সিলেট ১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
কামাল আতাতুর্ক মিসেল | কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুমিল্লার সর্বস্তরের নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেদিনের সেই উত্তাল দিনগুলোকে মুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে কুমিল্লাবাসীকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার অভিযোগে হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন জেলা প্রশাসক এ কে এম সামসুল হক খান এবং পুলিশ সুপার মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ। তাঁরা মা, মাটি, বাঙালী সংস্কৃতি এবং বাঙালী সত্তাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতেন। বিবেকের দাসত্ববরণ না করে তাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশ ও লাল-সবুজের পতাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতার জন্য দেশমাতৃকার বেদিমূলে সগর্বে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।
তাঁরা দুজনই দেশের ব্যতিক্রমী বীর (জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার), যারা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে শহীদ হয়েছেন। মহান স্বাধীনতার এই মাসে তাঁদের প্রতি সকলের বিনম্র শ্রদ্ধা।
১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও ২১ দফার সংগ্রাম, ৬২’র শিক্ষার আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ছাত্রদের ১১ দফার আন্দোলন ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের সমন্বয় কমিটির একাংশের নেতৃত্বে পল্টনের বিশাল জনসভা থেকে ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা’র কর্মসূচি ও ঘোষণা প্রকাশ্যে উত্থাপন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও ১৯৭১ সালের ৯ মার্চ ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বাঙালির স্বাধীনতা আন্দলন ও বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তের প্রতি মজলুম জননেতা মওলানা অাব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একাত্মতা ঘোষণা, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (অন্তর্বর্তী সংবিধান প্রণয়ন), ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫২ বছর পূর্ণ হয়েছে।
বাঙালির স্বাধীনতা আন্দলন ও বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তের প্রতি মজলুম জননেতা মওলানা অাব্দুল হামিদ খান ভাসানীর একাত্মতা ঘোষণার পর জাতিগত নিপীড়ন-শোষণ-বৈষম্য-বঞ্চনার শিকার মুক্তিপাগল বাঙালি যুদ্ধের জন্য তৈরিই ছিলো বলা যায়।
১৯৭১ সালের ১ ও ২ জুন কলকাতার বেলেঘাটায় যুদ্ধরত কমিউনিস্ট ও বামপন্থী দল এবং গণসংগঠনসমূহ মিলিত হয়ে গঠন করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। এ সম্মেলনে গৃহীত ঘোষণাপত্র তখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকার করেই সমন্বয় কমিটি সরকারকে সহযোগিতাও যেমন করবে, তেমনি স্বতন্ত্রভাবেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করবে। এ সমন্বয় কমিটির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দল ছিল ন্যাপ (ভাসানী) ও ‘কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি’ যার নেতৃত্বে সারাদেশে ১৪টি সশস্ত্র ঘাটি এলাকা ছিল।
১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে জেলা প্রশাসক এ কে এম সামসুল হক খান (সিএসপি) পাকিস্তানি বাহিনীর সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে অগ্রিম সমন্বিত প্রতিরোধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ওই সময় তিনি তাঁর সরকারি অফিস ও বাসভবন ছেড়ে কুমিল্লা সার্কিট হাউসে অবস্থান নেন। এতে তৎকালীন পুলিশ সুপার শহীদ মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ কুমিল্লা সার্কিট হাউসে অবস্থান নেয়া জেলা প্রশাসক সামসুল হক খানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। যুদ্ধের শুরুতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ, ড. আব্দুস সাত্তার, অধ্যাপক খোরশেদ আলম এমসিএ এবং আহমেদ আলী এমসিএ প্রমুখকে সঙ্গে নিয়ে সামসুল হক খান কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। সামসুল হক খান সেদিন সরকারি কর্মকর্তাদের এক সভায় দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলেন- আমাদের দেশমাতৃকার জন্য সংগ্রাম করার সময় এসেছে। যদিও আমরা এই চরম ত্যাগের ফল ভোগ করতে পারব না। কিন্তু আমাদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য স্বর্ণদ্বার খুলে দেবে। সামসুল হক খান প্রশাসনে চাকরির প্রলোভন, সরকারি নীতি ও আদেশকে তুচ্ছ করে দেশপ্রেম এবং কর্তব্যবোধের শানিত চেতনায় বলীয়ান হয়ে বাঙালীর মহত্তম সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। তখন প্রশাসকের ভূমিকা ছেড়ে তিনি রাজনৈতিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তাঁর নির্দেশে কুমিল্লা সেনানিবাসে রেশন, বিদ্যুৎ, পানি ও যানবাহনের জন্য জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়।
একপর্যায়ে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফির নেতৃত্বে সেনাসদস্যরা পুলিশের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করতে গেলে পুলিশ সুপার মুন্সি কবির উদ্দিন আহমেদ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ছাড়া স্টোরের চাবি হস্তান্তর করতে অপারগতা জানান। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য স্থানীয় সামরিক আইন প্রশাসক ডেকে পাঠালে বেসামরিক প্রশাসনের জেলা প্রধান সামসুল হক খান তাতেও অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। তার এ আচরণে পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তারা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ কারণেই ক্ষিপ্ত পাকিস্তানি সেনারা ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর ময়নামতি সেনানিবাস থেকে শহরের পুলিশ লাইনে বর্বরোচিত হামলা চালায়। এরপর হানাদার বাহিনী কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব চালায়।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মেজর আগা ও ক্যাপ্টেন বোখারীর নেতৃত্বে সামসুল হক খান এবং পুলিশ সুপার মুন্সি কবির উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে সেনানিবাসের টর্চার সেলে বন্দী রেখে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে ৩০ মার্চ সেনানিবাসের ৪০ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্সের সামনে চোখ বেঁধে গুলি করে তাঁদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে তাদের অবস্থান ক্যান্টনমেন্টের কাছাকাছি হওয়ায় অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন কুমিল্লা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সংগঠিত স্মরণকালের ভয়াবহ গণহত্যার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সামসুল হক খানের খালাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষাবিদ ড. এ আর মল্লিক (তৎকালীন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য) টেলিফোনে তাকে বলেছিলেন, ‘আর্মিদের পেট্রোল ও রেশন বন্ধ করার পর তোমার ও এসপির কোন অবস্থাতেই ওখানে থাকা উচিত নয়। গ্রামের দিকে চলে যাও, পরে আমাদের সঙ্গে মিলিত হবে। তাকে অবস্থার গুরুত্বও বুঝিয়ে দেন। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, ‘মিয়া ভাই (ড. এ আর মল্লিক), কুমিল্লাতে একটি শক্ত অবরোধ ঘাঁটি তৈরি করেই আমি আসব। তার গাড়িচালকও তাকে বলেছিল, স্যার, চলুন আমরা বর্ডার পার হয়ে যাই। তখনও তার উত্তর ছিল, যদি চলে যাই তবে হানাদারদের বিরুদ্ধে কারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে? একাত্তরের ২৬ মার্চ সামসুল হক খান ও মুন্সি কবির উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করার পর তারা আর হানাদারদের বন্দীশিবির থেকে ফিরে আসেননি, ফিরবেন না কোন দিন। ১৯৭১-এর ১৩ জুন প্রখ্যাত সাংবাদিক এ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকায় কুমিল্লার গণহত্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। স্বাধীনতার পর এ্যান্থনি ম্যাসকারেনহাস বাংলাদেশ সফরে এলে ডিসি সাহেবের পরিবার তার সঙ্গে দেখা করে সামসুল হক খান সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসি ওয়াজ কট এ্যান্ড ল্যাটার অন শট।
শহীদ জেলা প্রশাসক এ কে এম সামসুল হক খান তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের আখতারাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা কলেজের ছাত্র ছিলেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন। পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেন। বাঙালী হওয়ার কারণে পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তাকে মেডিক্যালে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি কিছুদিন ভূগোল শাস্ত্রে অধ্যাপনা করার পর সিভিল সার্ভিসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং মেডিক্যাল পরীক্ষার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করে জয়ী হন। ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ তিনি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লার বর্তমান জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য শহীদ সামসুল হক খান ২০১০ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’-এ ভূষিত হন। তার নামে কুমিল্লা শহরের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বাংলোর ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ জেলা প্রশাসক সামসুল হক খান মঞ্চ। এ বীর শহীদের স্মরণে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতি ভাস্কর্য (আবক্ষ মূর্তি)। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতি বছর এ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনের ভাষণকক্ষটির নামও তার নামে করা হয়েছে।
শহীদ পুলিশ সুপার মুন্সি কবির উদ্দিন আহমেদ তিনি ১৯১৮ সালের ১ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কাটার বাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মুন্সি রইস উদ্দিন আহমেদ, মাতা মরহুমা সৈয়দা সৈয়দন নেসা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদ পেশাগত জীবনে সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য ১৯৬৭ সালে পুলিশ গোল্ড মেডেল (পিপিএম) লাভ করেন। ১৯৭০ সালের ১৮ আগস্ট তিনি কুমিল্লার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এ প্রসঙ্গে কুমিল্লার বর্তমান পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, ২০১৪ সালে শহীদ মুন্সী কবির উদ্দিন আহমেদকে স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর) ভূষিত করা হয়। তার নামে কুমিল্লা শহরের একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। তার স্মরণে পুলিশ সুপার কার্যালয় ক্যাম্পাসে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতি ভাস্কর্য (আবক্ষ মূর্তি)। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতি বছর এ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শহীদ হন আরও ৩০ জন পুলিশ সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ছাড়াও জেলা পুলিশের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, আরআই, পিআই, দারোগা, সহকারী দারোগা, সুবেদার ও হাবিলদারসহ ৩০ জন পুলিশ সদস্য নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন। তারা হলেন- কুমিল্লা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক প্রফুল্ল কুমার দে, আর আই এবিএম আব্দুল হালিম, মুরাদনগরের পিআই যগেন্দ্র লাল চাকমা, দারোগা অর্জুন চন্দ্র দে, সহকারী দারোগা গঙ্গা রাম দে, সুবেদার রুহুল আমিন ও সুবেদার জোয়াদ আলী খান, হাবিলদার সুলতান খান ও হাবিলদার মুন্সি মিয়া এবং কনস্টেবল ফজলুল করিম, প্রতাপ চন্দ্র সিংহ, গোপেন চন্দ্র দে, জহিরুল হক, লাল মিয়া, জয়নাল আবেদীন, সাইদুল হক, মীর ইসহাক হোসেন, আবদুল হক, কুটি চাঁন্দ মিয়া, আহসান উল্যাহ, আনছার আলী, আবদুল খালেক, মুজিবুর রহমান, মোতাহের আলী, পরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী, আহসান উল্লাহ, খাজা সাইফুর রহমান, আবদুস শহীদ, মো. রফিক ও রহিম উদ্দিন।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by ওয়েব নেষ্ট বিডি