অদম্য ইচ্ছে শক্তি

প্রকাশিত: ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২১

অদম্য ইচ্ছে শক্তি

জান্নাতুন ফেরদৌস শান্তা || ঢাকা, ১২ মার্চ ২০২১ : এটা আবারও প্রমান হলো মানুষ চাইলেই তার অদম্য ইচ্ছে শক্তির বলে অনেক উপরে উঠতে পারে।তাসনুভা আনান শিশির তিনি একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আর উনি নিজেকে নারী হিসেবেই মানেন।যেখানে এ জাতের অন্য মানুষ গুলু হাতে তালি বাজিয়ে চাদাবাজি করে, মানুষকে বিরক্ত করে কখনো কখনো হয়রানি করে জীবিকা নির্বাহ করে। সেখানে অনেক যুদ্ধ করে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েও নিজের ইচ্ছে শক্তি নিয়ে এগিয়ে গেছেন সামনের দিকে।অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এটা যে খুব সহজ ছিল উনার জন্য তা কিন্তু নয়।অনেক কঠিন ছিল কারন আমাদের সমাজে একজন দর্শনকারী যতটা না কস্ট দেয় দর্শিতাকে তার থেকে অধিক কস্ট দেয় আমাদের সমাজের মানুষের মুখ এবং তাকে ছুরে দেওয়া প্রশ্ন কিভাবে হয়েছে, কখন হয়েছে, কেমনে হয়েছে।তাই তাসনুভার এই ইচ্ছে শক্তি দেখে এ জাতির আরও অনেক মেয়ে উৎসাহিত হবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। সকলের সামনে উপস্থিত হবে নিজের কুন না কুন পরিচয় নিয়ে। কারণ আমরা এদের দেখে অভ্যস্ত যে বাচ্চা হলেই চাদাবাজি, বিয়েবাড়িতে চাদাবাজি ইত্যাদি। কিন্তু মানুষ চাইলেই পারে যদিও সহজ নয় এটা আবার প্রমাণ করল তাসনভা আনান শিশির। আর খুব কম সময় কেউ একাকি উঠতে পারে তার জন্য প্রয়োজন হয় একটু সহায়তা বা ভালবাসার হাত। যেটা বৈশাখী চ্যানেল করে দেখিয়েছে অনেক অনেক ধন্যবাদ বৈশাখী চ্যানেলকে। কারণ এই প্রথম কুন ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠিকা।যেখানে আমরা ওদের দেখে ১০ হাত দূরে থাকি সেখানে উনারা এত বড় একটা প্লাটফর্ম দিয়েছে তাসনুভাকে।আসলে কুন অভাবি ব্যাক্তিকে ১ কেজি মাছ কিনে দেওয়ার চেয়ে ওকে ১ টা জাল কিনে দাও আর শিখিয়ে দাও কিভাবে মাছ মারতে হয়।তাহলে সে সারাজীবন মাছ মেরে খেতে পারবে। এই নারী দিবসে ট্রান্সজেন্ডার হয়েও নিজেকে প্রমান করে দেখিয়েছে। আর তাসনুভা নিজেকে নারী হিসেবে মানেন আর বলেন আমরা নারী আমরাও পারি। তাই আসলে অজুহাত নয় কিছু করতে হলে এই তৃতীয় হাতটি কেটে ফেলতে হবে। যে যেই যায়গায়ই থাকিনা কেন সেই জায়গা থেকে কিছু করা সম্ভব সেটা ঘরে বসে করা যাবে বা পর্দা করেও করা যাবে।