কুলাউড়া ইউএনওর উদ্যোগ: শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বেতন-ফি জমা দেবে ব্যাংকে

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫

কুলাউড়া ইউএনওর উদ্যোগ: শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বেতন-ফি জমা দেবে ব্যাংকে

নিজস্ব প্রতিবেদক | কুলাউড়া (মৌলভীবাজার), ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ জন্য অনলাইন ব্যাংকিংসেবা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফিসহ বিভিন্ন খাতের টাকা এখন থেকে আর নগদ লেনদেন হবে না। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে টাকা ব্যাংকে জমা দিতে পারবে।

সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিনের উদ্যোগে উপজেলার সব মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ-প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করার পর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সিদ্ধান্তের পর সোনালী ব্যাংকের অনলাইন ‘সোনালী সেবা’ এর মাধ্যমে যাবতীয় বেতন-ফি, চার্জ আদায়ের জন্য সোনালী ব্যাংক পিএলসির পক্ষ থেকে অফার লেটার শিক্ষপ্রতিষ্ঠানপ্রধানদের কাছে পাঠানো হয়। পরে সোনালী ব্যাংক পিএলসি কুলাউড়া শাখায় ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যাংকের চুক্তি সম্পাদন হয়।

বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হক বলেন, ‘ইউএনও স্যারের এই উদ্যোগটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

কুলাউড়ায় সর্বপ্রথম আমাদের প্রতিষ্ঠান এই অনলাইন সেবার আওতায় এসেছে। এই সেবার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে তাদের ইউনিক আইডি ও প্রতিষ্ঠানের ইআইএন দিয়ে ব্যাংকের সফটওয়্যারে প্রবেশ করে অনলাইনে বিকাশ, নগদ, উপায়, ডাচবাংলাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মাসিক বেতন, ভর্তি, সেশন ফি, পরীক্ষা ফিসহ চার্জ জমা দিতে পারবে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ এসেছে। গত নভেম্বর মাসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নীতিমালা অনুসারে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠকে বসি।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন, ফি, চার্জসহ প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি স্কুলে জমা না দিয়ে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী ছিল তাদেরকে সোনালী ব্যাংক অফার লেটার দিয়েছে। তারপর স্কুলগুলো সম্মতি দিলে ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেবা চালু হয়েছে।

আশা করছি পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতির আওতায় আসবে। এতে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘কুলাউড়ার ইউএনওর উদ্যোগটি খুবই চমৎকার। এই উদ্যোগটি অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। জেলার সব উপজেলায়ও পদ্ধতিটি চালু করা হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ