প্রাচীন ভারতে বস্তুবাদের চর্চা

প্রকাশিত: ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২০

প্রাচীন ভারতে বস্তুবাদের চর্চা

|| মিহির লাল রায় || অাগরতলা (ভারত), ২৬ জুন ২০২০ : প্রাচীন ভারতে বস্তুবাদের চর্চা : ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি (৯, ক্রীক রো, কলকাতা) । প্রথম প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর, ২০১৪। পৃ : ১৩৬। দাম : ৮০ টাকা।

বই নিয়ে আলোচনাতে আজ আমার তৃতীয় দিন। বেছে নিলাম এই বইটি।

একটা ধারণা প্রচলিত যে, এই দেশটা মোক্ষের চিন্তায় নিমগ্ন মুনি- ঋষিদের দেশ। যদিও সুপ্রাচীনকাল থেকেই এ দেশে বস্তুবাদী দর্শন চিন্তারও উপস্হিতি ছিল। অবশ্য দমিয়ে রাখা হয়েছে।

উনবিংশ শতকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সৃষ্ট মানবতার জমি, অক্ষয় কুমার দত্তের বস্তুবাদ চর্চা, হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বেদের আধ্যাত্বিক মহিমার ছলনা খন্ডন পেরিয়ে আধুনিককালে বস্তুনিষ্ঠ চর্চায় সেক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন রামশরণ শর্মা, ডি এন ঝা, সুকুমারী ভট্টাচার্য, ডি ডি কোসাম্বী, রোমিলা থাপার প্রমুখ পন্ডিতরা। তবে বলা চলে এদেশের বস্তুবাদী চর্চার গোটা ইতিহাসটাকে বিস্তৃত ও ব্যাপক করেছেন দার্শনিক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। আলোচ্য বইটিতে এর বাইরে নতুন কথা নেই। সাতটি অধ্যায়ে আছে সহজ এবং সরলভাবে এসবের নির্যাস।

এদেশের ইতিহাসেও এটা দেখা গেছে যে, যখনই বস্তুবাদের চর্চা বেড়েছে বিজ্ঞান চর্চাও ত্বরান্বিত হয়েছে। এটাও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। আজ যখন বিজ্ঞান – বিরোধী শক্তি রাস্ট্র ক্ষমতায় অনেকই চিন্তিত। তাই এ সময়ে এই বইটির প্রাসঙ্গিকতা যথেষ্ট বেশি।

কেন এই বই ? প্রকাশক সংস্হারই ভাষায়, ” কারণ এ দেশে ধর্মীয় অন্ধতা, কুসংস্কার ও বিজ্ঞান – বিরোধী মানসিকতার যে প্রবল জোয়ার দেখতে পাওয়া যায় তাকে দূর করতে হলে ভাববাদী দৃষ্টিভঙ্গির চর্চা হওয়া দরকার। ”

আমার বইটি ভালো লেগেছে। সংগ্রহ করে দিয়েছেন দেবান্দ দাম। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ