ইয়াতুন্নেসা রুমা ছাত্রমৈত্রীর এক সংগ্রামী নেতৃত্ব ও সংগঠক

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২০

ইয়াতুন্নেসা রুমা ছাত্রমৈত্রীর এক সংগ্রামী নেতৃত্ব ও সংগঠক

ঢাকা, ১৩ জুলাই ২০২০: সমাজতন্ত্র অভিমুখী জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করার অঙ্গীকারবদ্ধ সর্বহারা শ্রমিক শ্রেণির এক বিপ্লবী একক রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি’র সহযোগী সংগঠন ও বিপ্লবেরও সহযোগী শক্তি ‘বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী’র ইয়াতুন্নেসা রুমা একজন উদীয়মান সংগ্রামী নেতৃত্ব ও সংগঠক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

বরিশালের বানারীপাড়ার মেয়ে ইয়াতুন্নেসা রুমা এখন বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি। বানারীপাড়ায় দাদার বাড়ি হলেও বরিশাল সদর থানার কড়াপুরে নানার বাড়িতে তার বেড়ে ওঠা।

কড়াপুর পপুলার হাইস্কুল থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করা রুমা, উচ্চ শিক্ষার জন্য চলে আসেন ঢাকায়। ঢাকা সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে এইএসসি পাশ করেন। একাদাশ শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকে শুরু হয় রুমার ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িত হওয়া। বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সকল মিছিল সংগ্রামে অগ্রভাগে দেখা গেছে রুমাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পল­বী শহীদ জিয়া কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স ভর্তি হন রুমা। ছাত্র রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হয়ে ওঠেন। অনার্স শেষ করে বর্তমানে ঢাকার মিরপুর ল কলেজে এলএলবি করছেন। বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রুমা।

করোনাকালে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষাথীদের পাশে দাড়িয়েছে ছাত্রমৈত্রী। গত ১৩ জুলাই সোমবার মেস ভাড়া মওকুফ ও শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি সহায়তার দাবীতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের মেয়রের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে ছাত্রমৈত্রী। ৬ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনলাইন শিক্ষার নামে প্রহসন বন্ধের দাবী তুলে ছাত্রমৈত্রী মানববন্ধন করে।

৪ জুলাই বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষাসহ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ছাত্রমৈত্রী। রাষ্ট্রয়াত্ত পাটকল বন্ধের প্রতিবাদেও চলতি মাসে আন্দোলনে মাঠে নামে ছাত্রমৈত্রী। করোনার প্রকোপ বাংলাদেশে শুরু হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে বিনামূল্যে তা বিতরণ করে ওয়াকার্স পার্টি ও ছাত্রমৈত্রী। রুমা নিজের উদ্যোগে ছাত্রমৈত্রীর নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রান্না করা খাবার বিতরণ করে গরীব মানুষের মাঝে। এছাড়া বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ঢাকা মহানগর শাখা কোভিড থেকে নিজে বাঁচতে এবং পরিবারকে বাঁচাতে সচেতনামূলক প্রচারণা চালায়। যার নেতৃত্বে ছিলেন ইয়াতুন্নেসা রুমা।

রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে শাহাবাগ আন্দোলন থেকে শুরু করে যে সকল আন্দোলনে ছাত্রমৈত্রী অংশ নিয়েছে সব কয়টি আন্দোলনের অগ্রভাগে অংশগ্রহণ করে ছাত্রমৈত্রী তথা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মূলধারার রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়া ইয়াতুন্নেসা রুমা। এক সংগ্রামী জীবনের অপর নাম রুমা। এসকল বিষয় নিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতিতে এসেছি চেতনাগত অবস্থান থেকে। দেশের গরীব মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করার জন্যই আমাদের রাজনীতি। আমরা ছাত্রমৈত্রীর প্রতিটি কর্মী মনে করি মানুষের জন্য কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকেই কাজ করি। ইয়াতুন্নেসা রুমা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পূর্নাঙ্গ সভ্য। স্রোত আবৃত্তি সংসদ নামের একটি অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও জড়িত রুমা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ