কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী স্বাধীনতার বীজ বপণ করেছিলেন: নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫

কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানী স্বাধীনতার বীজ বপণ করেছিলেন: নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ : মওলানা ভাসানীকে মহান স্বাধীনতার স্থপতি উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী একজন দূরদর্শী রাজনীতিক ছিলেন। তিনি ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে পাকিস্তানীদের উদ্দেশে ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বলে তাদের থেকে আলাদা হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, মওলানা ভাসানীর সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জন। মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জাতীয় ঐক্যের যে বাণী রেখে গেছেন তা আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আয়োজনে ‘কাগমারী সম্মেলন দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের উপদেষ্টা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসীমউদ্দিন আহমদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, জামিল আহমেদ, নুরুজ্জামান হীরা, আহসান হাবিব, নারী নেত্রী সোনিয়া আক্তার ও যুব পরিষদের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে মওলানা ভাসানী এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। মওলানা ভাসানী ক্ষমতার রাজনীতি করেননি, তিনি মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্যে আজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা ও শাসন ব্যবস্থায় মওলানা ভাসানীর আদর্শ অনুসরণ করলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার মওলানা ভাসানীর অবদান মুছে ফেলে ইতিহাস বিকৃতি করেছে। মওলানা ভাসানীর জীবন ও কর্ম যথাযথভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করলে জাতি উপকৃত হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ