ভিক্ষাপাত্র

প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৫

ভিক্ষাপাত্র

Manual1 Ad Code

সাদিয়া নাজিব |

ব্যাকরণের বাইরে একটি প্রেম করবো।
মুঠোফোনে রাত বিরাতে প্রেমের তুমুল টেক্সট আদান প্রদানের নয়।

Manual3 Ad Code

আমি মতিঝিলের অফিস পাড়া থেকে ঘর্মাক্ত শরীরে
বাসে বাদুড় ঝুলা হয়ে উড়ে উড়ে যাব
মিরপুর দশ নম্বর গোল চক্করের ডান দিকের মোড়ের চায়ের দোকানে
যেখানে তুমি একদিন বসেছিলে!

Manual1 Ad Code

কাঙাল হয়ে খুঁজবো তোমার ছোঁয়া লাগা সেই বেঞ্চিটি।
আর সব প্রেমিকের মতো, তোমাকে ফুল উপহার দেবো না প্রিয়তমা!

আমার মানিব্যাগে ফুল কেনার পয়সা থাকে না
ঘাসফুল বা বুনো ফুল যে দেবো
তার ও কোনো উপায় নেই
ঢাকা শহরে মাটি কোথায় যে ঘাস হবে!

Manual2 Ad Code

আমি নিজ হাতে, সাদা কাগজে মনের রংতুলি দিয়ে এঁকে দেবো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফুল,
‘ভালোবাসা’।
তুমি কি তার ঘ্রাণ নেবে!
ব্যাকরণসিদ্ধ কোনো পথই আমার অনুকূল নয়
আমার বুকে যে বসন্তের রঙ
চোখে যে অপার জলরাশি
তাতে কি তুমি একটি বার ভাসাবে তোমার ভেলা!
এসো না এই রাজভিখারীর কাছে
ভিক্ষাপাত্র পেতে আছি তোমার দুয়ারে!
#
সাদিয়া নাজিব

Manual5 Ad Code

কবিতাটির সারমর্ম —

কবি এক ব্যতিক্রমী প্রেমের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। প্রচলিত মোবাইল-নির্ভর টেক্সট মেসেজের প্রেম নয়, বরং ঘাম-ভেজা ক্লান্ত শরীর নিয়ে শহরের ভিড়ভাট্টার মাঝে প্রিয়জনের ছোঁয়া পাওয়া যায় এমন কোনো সরল মুহূর্ত খুঁজে ফিরতে চান তিনি।
তিনি জানেন, অর্থের অভাবে ফুল বা উপহার দিতে পারবেন না। কারণ ফুল কেনার টাকা নেই, শহরে ঘাসফুল তোলার জায়গাও নেই। তাই তিনি নিজ হাতে কাগজে এঁকে দেবেন ভালোবাসার প্রতীক ফুল।

প্রেম তার কাছে নিয়ম-ব্যাকরণের মধ্যে বাঁধা নয়; এটি হৃদয়ের আবেগ, অশ্রু, আর বসন্তের রঙের মতো স্বতঃস্ফূর্ত। তাই তিনি প্রিয়জনকে ডাকছেন— যেন প্রিয়জন তাঁর ভালোবাসার গভীরতায় সামান্য সাড়া দেন।

? সংক্ষেপে, এই কবিতায় এক হৃদয়সমৃদ্ধ প্রেমিকার নিঃস্বার্থ প্রেম, প্রতীক্ষা ও ভালোবাসার গভীর আবেদন ফুটে উঠেছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code