সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ : অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ১৫ শতাংশ ঘোষণা, বাজার দর অনুসারে মজুরি বৃদ্ধি করে নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ, কারখানা ভিত্তিক রেশন ব্যবস্থা চালু এবং ১৮ দফা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর ২০২৪) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে গার্মেন্টস টিইউসির উপদেষ্টা আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন, শ্রমিকদের সীমাহীন আত্মত্যাগ ও জীবনদানের মধ্য দিয়ে দেশে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তার সুফল থেকে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। মজুরি বৃদ্ধির দাবি করে গত বছর অক্টোবর মাসে পতিত স্বৈরাচারের গুলিতে চারজন শ্রমিকনেতা প্রাণ হারিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানের পরও ন্যায্য দাবি উত্থাপন করে এখন পর্যন্ত দুইজন শ্রমিক রাষ্ট্র বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাজার দরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হারে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করা না হলে সেটা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ বলেন, শ্রমিকরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দিকে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপে শ্রমিকের প্রত্যাশার প্রতিফলন দেখতে চাই। সরকার তাদের পছন্দমতো লোকদের দিয়ে মজুরি বৃদ্ধি ও শ্রম সংস্কার বিষয়ক দুটি পৃথক কমিটি করেছে। আমরা আশা করি, শ্রমিকদের সঙ্গে অতীতের ন্যায় কোনো প্রহসন সংঘটিত হবে না।
সংগঠনের সহ-সভাপতি শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার বলেন, শ্রমিকের জীবনের সংকটকে আড়াল করে রাখার কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। শ্রমিকের দাবির মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজা পুরাতন স্বৈরাচারী অপকৌশল। সরকারকে দায়িত্ববোধ থেকে শ্রমিকের সমস্যার সুরাহা করতে হবে। শ্রমিকরাও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সব দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী চক্রান্ত মোকাবিলা করবে। পুরাতন আমলাতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্র নতুন করে জেঁকে বসেছে, এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা সাদেকুর রহমান শামীম বলেন, সরকার টিসিবির কার্ড বিতরণের কথা বলছে। অতীতেও আমরা দেখেছি কারখানা ভিত্তিক রেশন ব্যবস্থা চালুর কথা বলা হলেও কোনো কার্যকর উদ্যোগ গৃহীত হয়নি। অবিলম্বে কারখানা ভিত্তিক রেশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। মালিকরা বাৎসরিক ইনক্রিমেন্টের হার ১ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে শ্রমিকদের উসকানি দিচ্ছে। মালিকপক্ষের এ উসকানির ফলে কোনো অঘটন ঘটলে তার দায়দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, সহ সভাপতি জিয়াউল কবীর খোকন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর মঈন, কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কদমফুল ফোয়ারা ঘুরে নগরীর বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D