রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে রুশ দূতাবাসের বিবৃতি

প্রকাশিত: ৩:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে রুশ দূতাবাসের বিবৃতি

Manual5 Ad Code

কূটনৈতিক প্রতিবেদক | ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ : রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প (আরএনপিপি) বাস্তবায়নে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪) অ্যামবাসি অব দ্যা রাশিয়ান ফেডারেশন অব বাংলাদেশ এ বিবৃতি দেয়।

Manual2 Ad Code

রাশিয়া থেকে নেওয়া ঋণে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি রোসাটম। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তার প্রতিবাদে বিবৃতি দেয় রোসাটম। এবার রুশ দূতাবাস বিবৃতি দিল।

বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে আরএনপিপি’র দুর্নীতি বিষয়ে সম্প্রতি প্রচারিত সংবাদ ও তথ্যসমূহকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বিষয়ে আরও অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে রাশিয়ান রপ্তানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণে এরইমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’

Manual2 Ad Code

এতে বলা হয়, আরএনপিপিতে যে কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ হলো রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ প্রদানে সার্বভৌম ঋণ গ্রহিতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না। রপ্তানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে প্রদত্ত যে কোনো পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবেলে রুশ অর্থ মন্ত্রণালয় রুশ রপ্তানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়।

বিবৃতিতে রুশ দূতাবাস উল্লেখ করে, রুশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এ লেনদেনগুলো করা হয় এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট ভিইবি-আরএফ দ্বারা সেই নথিগুলো অনুমোদিত হয়। রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রুশ ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণ গ্রহিতার ঋণ হিসাবে বিবেচিত হয়।

Manual5 Ad Code

এতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এ প্রকল্পে আর্থিক লেনদেন ও ব্যয়ের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত মোট ১ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে সর্বমোট এই পরিমাণ ঋণ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারিতে করা প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত) দেওয়া হয়। এই ঋণ ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালেই শেষ হয়ে যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই থেকে দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে রপ্তানি ঋণের পুরো পরিমাণ হল ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এ চুক্তির অধীনে এ পর্যন্ত ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। এ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং এই ঋণ ব্যবহারের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।

রূপপুর এনপিপিতে ‘দুর্নীতি’ বিষয়ে প্রকাশিত খবরকে ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করার এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করে রুশ দূতাবাস।

Manual4 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code