কৃষক দলের কেন্দ্র ঘোষিত তিনমাসব্যাপী কর্মসূচি: সংগঠন গোছাচ্ছেন শ্রীমঙ্গলের নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত: ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৫

কৃষক দলের কেন্দ্র ঘোষিত তিনমাসব্যাপী কর্মসূচি: সংগঠন গোছাচ্ছেন শ্রীমঙ্গলের নেতৃবৃন্দ

বিশেষ প্রতিনিধি | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১৮ এপ্রিল ২০২৫ : জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত তিনমাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠন গোছাচ্ছেন শ্রীমঙ্গলের নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহিবুর রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সংগঠন গোছানোর কাজ চলছে।
কৃষকদেরকে সংগঠিত করার জন্য সবকটি ইউনিয়নে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সমাবেশ আয়োজন করা হয়। অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের সমাবেশ সমাপ্ত হয়েছে।

প্রতিটি ইউনিয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সদস্য সচিব মোনায়েম কবির। বিশেষ অতিথি জাতীয়তাবাদী জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়কগণ, জেলা কৃষক দলের অন্যতম সদস্য লোকমান মিয়া, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন বক্স, কৃষক দলের সদস্য শোয়েব আহমেদ নানু, আব্দুল লতিফ, আব্দুল জলিল, শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাবেক উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোকসেদ আলী, আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান চৌধুরী তুহিন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন জারু, পৌর যুবদল নেতা আব্দুর রহমান মিন্টু, পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক শামীম আহমেদসহ আরো অনেকের সক্রিয় সহযোগিতায় উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার জন্য এসব সমাবেশ সফল করা হয়।

এসব কাজে আরো যেসব নেতৃত্ব সক্রিয় তৎপরতায় সংযুক্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে মারুফ মিয়া, মুহিবুর রহমান মহিব, শাহ জাবের উদ্দিন আহমেদ শাহিন, বদরুল আলম চৌধুরী, আব্দুল জলিল মিন্টু, আব্দুল হক, আজিজ মিয়া, রঞ্জিত কালুয়ার, দুলাল মিয়া, আলাল মিয়া ও কামাল মিয়াসহ নাম না জানা অনেকেই।

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহিবুর রহমান মোস্তফা জানান, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ১৯৯২ সালে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে সভাপতি করে কৃষকদলের কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও গণতন্ত্র সুরক্ষিত ও সুসংহত করা।
ঐক্যবদ্ধ এবং পুনরুজ্জীবিত জাতিকে অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, নয়া উপনিবেশবাদ, আধিপত্যবাদ ও বহিরাক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা।
উৎপাদনের রাজনীতি, মুক্তবাজার অর্থনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্রের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক মানবমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন।
জাতীয়তাবাদী ঐক্যের ভিত্তিতে গ্রাম-গঞ্জে জনগণকে সচেতন ও সুসংগঠিত করা এবং সার্বিক উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প রচনা, বাস্তবায়নের ক্ষমতা এবং দক্ষতা জনগণের হাতে পৌঁছে দেওয়া।
এমন এক সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে গণতন্ত্রের শিকড় সমাজের মৌলিক স্তরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে প্রোথিত হয়।
এমন একটি সুস্পষ্ট ও স্থিতিশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দেওয়া যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই তাঁদের মানবিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি আনতে পারেন।
বহুদলীয় রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মাধ্যমে স্থিতিশীল গণতন্ত্র কায়েম করা এবং সুষম জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনয়ন।
গণতান্ত্রিক জীবনধারা ও গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার রক্ষাকবচ হিসেবে গণনির্বাচিত জাতীয় সংসদের ভিত্তি দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা।
জাতীয় জীবনে মানবমুখী সামাজিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন এবং সৃজনশীল উৎপাদনমুখী জীবনবোধ ফিরিয়ে আনা ।
বাস্তবধর্মী কার্যকরী উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতীয় জীবনে ন্যায়বিচার ভিত্তিক সুষম অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা, যাতে করে সকল বাংলাদেশি নাগরিক অন্ন, বস্ত্র, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাসস্থানের ন্যূনতম মানবিক চাহিদা পূরণের সুযোগ পায়।
সার্বিক পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দান করা ও সক্রিয় গণচেষ্টার মাধ্যমে গ্রামবাংলার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা৷
সকল জনসম্পদের সুষ্ঠু ও বাস্তবভিত্তিক সদ্ব্যবহার করা।
বাস্তবধর্মী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক স্থাপন এবং সুষ্ঠু শ্রমনীতির মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও বাংলাদেশের ক্রীড়া সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং প্রসার সাধন।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণের মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ করার আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ