সিন্দুরখান হাজী আব্দুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনে

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৫

সিন্দুরখান হাজী আব্দুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনে

Manual5 Ad Code

পারভেজ হাসান, বিশেষ প্রতিনিধি | শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), ১৪ অক্টোবর ২০২৫ : মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান হাজী আব্দুল গফুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকরা টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। সরকারি চাকরিজীবীদের সমপর্যায়ের ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার দাবিতে এই কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। প্ল্যাকার্ড হাতে তারা সরকারের প্রতি তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাচ্ছেন।

প্রধান শিক্ষক তমাল ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের কর্মবিরতি পালন করছি। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ন্যায্য দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু তা এখনো পূরণ হয়নি। আমরা যে পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা পাই, তা বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় পর্যাপ্ত নয়। এতে শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।”

তিনি আরও জানান, জেলার শিক্ষক নেতারা ও প্রতিনিধি দল বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন এবং কেন্দ্রীয় আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন। “আমাদের প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকও সেই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন,” যোগ করেন তমাল ভট্টাচার্য।

সহকারী সিনিয়র শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, “সরকারি চাকরিজীবীদের মতো আমরা একই কাজ করি, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা অনেক কম পাই। আমাদের দাবি খুবই যৌক্তিক— আমরা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা চাই। বর্তমানে আমরা মাত্র ১,০০০ টাকা পাই, যেখানে অন্যরা পান বেতনের ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত।”

Manual8 Ad Code

তিনি আরও বলেন, “চিকিৎসা ভাতায়ও বৈষম্য রয়েছে। সরকারি চাকরিজীবীরা পান ১,৫০০ টাকা, অথচ আমরা পাই মাত্র ৫০০ টাকা। উৎসব ভাতায়ও বৈষম্য আছে— অন্যরা পান পূর্ণ বেতনের সমপরিমাণ, আমরা পাই মাত্র ২৫ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে তা ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হলেও কর্মচারীদের বেতন স্কেল ৯,০০০ টাকা হলে সেটি ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।”

Manual6 Ad Code

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবো।”

কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সিনিয়র শিক্ষক মো. ফুল মিয়া, হালিমা খাতুন, আব্দুল বাছির হিফজুল, সন্তোষ মালাকার, মুন্নী দেব বর্মণ, রূপক চন্দ্র দাশ, সুস্মিতা শীল, লাভলী রাণী শর্মা, নিশিতা কুমার সরকার, হাসান তারেক ও ফাইম ফয়সাল।

Manual4 Ad Code

জেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, সারাদেশব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে যতদিন পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাতা সংক্রান্ত বৈষম্য দূর না করা হয়।

Manual7 Ad Code

এদিকে, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে দীর্ঘস্থায়ী কর্মবিরতিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তারা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code