সিলেট ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
পিত্তথলিতে পাথর হলে কী খাবেন, কী খাবেন না
পিত্তথলিতে পাথর কেন হয় ও কাদের ঝুঁকি থাকে: দীর্ঘসময় ধরে না খেয়ে থাকলে এবং বছরের পর বছর খাবারে অনিয়ম করলে, পিত্তথলির পিত্তরস ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তখনই তৈরি হয় পিত্তথলিতে পাথর। এই পাথর শুধু খাবারে অনিয়মের জন্য নয়; ভেজাল খাবার, রক্তে চর্বির মাত্রা বৃদ্ধি, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং পারিবারিক কারণেও হতে পারে। এ ছাড়া শরীরে চর্বি বেশি জমলে, পানি কম খেলে, রক্ত বেশি ভাঙলে এ রকম পাথর জমতে পারে। তবে পিত্তরস কোনো কারণে ঘন হলে এ আশঙ্কা বেড়ে যায়। সাধারণত পাঁচটি এফ থাকলে এ পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এগুলো হলো ফ্যাট, ফিমেল, ফেয়ার, ফার্টাইল এবং ফোরটি।
কোন খাবার খাবেন
বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফলের রস : পিত্তথলিতে পাথর হলে শসা, আপেল, গাজর, বিট, নাশপাতি জুস করে খেলে ভালো। তবে অবশ্যই চিনি না মিশিয়ে বরং আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
হলুদ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা গ্রহণে পিত্তথলি থেকে প্রায় ৮০% পর্যন্ত পাথর দূর হতে পারে।
শস্য ও দানাজাতীয় খাবার : শস্য ও দানাজাতীয় খাবার ট্রাইগ্লিসারাইড ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে পিত্তথলির পাথর তৈরিতে বাধা দেয়।
অ্যালোভেরা, ইসবগুল, তোকমাদানা, ওলট কম্বল ডালের রস : অ্যালোভেরা, ইসবগুল, তোকমাদানা, ওলট কম্বলের ডালের থকথকে রস পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতায় লৌহ, পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ, মেন্থল, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট এবং এসেনশিয়াল অয়েল, যা শক্তিশালী জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে এবং পিত্তথলিতে হওয়া প্রতিরোধ করে।
যা খাবেন না
১. সব ধরনের চর্বিযুক্ত ও দুগ্ধজাত খাবার বাদ দিতে হবে।
২. লাল মাংস, মুরগির মাংস, ডিম বাদ দিতে হবে।
৩. সব ধরনের প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত ও বেকড খাবারও চা, কফি ও তামাক গ্রহণ করা যাবে না।
এ রোগ প্রতিরোধে ভালো খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও দৈনিক ২.৫-৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
#
নাজিয়া আফরিন
মানবিক সাহায্য সংস্থার স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D