শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২০

শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

Manual4 Ad Code

ঢাকা, ১৪ জুলাই ২০২০: মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা আজ এক বিবৃতিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাসদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেতা শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনসমূহে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। নেতৃবৃন্দ স্ত্রী রাবেয়া সিরাজসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন।

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, জাসদ প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেতা শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, শাহজাহান সিরাজের জন্ম ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে, তার বাবার নাম আব্দুল গণি মিয়া ও মারহিমা বেগম।

ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় শাহজাহান সিরাজের। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইলের করটিয়া সাদত কলেজ ছাত্র সংসদের দুই বার ভিপি ছিলেন তিনি।

ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের পর উত্তাল সময়ে ছাত্রলীগের নেতৃপর্যায়ে চলে আসেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৭০ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

তখন ছাত্র আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে ছাত্রলীগের যে চারজনকে ‘চার খলিফা’ বলা হত, তাদের একজন হলেন শাহজাহান সিরাজ।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চ ‘ছাত্র আন্দোলনের নিউক্লিয়াস’র পক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ানো হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সেদিন পতাকা উড়িয়েছিলেন রব, আর ইশতেহার পড়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ।

মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ।

স্বাধীনতার পর রব-সিরাজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ভাঙন থেকে জাসদ গঠিত হলে সেই দলের সহ সাধারণ সম্পাদক হন শাহজাহান সিরাজ। তখন তাকে কিছু দিন কারাগারেও থাকতে হয়েছিল।
পরে জাসদ ভাঙতে ভাঙতে কয়েকটি ভাগ হলে একটি অংশের নেতৃত্ব ধরে রাখেন শাহজাহান সিরাজ। প্রথমে এইচ এম এরশাদের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে রবের সঙ্গে দ্বন্দ্বে আলাদা হয়ে যান শাহজাহান সিরাজ।

তখন শাহজাহান সিরাজের সঙ্গে ছিলেন হাসানুল হক ইনু। কিন্তু এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব বাঁধে। শাহজাহান সিরাজ ভোটে অংশ নিলে ইনু আলাদা জাসদ গড়েন। তাতে অনেকটা একা হয়ে পড়েন শাহজাহান সিরাজ।

কয়েক বছর পর ১৯৯৫ সালে তিনি দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দেন। পরে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারে মন্ত্রী হন।

Manual4 Ad Code

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেপ্তার হন শাহজাহান সিরাজ। তখন দুর্নীতির মামলায় তার সাজার রায়ও হয়েছিল।

Manual1 Ad Code

রাবেয়া সিরাজও তখন মামলায় জড়িয়েছিলেন। রাবেয়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন মহিলা দলের নেত্রী থেকে পরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ তাঁতী বিষয়ক সম্পাদকও হয়েছিলেন।

Manual2 Ad Code

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে কিছু দিন কারাগারে থেকে মুক্তি পেলেও অসুস্থতার কারণে আর রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেননি শাহজাহান সিরাজ।

Manual8 Ad Code

শাহজাহান সিরাজ জাসদ ও বিএনপি উভয় দল থেকেই টাঙ্গাইলের কালিহাতী থেকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

তিনি ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাসদ থেকে। এরপর ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালের সংসদেও জাসদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code