সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসে বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর বলয় গড়ে তোলার ডাক

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫

সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসে বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর বলয় গড়ে তোলার ডাক

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : ‘সমাজ বদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করো’ এই স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র ত্রয়োদশ কংগ্রেস দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শুরু হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে সিপিবির এ অধিবেশন শুরু হয়।

Manual5 Ad Code

অধিবেশনে কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে উত্থাপন করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। রিপোর্টে বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বৃহত্তর বলয় গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

রিপোর্টে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে।
এ সময়ে ১৯৯০ ও ২০২৪-এ অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হলেও দেশের মানুষের মুক্তি আসেনি। গণতন্ত্র ও বৈষম্যমুক্তি এবং মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বিপরীতমুখী অবস্থানে দেশ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি আর মুক্তবাজারের নামে পুঁজিবাদী অর্থনীতির লুটপাটের ধারায় দেশ চলছে। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংকট।

এ সংকট উত্তরণে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সংগ্রামের মধ্যে মানুষের দিন পার হলেও মুক্তি আসেনি। রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে সংকট নানাভাবে তীব্র হয়ে উঠছে। মানুষের হতাশা বাড়ছে। শ্রমিক, ক্ষেতমজুর, কৃষক, মেহনতি খেটেখাওয়া মানুষ, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তের জীবন চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে।
দিন দিন এই সংকট নানা মাত্রায় গভীর হয়ে উঠছে।

Manual4 Ad Code

রিপোর্টে আরো বলা হয়, পুরো ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির উত্থান। দেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়ন মানুষকে মুক্তি দিতে পারে না। সমাজতন্ত্রই মুক্তির পথ।

এ জন্য গণভিত্তিসম্পন্ন পার্টি গড়ে তোলা, শ্রেণি সংগ্রাম, বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ঐক্য, শ্রেণি-পেশার মেহনতি মানুষের ঐক্য গড়ে তোলার কর্তব্যকে সামনে রেখে চলমান সংগ্রাম, গণতন্ত্রের সংগ্রামে আমরা শামিল হতে হবে।

Manual4 Ad Code

সিপিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার ৪৪ জন প্রতিনিধি আলোচনায় নেন। এসব আলোচনায় জেলার সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে করণীয় বিষয় তাদের অভিমত তুলে ধরেন। আগামীকাল রবিবার সংযোজন বিয়োজনসহ এই রিপোর্ট অনুমোদন করা হবে। অধিবেশনের শুরুতে কাউন্সিল সফল করতে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়।

Manual7 Ad Code

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code