রায়পুর প্রেসক্লাবের সভাপতি–সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত: ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৫

রায়পুর প্রেসক্লাবের সভাপতি–সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ

Manual8 Ad Code

বিশেষ প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুর, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ : রায়পুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন সাংবাদিক মো. এহসানুল আসিফ মাসুম। তার পক্ষে নোটিশ পাঠান আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন।

১৬ নভেম্বর জারি করা এ নোটিশে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পূর্বে প্রকাশিত একটি বিবৃতি প্রত্যাহার এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।

প্রেসক্লাবের বিবৃতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া

Manual1 Ad Code

গত ১২ নভেম্বর রায়পুর প্রেসক্লাবের প্যাডে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “মো. এহসানুল আসিফ মাসুম” নামে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া একজন ব্যক্তি সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে “অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজিতে জড়িত”—এমন তথ্য তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। একই সঙ্গে প্রেসক্লাব জানায়, উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ক্লাবের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তিনি কখনো সদস্য ছিলেন না।

বিবৃতি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রেরণ করা হয়, যা আলোচনার জন্ম দেয় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে।

লিগ্যাল নোটিশে মানহানির অভিযোগ

সাংবাদিক মাসুমের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন প্রেরিত নোটিশে উল্লেখ করেন, প্রেসক্লাবের বিবৃতিতে তার মোয়াক্কেলকে “ভুয়া সাংবাদিক” হিসেবে উপস্থাপন করে মানহানি করা হয়েছে। নোটিশে আরও দাবি করা হয়, মাসুম স্থানীয় ভূমি অফিসের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর প্রেসক্লাবের শীর্ষ নেতারা “ভুল তথ্যের ভিত্তিতে” ওই বিবৃতি দিয়েছেন।

Manual1 Ad Code

নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে প্রেসক্লাবকে—

বিবৃতি প্রত্যাহার, ক্ষমা প্রার্থনা, এবং নোটিশের জবাব প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রেসক্লাব নেতাদের প্রতিক্রিয়া

Manual4 Ad Code

প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ঢালীকে ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, “গত কয়েক দিন ব্যক্তিগত ব্যস্ততা থাকায় বিষয়টি এখনও খতিয়ে দেখতে পারিনি। সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।”

সাধারণ সম্পাদক সুমনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

Manual7 Ad Code

তথ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত

এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর সবুর জানান, “কোনো সাংবাদিক বা ব্যক্তি প্রেসক্লাবের অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করলে প্রেস কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ পেলে কাউন্সিল তদন্ত করে প্রয়োজনীয় নোটিশ ও ব্যবস্থা নেবে।”

সাংবাদিক মহলের প্রতিক্রিয়া

লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা রায়পুর প্রেসক্লাবের বিবৃতির নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছে। সংগঠনটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান উপদেষ্টা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে অভিযোগ থাকলে সেটি যাচাই না করে প্রকাশ করলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”

বিভিন্ন অনিয়ম অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার কারণে দৈনিক ইত্তেফাক উপজেলা প্রতিনিধি থেকেও অপসারণ করা হয় বলে জানান দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল মালেক।

পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে

বিবৃতি প্রকাশ, লিগ্যাল নোটিশ, পাল্টা প্রতিক্রিয়া—সব মিলিয়ে রায়পুরের সাংবাদিক সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকদের মতে, বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে বিভাজন আরও বাড়তে পারে।

লক্ষীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রেসক্লাবের এমন বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ