জালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাহার চাই: যুবমৈত্রী

প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২১

জালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাহার চাই: যুবমৈত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ০৫ নভেম্বর ২০২১: আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর ২০২১) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভা দলীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়, যেখানে দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার ঘটনা আজ সর্বজন বিদিত। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, সরকার ভর্তুকি দিয়ে জ্বালানি তেলের দাম দেশে স্থিতিশীল রেখে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে পারতো, কিন্তু তা না করে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে জনগণকে চরম মূল্য দিতে হবে। এতে সাধারণ মানুষের জীবন-যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এবং পড়বে। সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি না হলেও, জালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি মরার ওপর খাড়ার ঘা।অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করতে হবে। অতি সম্প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নৃসংশতা-হামলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা-নৃশংসতায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন। অতীতের ঘটনাবলীর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। বড় দুই দলের রাজনৈতিক বক্তব্য আসল অপরাধীদের আড়াল করার সামিল। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভাজন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী অপশক্তিকে রুখে দিতে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। ক্ষমতালিপ্সু দল দুটি সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর সাথে আপোস, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে আশকারা দিয়েছে, সেই আশকারা ও আপোষের কারণেই বিভিন্ন সময়ে তাদের আস্ফালন লক্ষ্য করা যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বাহাত্তরের সংবিধান পুনপ্রবর্তনের লড়াইয়ে যুব মৈত্রী অঙ্গিকারবদ্ধ। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবাধ দুর্নীতি, লুটপাট, জবরদখল সমাজ ও রাষ্ট্রে চলমান। বেকার যুবদের কর্মসংস্থান সময়ের দাবি, করোনাকালীন সময়ে কর্মহারা মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। বেকার ভাতাসহ কর্মহারা শ্রমজীবী যুব ভাই-বোনদের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও তার পাশাপাশি দুর্নীতি, লুটপাট, দখল মিলেমিশে এলাকার, যার কারণে সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি সুদূর পরাহত।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন তৌহিদুর রহমান, মুতাসিম বিল্লাহ সানী, আব্দুল আহাদ মিনার, কায়সার আলম, তাপস দাস, মনিরুদ্দিন পান্না, আব্দুল খালেক বকুল, মিজানুর রহমান, মোঃ শফিক, ওমর ফারুক সুমন প্রমুখ।

সভায় বর্তমান রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভা শেষে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর, জেলা ও মহানগর সম্মেলন এবং আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ৮ম জাতীয় সম্মেলন ২০২২ অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ