মাওলানা কাউছার আহমেদ মিলন হত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২৫

মাওলানা কাউছার আহমেদ মিলন হত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক | লক্ষ্মীপুর, ০৯ জুন ২০২৫ : মাওলানা কাউছার আহমেদ মিলন হত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত। অন্যদিকে প্রেস ব্রিফিং করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

আজ সোমবার (৯ জুন ২০২৫) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষীপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে কেন্দ্রিয় শূরা সদস্য ও ঢাকা উত্তর মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদীরাই জামায়াত নেতা কাউছারকে হত্যা করেছে। যারা বিগত ৫ আগষ্ট পর থেকে নব্য ফ্যাসিবাদ শুরু করেছে তারাই আমার ভাই কাউছার আহমেদ মিলনকে হত্যা করেছে।
তিনি অবিলম্বে দেশে নব্য ফ্যাসিবাদী অপকর্ম বন্ধ না হলে, জনগণ আওয়ামীলীগের মতোই তাদের বিতাড়িত করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু নতুন করে কোন ব্যক্তি বা দল ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করুক এটা জনগণের প্রত্যাশা নয়। তাই অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি করছি। আইন সবার জন্য সমান। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই। তাই আমরা আশা করবো অপরাধীদের ব্যাপারে বিএনপিও দলীয়ভাবে ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং মজলুমের পাশে দাঁড়াবে।

সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ মিলন হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ফারুক হোসেন নুর নবী, সহকারী সেক্রেটারী ফারুক হোসেন নুর নবী, মাও: নাছির, পৌর আমির আবুল ফারাহ নিশানমহ বিভিন্ন ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

এর আগে লক্ষ্মীপুর শহরের আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেয়।

উল্লেখ যে, গত ৫ জুন জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদ মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এদিকে হত্যা সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা বিএনপি।

বিএনপির প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, লক্ষীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও লক্ষীপুর ২ আসনের সাংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির যুগ্মমহাসচিব ও লক্ষীপুর ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, লক্ষীপুর বিএনপির সদস্য সচিব ও লক্ষীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাহবুদ্দিন সাবু সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ।

উক্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের জের ধরেই রাজিবপুরে মাওলানা কাউছার মিলনের মৃত্যু।

আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেছেন, মাওলানা কাওছার মিলনের মৃত্যু হয়েছে এবং এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও লক্ষীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাহবুদ্দিন সাবু বলেছেন, মাওলানা কাওছার মিলনের মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দের অপেক্ষা করা দরকার ছিল। তার পূর্বেই বিএনপির উপর দায় চাপানো দু:খজনক।

 

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ