স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার-চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪

স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার-চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ : দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

প্যানেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজকে সভাপতি ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শাফি মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয় ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হলো।’
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বাকি সদস্য করা হয়েছে, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসি বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. ফিরোজ কাদের, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেড্রিয়াট্রিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ, ইনজুরি প্রতিরোধ ও গবেষণা সেন্টারের সিইও অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ জলিল চৌধুরী ও এমএইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সরকার মাহবুব আহমদ শামিম।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কার্যপরিধির বিষয়ে বলা হয়েছে,
দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয় ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি-নির্ধারণ।
২. সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চ শিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।
৩. নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর।
৪. স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান।
৫. দেশের প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।