কোনো সম্পর্ক যখন ফুরিয়ে যায়, তখন..!

প্রকাশিত: ১:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৫

কোনো সম্পর্ক যখন ফুরিয়ে যায়, তখন..!

নাসিমা সোমা |

গত কয়দিন ধরে সংবাদ মাধ্যম সংগীত শিল্পী কনাকে নিয়ে নানা রকম শিরোনাম বানাচ্ছে। এই যেমন: বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন কনা, সাত বছরের সম্পর্কে ইতি টানছেন কনা, পরকিয়ায় মজেছেন কনা।

এবার আসল কথায় আসি, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নর নারীর বিয়ে করার যেমন অধিকার আছে আবার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসারও অধিকার আছে। বিয়েটা যদি ওয়ার্ক না করে, যদি সম্মান না পাওয়া যায়, যদি নিজের পরিচয় ও অস্তিত্বকে বির্সজন দিয়ে সংসার টিকিকে রাখার অভিনয় করতে হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। কনাকেতো বাল্যকালে বিয়ে করেনি তার স্বামী। কনা যখন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী তখন গহীনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। কোন গুনী শিল্পীকে বিয়ে করার আগে অনেক ভেবে করতে হবে। রাতারাতি তাকে ঘরে বন্দী করে ফেলার চিন্তা করা যাবেনা। সামনে সীমারেখা টেনে দিয়ে বলবেন যে এর বাইরে যাওয়া যাবেনা সেটা কি সে মেনে নিবে? তাকে তো এই পর্যায়ে আসতে অনেক সময়, মেধা, শ্রম ও পয়সা খরচ করতে হয়েছে। কনাকে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। আমরা একই পাড়ায় বড় হয়েছি। কনার মা লুৎফা আন্টি রাতদিন এক করে কনাকে গান শিখাতে বিভিন্ন ওস্তাদের কাছে নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়ে যেতেন। সংসার সামলাতো বড় মেয়ে লিসা। এক মুহূর্তের জন্যও তিনি কনাকে একা ছাড়তেন না। যেকারণে কনা কঠিন অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছে। কোন আজেবাজে আড্ডাবাজি, কিম্বা অশালীন চলাফেরা করতোনা কনা। তারমধ্যে শালীনতা ও পরিমিতি বোধ ছিল। ফুল ফ্যামিলির ডেডিকেশন ছিল এই মেয়েটির প্রতি।

এবার আসি পরকীয়ার বিষয়ে। একটা সুখী দাম্পত্যে নারী কিম্বা পুরুষ যদি পরকীয়া করে তাহলে সেটা অন্যায়, প্রতারণা ও ব্যভিচার। কিন্ত কোন সম্পর্ক যখন ফুরিয়ে যায় তখনি তৃতীয় ব্যক্তির আর্বিভাব ঘটে। কনা তার স্বামীর সঙ্গে হয়তো অনেক আগেই সম্পর্ক ভেঙেছে সেটা হয়তো সে মিডিয়ার কাছে গোপন রেখেছে, ঠিক যেমন বিয়েটা সে গোপন রেখেছিল। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অন্য কারো সাথে নতুন সম্পর্কে জড়ানো দোষের কিছু নয়। বরং যে সম্পর্ক মানুষকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয় সেখান থেকে যত দ্রুত বের হওয়া যায় ততই মঙ্গল!!!