প্রশ্নোত্তরে ই-ক্যাব মেম্বারশিপ

প্রকাশিত: ৯:২০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২১

প্রশ্নোত্তরে ই-ক্যাব মেম্বারশিপ

বিশেষ প্রতিনিধি || ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২১ : ই-ক্যাব মানে কি? ই-ক্যাব মানে, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

ই-ক্যাব কি? ই-ক্যাব হলো, ই-কমার্স ব্যবসার সাথে জড়িত এমনসব লোকদের বিজনেস এসোসিয়েশন। সোজা কথায় যারা অনলাইনে ব্যবসা করে তাদের সংগঠন।
ই-ক্যাবের সদস্য কারা
যারা অনলাইনে ব্যবসা করে তারাই ই-ক্যাবের সদস্য হতে পারে? যারা ই-ক্যাবে রেজিস্ট্রেশন করে সদস্য সনদ সংগ্রহ করেছেন তারাই ই-ক্যাব মেম্বার।

ই-ক্যাবের সদস্য হতে কি লাগে ?
ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য প্রথমেই আপনার প্রয়োজন একটি ই-কমার্স ব্যবসা থাকা। আপনার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থাকতে হবে, একটিভ ফেসবুক পেইজ থাকলেও হবে।। ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। সেসাথে আপনার ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিন সার্টিফিকেট এগুলো জমা দিয়ে অনলাইনে ই-ক্যাবের সদস্যফরম পূরণ করতে হবে। সাথে মেম্বারশিপ ফি জমা দিতে হয়।

কোন কোন ধরনের ব্যবসায়ীরা ই-ক্যাবের মেম্বার হতে পারে ?
সব ধরনের অনলাইন ব্যবসায়ীরা ই-ক্যাবের সদস্য হতে পারে। তবে এমএলএম, রিক্রুটিং এজেন্সি ই-ক্যাবের সদস্য হতে পারেনা।

ফেসবুকে যারা ব্যবসা করে তারা কি ই-ক্যাবের সদস্য হতে পারে ?
যারা ফেসবুকে ব্যবসা করে তারা ই-ক্যাবের সদস্য হতে হলে তাদের ওয়েবসাইট এবং ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। ডোমেইন হোস্টিং নেয়া থাকলে ফেসবুক পেইজ দিয়েও সদস্য হয়ো যায়। তারপরও যারা ই-ক্যাবের সাথে যুক্ত হতে চায়। তাদের যদি ট্রেড লাইসেন্স ও ওয়েবসাইট না থাকে। তাহলে তারা ই-ক্যাবের ফেসবুক এলায়েন্স এর সাথে যুক্ত হতে পারে।

আমি কেন ই-ক্যাবের সদস্য হবো?
আপনি যদি স্থায়ীভাবে ই-কমার্স ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে আপনার এর সদস্য হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পেশাদার ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ ব্যবসায়িক সেক্টরের এসোসিয়েশণ এর সদস্য হয়ে থাকেন। এসোসিয়েশন এর সদস্য না হলে বিদেশী কোনো ব্যবসায়ী বা বিনিয়োগকারী ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো কাজ করেনা এবং ক্রেতা সাধারণ আস্থা রাখেন না, এমনকি অন্যকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কোনো লেনদেন করতে বা চুক্তি করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসে না। কিছু সরকারী বেসরকারী সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো এসোসিয়েশন এর ব্যবসায়ী না হলে পাওয়া যায়না। সরকার প্রত্যেকটি ব্যবসায়িক খাতে নীতি পদ্ধতি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এসোসিয়েশন এর পরামর্শ নিয়ে থাকে। এসোসিশেণ এর সাথে থাকলে এসব জায়গায় নিজের পরামর্শ দেয়া যায়।

ই-ক্যাবের সদস্য হয়ে লাভ কি?
বর্তমানে ই-ক্যাবের সদস্য হলে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যাচ্ছে?

১। ই-ক্যাবের সদস্যদের জন্য জরুরী অবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় মালাল পরিবহনে অনুমতি দিয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফলে তারা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও তাদের নিত্যপণ্যের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

২। ই-ক্যাবের সদস্য হলে বিভিন্ন আলোচনায় যোগ দিয়ে নিজের মতামত দেয়া যায়।

৩। ই-ক্যাব সারাবছর বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিং এর আয়োজন করে। ই-ক্যাবের সদস্য হলে এসব ট্রেনিং এ অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।

৪। বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য বিনা মাশুলে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দেয়। এই কার্ড দিয়ে ফেসবুকে এড দেয়া যায়।

৫। ই-ক্যাব সবসময় নতুন উদ্যোক্তাদের পাশে থাকে। ব্যবসায়িক যেকোনো পরামর্শ দিয়ে থাকে। ই-ক্যাবের সাপোর্ট সেন্টার।

ই-ক্যাবের সদস্য হতে কত টাকা লাগে?
ই-ক্যাবের সদস্য ফি-১০০০ টাকা এবং বার্ষিক ফি ২০০০ টাকা। বর্তমানে ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য প্রথম বছর ৩০০০ টাকা এবং পরে প্রতি বছর ২০০০ টাকা ফি দিতে হয়। পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এটাই চলবে। তবে বর্তমানে প্রথমবার দিতে হয় ৫০০০ টাকা। এর মধে ১০০০ টাকা উন্নয়ন তহবিল এবং ১০০০ টাকা কল্যাণ তহবিল। মোট প্রদেয় ৫০০০ টাকা। পরের বছর থেকে কিন্তু ২০০০ টাকাই।

ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য কোথায় যোগাযোগ করব?

ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য যোগাযোগ: 09678100700

ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন লিংক?

registration.e-cab.net

 

ই-ক্যাবের সদস্য হওয়ার জন্য ডকুমেন্টস
১। ছবি

২। জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

৩। ট্রেড লাইসেন্স এর কপি ও নবায়ন কপি

৪। TIN সার্টিফিকেট

৫। আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দেয়া।

৬। অফিসের ছবি

৭। অফিসের ইউটিলিটি বিলের কপি/বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র

৮। ২ জন ই-ক্যাব মেম্বারের রেফারেন্স অথবা ব্যাংক সার্টিফিকেট অথবা েএমএফএস মেম্বারশিপ

অথবা অন্যকোনো এসোসিয়েশন এর সদস্য হিসেবে স্বীকৃতিপত্র

অথবা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসেবের সলভেন্সি সার্টিফিকেট

অথবা, বিকাশ, নগদ, রকেট বা অন্য কোনো এমএফএস এর মার্চেন্ট সার্টিফিকেট।

ই-ক্যাবের সদস্য হতে কত দিন লাগে?
আবেদনের পর সবকিছু ঠিক থাকলে ৩ দিনের মধ্যেই ই-ক্যাবের সদস্য হওয়া যায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ