মৃত্যুর আগে ১১ জনকে দায়ী করে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন বিএনপি নেতা জহির

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০২৫

মৃত্যুর আগে ১১ জনকে দায়ী করে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন বিএনপি নেতা জহির

Manual3 Ad Code

মেহেদী হাসান রাসেল, বিশেষ প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুর, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ : লক্ষ্মীপুরে নিহত বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরের একটি ৩২ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে তিনি সম্ভাব্য ‘দুর্ঘটনা’ বা তার মৃত্যু হলে কে বা কারা দায়ী থাকবে—এমন ১১ জনের নাম উল্লেখ করেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

Manual7 Ad Code

ভিডিওতে আবুল কালাম জহির বলেন, তিনি এলাকায় ফেরার পর তার মৃত্যুর মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর জন্য প্রথমে দায়ী থাকবেন তার চাচাতো ভাই খোরশেদ আলম। এরপর দায়ী থাকবেন স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী কাউসার মানিক বাদল ও তার তিন ভাই। এছাড়া শাহ আলম, তার দুই ছেলে বাবু ও ইমন, সর্দার বাড়ির স্বপন, এসপি বাড়ির আলমগীর এবং সেলিমকে দায়ী করে তাদের নামে মামলা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে ছোট কাউসারের সঙ্গে জহিরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। তার বিরুদ্ধে একটি মাদকের মামলাও ছিল। এসব কারণে তিনি কিছুদিন এলাকায় অবস্থান করছিলেন না। এলাকায় ফেরার আগে তিনি নিজেই ভিডিও বার্তাটি রেকর্ড করে স্বজনদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি হত্যাকাণ্ডের প্রায় দুই মাস আগে ধারণ করা হয়েছিল।

Manual4 Ad Code

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিডিওতে উল্লেখ থাকা তিনজন—ইমন হোসেন, আলমগীর হোসেন ও হুমায়ূন কবির সেলিম—কে গ্রেপ্তার করেছে।

Manual1 Ad Code

ঘটনার পর নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়; video বার্তায় যাদের নাম ছিল, তারাও মামলার আসামি হয়েছেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আবুল কালামের চাচাতো ভাই খোরশেদ আলমকে (৪৮)। দ্বিতীয় আসামি ছাত্রদল কর্মী কাউসার মানিক বাদল ওরফে ছোট কাউসার। এছাড়াও তার দুই ভাই মিজানুর রহমান মল্লিক (৩০) ও শামসুল আলম মল্লিক ওরফে উকিল শামসু (৩৮) আসামি করা হয়েছে।

অন্যান্য আসামিরা হলেন—শাহ আলম (৫০), রাহাত হোসেন বাবু (২৫), ইমন হোসেন (২২), স্বপন (৩০), আলমগীর হোসেন (৪০), মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির সেলিম (৫০), রিয়াজ ওরফে চিতা (৩৫), আজিম হোসেন হারুন (৩০) এবং আবদুল খালেক (28)।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে, হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

 

Manual8 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ