ঢালাও মামলা-গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য নয়: শাহনাজ হুদা

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৫

ঢালাও মামলা-গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য নয়: শাহনাজ হুদা

Manual1 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২০ মে ২০২৫ : ঢালাও মামলা-গ্রেপ্তার গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তারের আগে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. শাহনাজ হুদা। তিনি একটি জাতীয় দৈনিকে নিজের অভিমত প্রকাশ করে এ কথা বলেন।

শাহনাজ হুদা বলেন, মামলাগুলো যদি পরেও তদন্ত করতে বলা হয়, মনে রাখতে হবে যে এতগুলো মামলার তদন্ত করতে অনেক পুলিশ লাগবে।

Manual6 Ad Code

থানায় তো শত শত উপপরিদর্শক লাগবে। সেটা কি আমাদের আছে? তাহলে কত দিন সময় লাগবে? এ ব্যাপারে সরকারের অবশ্যই কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, একটা মামলায় ৩০০-৪০০ আসামি, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা ক্রিমিনাল আইন প্র্যাকটিস করেন, তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে যে এ ধরনের ক্ষেত্রে আমাদের ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডে (ফৌজদারি কার্যবিধি) কী বলা আছে।

এ বিষয়টি সম্পর্কে আসলে কিছুটা সংশয় আছে। কারো নামে মামলা হলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করতে হবে কি না, এগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা বোধ হয় নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক মনে করেন, ঢালাওভাবে মামলা ও গ্রেপ্তার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আইনে যদি অস্পষ্টতা থাকে, সেটা পর্যালোচনা করে দেখতে হবে।

কিন্তু আমরা যদি প্র্যাকটিক্যাল চিত্রটা দেখি, একটা থানায় তো হাজার হাজার মামলা থাকে, প্রতিটি মামলা তদন্ত করতে গেলে তো বছর বছর লেগে যাবে। তত দিন এই লোকগুলোর কী হবে? এভাবে যদি শত শত লোকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং বলা হয় যে তদন্ত করা হবে, তাহলে পরিস্থিতিটা কী দাঁড়াবে? অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। কিন্তু আমার উপরিউক্ত মন্তব্য তাঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
অধ্যাপক শাহনাজ হুদা আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগত আইন নিয়ে পড়াই। ঢালাও মামলা ও গ্রেপ্তারের সমাধানটা কী, তা স্পষ্টভাবে বলতে পারছি না।

Manual2 Ad Code

যাঁরা ফৌজদারি আইন নিয়ে পড়ান, তাঁদের সঙ্গে সরকারের দিক থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যাঁরা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আছেন, তাঁদের কোনো একজনের বিরুদ্ধে যদি মামলা হয়, তখন কী হবে? তখনো কি বলা হবে যে গ্রেপ্তার করা যাবে? নিশ্চয়ই কোনো একটা উপায় আছে। এই উপায়টা সরকারকে বের করতে হবে। না হলে যেভাবে ঘটনাগুলো ঘটছে, তাতে মানুষের ওপর অত্যাচার হয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য শাহনাজ হুদা বলেন, আমরা চাই, কেউ আসলেই যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, সেটার বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু বিচারে প্রমাণিত হওয়ার আগে সবাই নির্দোষ। এখন অপরাধ প্রমাণ করার প্রক্রিয়ায় যদি দীর্ঘসূত্রতা থাকে, তাহলে তো লাভ হচ্ছে না। একজন নির্দোষ হলেও যদি সেটা প্রমাণ হতে ৫-১০ বছর লাগে, তাহলে আসলে লাভ নেই। প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। এত আলোচনা সত্ত্বেও যে ঢালাওভাবে এত মামলা হচ্ছে, এটা অবশ্যই খুব উদ্বেগজনক।

Manual8 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code