শ্রীমঙ্গলে বধ্যভূমি ৭১-এ অভিবাদন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ১:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২১

শ্রীমঙ্গলে বধ্যভূমি ৭১-এ অভিবাদন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত

সৈয়দ আরমান জামী, বিশেষ প্রতিনিধি || শ্রীমঙ্গল, ২৬ মার্চ ২০২১ : শ্রীমঙ্গলে বধ্যভূমি ৭১-এ বিপ্লবী অভিবাদন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের গণহত্যায় নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ ২০২১) রাতে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে ‘বধ্যভূমি ৭১’- এর শহীদ বেদীতে ‘ব্যতিক্রম’ (তরুণ তরুণীদের একটি সমাজসেবা সংগঠন) -এর উদ্যোগে গণহত্যায় নিহত ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিপ্লবী অভিবাদন ও এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান; ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি দেওয়ান মাসুকুর রহমান, ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সাংবাদিক রূপক দত্ত চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপন দেব, ব্যতিক্রম এর সদস্য আনন্দ শংকর চৌধুরী, ৫২ টিভির প্রতিনিধি ও সাংবাদিক তিমির বনিক, শম্পা চৌধুরী, ব্যাতিক্রম এর সদস্য মৌসুমী নাগ, ব্যতিক্রম এর সদস্য অমিও দাশ, ব্যতিক্রম এর সদস্য শিমুল দাশ, সিপন ধর, শুভ চক্রবর্তী, ব্যতিক্রম এর সদস্য পর্ণাভ নাগ (সিক্ত) এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ব্যতিক্রম’ শ্রীমঙ্গল এর সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক পংকজ কুমার নাগ প্রমুখ।

‘ব্যতিক্রম’ এর সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুমার নাগ এর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় ২৫শে মার্চের “গণহত্যা দিবস” এর তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান; ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি দেওয়ান মাসুকুর রহমান।

ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ” মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ৩০ লক্ষ মানুষ পাকিস্তানিদের নির্মম গণহত্যার শিকার হয়েছেন। ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস। এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। ৫০ বছরেও ’৭১-এর নির্মম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলে নি। ৪৬ বছর পর গণহত্যার জাতীয় দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এসেছে ২০১৭ সালে। আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির সময় পার হয়ে গেছে আরো আগেই। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর তার স্বীকৃতি নিয়েছে আর্মেনিয়া। ফলে আমাদের এখন জোর দিতে হবে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে। কিন্তু তার জন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার তা চলছে ঢিলেতালে।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ