শিশুকাননের শিক্ষা পদ্ধতি শিশুদের বিকাশে কার্যকরী: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক

প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২৩

শিশুকাননের শিক্ষা পদ্ধতি শিশুদের বিকাশে কার্যকরী: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ২৩ জুলাই ২০২৩ : আলোয়-আলো প্রকল্পের আওতাধীন শিশুকাননগুলোতে যেভাবে খেলাধুলা, ছড়া, গান ও গল্পের মাধ্যমে যেভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেটি শিশুদের বিকাশের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের “আলোয়-আলো” প্রকল্পের কর্মএলাকায় দুইদিনব্যাপী নানা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাস এ মন্তব্য করেন।

এর আগে ২২ ও ২৩ জুলাই ২০২৩ তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার লাখাইছড়া ও মাজডিহি চা বাগানে আলোয়-আলো প্রকল্পের ইসিডি, প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

লাখাইছড়া চা বাগানের শিশুকানন ডিগডিগীয়াতে ড. উত্তম কুমার দাসকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন ওই বাগানের কিশোর-কিশোরী ও যুব ক্লাব।

সেখানে ৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের ছড়া, গান, গল্প ও খেলার কয়েকটি সেশন তিনি পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, শিশুকাননের ছন্দময় ও শৃঙ্খলিত কার্যক্রমে আমি মুগ্ধ হয়েছি।

এছাড়াও অতিথিরা মাজডিহি চা বাগানের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলোয়-আলো প্রকল্প কর্তৃক স্থাপিত মডেল লাইব্রেরী এবং কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে অতিথিরা শিশুদের সাথে আনন্দঘন সময় কাটান ও শিশুদের বিকাশের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।

পরিদর্শন শেষে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অতিথিরা আলোয়-আলো প্রকল্পের নানামুখী কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. উত্তম কুমার দাস বলেন, সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুরাই আমাদের আওতাভুক্ত। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে সকল শিশুর জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অচিরেই আলোয়-আলো প্রকল্পে কর্মরত ইসিডি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আমরা সম্প্রতি কিছু নতুন পলিসি নিয়ে কাজ করছি যাতে এসব শিশুরা উপকৃত হতে পারে। সরকার ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে চা বাগানের প্রান্তিক শিশুসহ সকল শিশুদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা হবে।

পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মদ মজুমদার, মৌলভীবাজারের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহেদা আক্তার, শ্রীমঙ্গলের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জ্যোতিষ রঞ্জন দাশ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. সুয়েব হোসেন চৌধুরী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অসীম কুমার কর, কমলগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম তালুকদার, আলোয়-আলো প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শরিফুল আলম, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, বিটিএস আলোয়-আলো প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. রুবাইয়াৎ ফেরদৌস, লিডার প্রকল্পের সমন্বয়কারী পারভেজ কৈরী, এমসিডার প্রধান নির্বাহী তহিরুল ইসলাম মিলন-সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ