পাখি শিকার বন্ধে শ্রীমঙ্গলে উঠান বৈঠক

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

পাখি শিকার বন্ধে শ্রীমঙ্গলে উঠান বৈঠক

Manual5 Ad Code

বিশেষ প্রতিবেদক | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ : পাখি শিকার এবং পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে হাওর এলাকায় গণসচেতনতা তৈরিতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Manual1 Ad Code

বুধবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৪) শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিম ভাড়াউড়ায় সচেতন এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এই বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান।

Manual6 Ad Code

এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলানিউজের ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট এবং পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ওয়াইল্ডলাইফ জুনিয়র স্কাউট মো. তাজুল ইসলাম এবং সুব্রত সরকার।

এলাকাবাসীর পক্ষে এ বৈঠকে বক্তব্য দেন হাওর রক্ষা আন্দোলনের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সদস্য সচিব ও মাছরাঙা সমবায় সমিতির সভাপতি রোকাম উদ্দিন, সমাজসেবক তাহির মিয়া, বড়গাঙ্গিনা সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের সাবেক সভাপতি পিয়ার আলী, হাওর রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা সেলিম মিয়া প্রমুখ।

পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সাংবাদিক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন বলেন, পাখি শিকারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি এখন হাওরবিল শুকিয়ে যাবার ফলে হঠাৎ হঠাৎ কচ্ছপ পাওয়া যায়। মৎস্যজীবীরা এগুলো ধরে সনাতন সম্প্রদায়ের কারো কারো কাছে বিক্রি করে থাকেন। আমরা যদি বিলুপ্তিপ্রায় কচ্ছপ প্রজাতিটির রক্ষায় এ বিষয়েও সচেতনতা তৈরি করতে পারি তাহলে এটি বিল থেকে আহরণ করা এবং বিক্রি অনেকটাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির সম্পদ। দেশের সম্পদ। পাখিরা বেঁচে থাকলে আমাদের প্রকৃতি সুরক্ষিত থাকবে। তাই যে কোনো মূল্যে পাখিদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। শীতকালে আমাদের দেশে পরিযায়ী পাখিরা আসে। তাদের কলকাকলিতে মুখর হয় আমাদের প্রকৃতি। এই সৌন্দর্যকে ধ্বংস করে দিতে যারা পাখি শিকার করে, পাখি হত্যা করে তাদেরকে আইনত দন্ডনীয় এ কাজটি থেকে নিজেকে অবশ্যই বিরত রাখতে হবে। নয়তো আমরা তাকে বা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।‘

Manual4 Ad Code

পাখির মাংসে স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাখি শিকারীরা যেসব বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রবাদি দিয়ে পাখিশিকার করে সেগুলো সেসব শিকারকৃত পাখির মাংস খাওয়াও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। ওই বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের বিষ পাখিটির শরীরে প্রবেশ করে। তখন মানবদেহ প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সুতরাং শখের বসে পাখির মাংস খেয়ে নিজের চরম বিপদ ডেকে আনা নিতান্তই বোকামী।

হাওর-বিল এলাকায় পরিযায়ী পাখিদের সংরক্ষণ এবং স্থানীয় পাখিশিকারীদের ধরতে পাখিপ্রেমী সচেতন এলাকাবাসী আন্তরিক সহযোগিতাটুকু প্রত্যাশা করেন বলে জানান এসিএফ জামিল মোহাম্মদ খান।

Manual8 Ad Code

 

 

হাওর এলাকায় পাখি শিকারের বিরুদ্ধে আয়োজিত উঠান বৈঠক। – ছবি ও ক্যাপশন : বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন

 

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code