খাদ্য ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে এশিয়াব্যাপী কর্মসূচী

প্রকাশিত: ১২:২৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৩

খাদ্য ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে এশিয়াব্যাপী কর্মসূচী

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ : আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর ২০২৩) ঢাকার কামরাঙ্গীরচর, শেখ জামাল হাই স্কুলের সামনে এশিয়াব্যাপি আয়োজনের অংশ হিসেবে খাদ্য ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে নাগরিক সমাবেশ ও নৌ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে।

Manual4 Ad Code

এশিয়া পিপলস্ মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি)’র আয়োজনে বাংলাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এ কর্মসূচীটি খদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে জোরদার, বৃহৎ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃষি-খাদ্যকে একচেটিয়াকরণে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এশিয়ার জনগণের উপর বিরুপ প্রভাব তুলে ধরতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একযোগে আয়োজিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ব্রতী, সিপিআরডি, বনলতা নারী সংস্থা, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ইকুইটি বিডি, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল ল’ থিংকার্স সোসাইটি, নিরাপদ চিকিৎসা চাই ও সচেতন নাগরিক সমাজ যৌথভাবে এ প্রোগ্রামটির আয়োজন করেছে।

Manual6 Ad Code

উক্ত আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, ইকুইটি বিডি’র নেটওয়ার্ক কো-কোঅর্ডিনেটর মোস্তফা কামাল আকন্দ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, গ্লোবাল ল’থিংকারস সোসাইটি’র প্রেসিডেন্ট রাওমান স্মিতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।

পৃথিবীব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়কে সামনে রেখে প্রত্যেক বছর পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। এ বছর অক্টোবরের ১৬ তরিখ অনুষ্ঠিত বিশ্ব খাদ্য দিবস ও ১৬-২০ অক্টোবর চলমান বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামকে কেন্দ্র করে এশিয়াব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে সমনে নিয়ে আসা সহ অত্র অঞ্চলের তীব্র খাদ্য সমস্যাকে তুলে ধরার জন্য বেশ কিছু দাবী সহ খাদ্য ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে এ কর্মসূচীটির আয়োজন করা হয়েছে।

এশিয়া মহাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ক্ষুধাপিড়িত অঞ্চল। পৃথিবীর মোট অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের অর্ধেকের বসবাস এশিয়ায়। খাদ্য, সার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য সরবারহ ব্যাহত হওয়ার প্রভাব পুরো বিশ্বে পড়লেও এশিয়াতে এর তীব্রতা চরমে পৌঁছেছে। এ অবস্থা তৈরীর পেছনে অন্যান্য কারণের মধ্যে অঞ্চলটির বিশ্ববাজার-নির্ভরতা ও অনেক বেশি নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসের কারণ অন্যতম। দাম বৃদ্ধির কারণে এশিয়ার ৭৮ মিলিয়ন মানুষ পুষ্টিকর খাবার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

Manual7 Ad Code

উক্ত সংকটের কারণ হিসেবে মুনাফা-নির্ভর, শিল্প-ভিত্তিক এবং বহুজাতিক কোম্পানির কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাকে দায়ী করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরণের রাজনৈতিক চাপ অথবা অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা ও প্রণোদনার কারণে পৃথিবীর দক্ষিণাঞ্চলের দেশ (গ্লোবাল সাউথ) ও এশিয়ার সরকারগুলো বিভিন্ন বৃহৎ কৃষি-খাদ্য ব্যবসার এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিজেদের জড়িত করতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে অসম ব্যবস্থার অধিনত হতে কুন্ঠিত হচ্ছে না।

এ প্রেক্ষাপটে আমরা এশিয়ার সরকারগুলোর প্রতি বৃহৎ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা থেকে ফিরে আসতে এবং জনমানুষের বিশেষ করে কৃষকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিকে প্রাথমিক গুরুত্ব হিসেবে গ্রহণের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবারহ নিশ্চিত করণের দাবী জানাচ্ছি।

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code