রিভার টকিজ: পরিবেশগত সুরক্ষায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩

রিভার টকিজ: পরিবেশগত সুরক্ষায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ : পরিবেশগত সুরক্ষায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’র উপর নদী বিষয়ক ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর ২০২৩) দুপুর ১২টায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ঝাউচরে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

উক্ত সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রীতি কনা শিকদার, রিভার বাংলা’র সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ও অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Manual2 Ad Code

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। তিনি তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, “ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে অসংখ্য স্থাপনা নদী দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। সরকার যখন অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করেন তখন যেন সকল মন্ত্রণালয় ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করেন”।

Manual8 Ad Code

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মিডিয়া বিভাগের প্রধান কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন বলেন, “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে রাজনৈতিক নেতাদের জবাবদিহিতা থাকে ফলে তারা পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে কথা বলতে ও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।”

Manual4 Ad Code

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় বলেন, “পরিবেশের উপর আমরা যে দীর্ঘদিন যাবত শাসনের নামে দুঃশাসন চালাচ্ছি তার ফলাফল আমরা ইতিমধ্যে পাচ্ছি। নদী পরিবেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে। নদী দখলের সাথে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, প্রশাসন, সরকারী-বেসরকারী আমলা সহ অনেকে জড়িত থাকার কারণে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জবাবদিহিতা বজায় থাকলে আমরা নদী দখল ও পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারবো”।

রিভার বাংলা’র সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, “দেশের সমগ্রিক উন্নয়নের নামে আসলে শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু মানবিক উন্নয়ন হচ্ছে না। মানবিক উন্নয়ন হতে হলে শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক উন্নয়ন সহ সামগ্রিক উন্নয়ন হতে হবে তাহলে পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিই নয় বরং সবার মধ্যে দেশপ্রেম বৃদ্ধি পেলেই আমরা পরিবেশ দূষণ রোধ করতে পারবো”।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস এর আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রীতি কনা শিকদার বলেন, আমরা যখনই পরিবেশ দূষণের কথা বলি তখন শুধু শিল্প-কারখানার বর্জ্যের কথা বলি কিন্তু সাথে সাথে আরো অনেক কিছুর মাধ্যমে যে পরিবেশ দূষণ হয় সেটা বলি না। পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হলে আমাদেরকে সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা ও ভুক্তভুগি মানুষদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে।

সংলাপে উপস্থিত অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথেও মতবিনিময় করা হয়। সবশেষে সঞ্চালক সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Manual5 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code