বাংলাদেশে দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে

প্রকাশিত: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, মে ৮, ২০২১

বাংলাদেশে দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে

Manual5 Ad Code

ঢাকা, ০৮ মে ২০২১ : বাংলাদেশে দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার ভারতীয় ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাঁরা দুজনই পুরুষ এবং উভয়ই সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। দেশে এই দুই ব্যক্তি এখন কোথায় আছেন, তা জানা যায়নি।করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্য গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।

জিআইএসএআইডির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এই দুই ব্যক্তির একজনের বয়স ৪১ বছর। বাংলাদেশে তাঁর বাসা ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে। এই ব্যক্তি ভারতে ভ্রমণের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি করোনাভাইরাসের কোনো টিকা নেননি। এই ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইদেশি)।
ভারতীয় করোনার ধরন শনাক্ত হওয়া দ্বিতীয়জনের বয়স ২৩ বছর। তাঁর বাসা খুলনায়। এই ব্যক্তিও ভারতে ভ্রমণের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।
জিআইএসএআইডির তথ্য বলছে, এই দুই ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা ও তাঁরা কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
জিআইএসএআইডির উপাত্ত ধরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) গবেষক সৈয়দ মুক্তাদির আল সিয়াম বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট (ধরন) বি.১.৬১৭.২ পাওয়া গেছে। আইইডিসিআর এটি সাবমিট করেছে।
সৈয়দ মুক্তাদির বলেন, জিআইএসএআইডির উপাত্ত বলছে, এটি গত ২৮ ও ২৯ এপ্রিল সংগৃহীত নমুনা থেকে পাওয়া গেছে।

দেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছেন অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। তিনি বলেন, ‘যে ভেরিয়েন্ট (বি.১.৬১৭.২) বাংলাদেশে পাওয়া গেছে, সেখানে ই৪৮৪কিউ মিউটেশনটি নেই। এটা থাকলে খুব ক্ষতিকর হতো। এখানে আমাদের টিকা কাজ করবে বলে মনে হয়।’
এর আগে চলতি বছরে বাংলাদেশে করোনার নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যের ধরনের অস্তিত্বের খবর প্রকাশ করেছে জিসএআইডি।

বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট বা ধরন পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭.২’ নামে পরিচিত। করোনার এ ধরনকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Manual6 Ad Code

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের চরিত্র হচ্ছে এটি দ্রুত নিয়মিতভাবে রূপান্তর হয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের হাজারো মিউটেন্ট আছে।

গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে করোনার নাইজেরিয়ার ধরনের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। দেশে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের শরীরে করোনার নাইজেরিয়ার ধরনের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাজ্য থেকে করোনাভাইরাসের আরেক নতুন ধরনের অস্তিত্ব দেশে পাওয়া যায়। রূপান্তরিত নতুন এই ধরন বাংলাদেশে শনাক্তের কথা গত ৫ জানুয়ারি আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে দেশে পাওয়া যায় করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন।

Manual1 Ad Code

গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল—এই তিন দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের তিনটি ধরন (ভেরিয়েন্ট) সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।

Manual4 Ad Code

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। দেশটি কিছুদিন ধরে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে বিশ্বে রেকর্ড গড়ছে। বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় ধরনটিকে মারাত্মক বলে ধারণা করছেন।

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code