আজ নভেরা আহমেদ এর অনন্তলোকে যাত্রার দিন: আমার পুরনো লেখা দিয়ে তাঁকে স্মরণ

প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, মে ৬, ২০২১

আজ নভেরা আহমেদ এর অনন্তলোকে যাত্রার দিন: আমার পুরনো লেখা দিয়ে তাঁকে স্মরণ

।।|| লিনু হক ||।। ঢাকা, ০৬ মে ২০২১ : আমার জন্ম ৫০ এর দশক। ঢাকার ৬-বি আজিমপুর কলোনিতে। ৬-সি তে থাকতেন, ঝুনু আপা, রানি আপা, টুকু আপার খালা। খালাকে মাসিমা বলে ডাকতেন। খালার বাড়ীতে তিন বোন মিলে আসতেন, ঝুনু আপার বিশাল কালো মারসিডিজ গাড়ী চড়ে। রানিআপা , টুকুআপা, মাঝে মধ্যে রিক্সা চড়ে আসতেন। ঝুনু আপার মেয়ে, সিলভি, অরোরা। অরোরা ছিলো, আমাদের বয়সী। ছোট বয়সে, অরোরা জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

তিন বোনের মধ্যে সুন্দরী ছিলেন, ঝুনুআপা। সাজ সজ্জায় আধুনিক ছিলেন তিন বোনই।কিন্তু কেন জানি, রানি আপা আমাকে বেশি টানতো। একদিন শুনলাম রানি আপা ফ্রান্স চলে যাচ্ছেন। তখন জানলাম তিনি ভাস্কর নভেরা আহম্মেদ। ভাস্কর অর্থ, ঠিক বুঝতাম না। কিন্ত, ভাস্কর নভেরা আহম্মেদ, নামটি আমার হৃদয়ে জায়গা কোরে নিয়েছিলো।

নভেরা আহম্মেদ কে জানলাম, একটু, একটু, করে, আমার কৈশরে। রানি আপার শহর ফ্রান্সের প্যারিস।সেই থেকে, আমারো প্রিয়।২০১২ তে প্যারিসে গিয়ে চোখ খুঁজে ফিরছিলো, রানি আপাকে।

নভেরা আহম্মেদ কে নিয়ে লেখা, বই থেকে রানি আপাকে জেনেছিলাম।আজ বই মেলা থেকে , আনা ইসলাম এর নভেরা বিভুঁইয়ে স্বভূমে, বইটি নিয়ে এলাম। আমার শৈশবের রানি আপাকে, কাছ থেকে দেখা একজন, আনা ইসলাম। আশা করি এ বই থেকে মন ভরে তাঁকে জানবো। না ফেরার দেশে ভালো থেকো তুমি। যতদিন স্মৃতির মিনার, শহীদ মিনার থাকবে, ততদিন তুমি বেঁচে থাকবে –মানুষের হৃদয়ে।