জিত হয় বেশি।
বিশ্লেষণাত্মক চিন্তার দক্ষতা
যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে নানা দিক বিবেচনা করতে হয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় বিশ্লেষণাত্মক চিন্তায় দক্ষতা। তাই ছোটবেলা থেকেই নানা ধরনের বই পড়ে, বিতর্কে অংশ নিয়ে এই দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।
ক্রমাগত শেখার দক্ষতা
অনেকেই নির্দিষ্ট সময় পরে আর নতুন কিছু শিখতে চান না। তারা নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন না। অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে পারেন না।
তাই দীর্ঘমেয়াদি সফলতা চাইলে ক্রমাগত শেখার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
.
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D