রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের হারিয়ে যাওয়া রিপোর্ট ‘মহেঞ্জোদারো’: অনুবাদে দীপান ভট্টাচার্য

প্রকাশিত: ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫

রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের হারিয়ে যাওয়া রিপোর্ট ‘মহেঞ্জোদারো’: অনুবাদে দীপান ভট্টাচার্য

বুক রিভিউ বিষয়ক প্রতিবেদক | কলকাতা (ভারত), ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ : “মহেঞ্জোদারো আবিষ্কারের ঘোষণার শত বর্ষ চলছে। রাখালদাস বন্দোপাধ্যায়ের হাতে মহেঞ্জোদারো খনন হলেও আপনারা জানেন যে খুব চতুরতার সঙ্গে তাঁকে সেই আবিষ্কারের কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি।

মহেঞ্জোদারো খননের সেই ঐতিহাসিক রিপোর্ট গায়েব করে দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে সেটি তাঁকে ফেরত পাঠানো হলেও তিনি তখন মৃত্যুশয্যায়। বোধহয় তিনি সেটি হাতেও পাননি। তাঁকে বলা হয়েছিল যে তিনি ইচ্ছে করলে সে রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারেন কিন্তু করবেন কী করে, রিপোর্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ছবি যেগুলি রিপোর্টের সঙ্গে কখনও তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়নি।

আমরা বহুদিন ধরে রাখালদাসের দুঃখ অনুভব করলেও আজ পর্যন্ত কেউ সেই রিপোর্টটিকে নিয়ে তার ছবিগুলি জোগাড় করার সাহস দেখাননি। রিপোর্টের বাংলা অনুবাদ তো বহুদূরের ব্যাপার।

যাইহোক, ছোট করে বলি যে আমাদের সে অভাব ঘুচতে চলেছে। মহেঞ্জোদারোর প্রথম খননের রাখালদাসের রিপোর্টের বাংলা অনুবাদ করেছি এবং বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁর ছবিগুলি (বলতে বাধা নেই যে মার্শাল তাঁকে credit না দিয়েই কিছু ব্যবহার করেছিলেন) এবং একই ধরণের ছবি অন্যান্য খনন রিপোর্ট থেকে নিয়ে রাখালদাসের রিপোর্টটিকে যথার্থভাবে পুনর্নির্মাণ করেছি। যেখানে ছবি পাইনি সেখানে মহেঞ্জোদারো থেকে ছবি তুলে আনিয়ে বইতে দিয়েছি। রাখালদাসের খননের সময়ে সিন্ধু সভ্যতা নিয়ে জানার পরিধি ছিল অতি ক্ষুদ্র আর তাই অনুবাদের সঙ্গে বইতে পাবেন দীর্ঘ টীকা যা আপনাকে পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করবে। এরসঙ্গে থাকবে রাখালদাসের মূল রিপোর্টের ফ্যাক্সিমিলি।

বিবিসিকে দেওয়া আমার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে আপনারা এই বইয়ের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে পড়েছেন। আনন্দের কথা হল যে আনন্দ পাবলিসার্স -এর সিগনেট প্রেস থেকে বইমেলাতে আসতে চলেছে “মহেঞ্জোদারো: হারিয়ে যাওয়া রিপোর্ট”। মুদ্রিত মূল্য ₹৮০০. বইটি মেলায় পাবেন আনন্দ-র স্টল ২৪২ এবং সিগনেটের ২৪৮ নং স্টলে।

ননীগোপাল মজুমদারের রচনাবলী প্রকাশিত হয়েছে, আর এবারে রাখালদাসের মহেঞ্জোদারো রিপোর্ট। সিন্ধু নদে আমার তর্পণ পুরো হল।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ