১৭ অাগস্ট কমরেড মেনন হত্যাচেষ্টার ৩১ বছর, বিচার অধরাই রয়ে গেলো

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৩

১৭ অাগস্ট কমরেড মেনন হত্যাচেষ্টার ৩১ বছর, বিচার অধরাই রয়ে গেলো

নিজস্ব প্রতিবেদক। ঢাকা, ০৭ অাগস্ট ২০২৩ : অাগামী ১৭ অাগস্ট ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন হত্যাচেষ্টার ৩১ বছর পূর্ণ হতে চললো।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এ দিনটিকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’ পালন হিসেবে পালন করে অাসছে।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয়ভাবে ও মৌলভীবাজারে জেলা শাখার উদ্যোগে অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৯২-এর ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সামনে কমরেড রাশেদ খান মেননকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। মৃতবৎ কমরেড মেননকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সিএমএইচ-এ লিভারে অপারেশন করা হয় এবং অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে পুনরায় অপারেশন করা হয়। পাঁচমাস লন্ডন ও ব্যাংককে চিকিৎসা নেবার পর ১৯৯৩ এর ১০ জানুয়ারী বিমান বন্দরে বিপুল সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তবে এই ২৮ বছরেও তার ঐ হত্যাপ্রচেষ্টার বিচার হয়নি। আততায়ীরা অধরাই রয়ে গেছে। অন্যদিকে একই সময়কালে চুয়াডাঙার কুলবিলা গুচ্ছগ্রাম, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয় যার বিচারও আজও হয়নি।
রাশেদ খান মেননের হত্যা প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐ সময়ে দেশব্যাপী যে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল তার জন্য পার্টি ও তিনি নিজে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু দেশে সন্ত্রাস নির্মুল হয় নাই পক্ষান্তরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড চলছে।জননিরাপত্তার স্বার্থেই এটা বন্ধ হওয়া দরকার।”
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের এই দিনে সন্ধ্যায় পার্টি কার্যালয়ের সামনে রাশেদ খান মেননকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলী করা হয়েছিল। দেশে- বিদেশে চিকিৎসা ও দেশবাসীর ভালবাসা আর দোয়ায় তিনি জীবন ফিরে পান এবং এখনও মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করছেন।

এ দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ‘৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ