সিলেট ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৫৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২০
|| ফজলুল বারী || সিডনি (অস্ট্রেলিয়া), ২৮ জুলাই ২০২০ : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ভোরবেলা তাহের দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের খবর পান। সকালে রেডিও খুলে জানতে পারেন সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।
নারায়নগঞ্জের বাসায় তাদের একটি পুরনো রেডিও’ই ছিল সম্বল। টেলিভিশন ছিলোনা। রেডিওতে বারবার বলা হচ্ছিল, খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একদল জুনিয়র অফিসার ক্ষমতা দখল করেছে।
সেই খুনের পর বাংলাদেশের রেডিওতে ধর্মীয় গান-হামদ-নাত প্রচারের চল শুরু করা হয়। খুনিরা এরমাধ্যমে ধারনা দেবার চেষ্টা করতো খুনের মাধ্যমে তারা দারুন একটা ধর্মীয় বা সওয়াবের কাজ করে ফেলেছে!
দেশের গান-মুক্তিযুদ্ধের গানও প্রচার করতো রেডিও। কিন্তু ‘শোন একটি মুজিবুরের থেকে’র মতো বঙ্গবন্ধুর নাম আছে এমন কোন গান প্রচার করা হতোনা। বাংলাদেশ বেতার ছিল রেডিও স্টেশনের নাম। সেটি পাল্টে পাকিস্তানি স্টাইলে হয়ে গেল রেডিও বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ গায়েব হয়ে চলে এল বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। বঙ্গবন্ধু হয়ে গেলেন ‘শেখ মুজিব’! তখন আরেকটি প্রচার ছিল, পাকিস্তান, চীন সহ অমুক অমুক দেশ নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পাকিস্তান তখন তাদের খুশির খবরে বাংলাদেশের জন্যে আর্থিক ও খাদ্য সাহায্যও ঘোষনা করে। রেডিওতে আরও ছিল মাওলানা ভাসানী, জেনারেল ওসমানী সহ অমুক অমুক নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন!
সেনাবাহিনী প্রধান সহ তিন বাহিনী প্রধানও নতুন সরকারকে সমর্থন ঘোষনা করেন! লুৎফার ভাষ্যঃ বঙ্গবন্ধু হত্যা কিছুতেই মানতে পারছিলেননা তাহের। এসবের রেশ ধরে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।
দেশে বিরাজ করছিল এক ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। চারদিকে শুধু গুজব আর গুজব! ৩ নভেম্বর এক পাল্টা ক্যুতে ক্ষমতা দখল করেন খালেদ মোশাররফ। জানা গেল জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশে থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাবার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের। ৩ নভেম্বরের আগ থেকে তাহের বেশ অসুস্থ বোধ করছিলেন। রাতের বেলা তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যেত।
এরই মাঝে দুশ্চিন্তায় তখন তিনি পায়চারী করছিলেন ঘরময়। তাঁর আবার পা একটা। নকল পা আর ক্র্যাচের ওপর ভর করে হাঁটেন। হাঁটলেই ঘরে ঠকঠক করে শব্দ হয়। তাহের তখন পরিবার নিয়ে নারায়নগঞ্জের হাজীগঞ্জের এক বাংলোয় সপরিবারে থাকেন।
পরিস্থিতি জানিয়ে তাঁকে ঘনঘন ফোন করছিলেন জাসদ নেতা সিরাজুল আলম খান আর হাসানুল হক ইনু। প্রতিমূহুর্তে পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি। দেশের সবার মনে তখন একটাই প্রশ্ন। এরপর কী হবে?
রাতের খাবার খেতে খেতে খবর শুনছিলেন তাহের পরিবার। রাতের বেলা তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসক মুজিবুর রহমানকে বাসায় ডাকা হয়। তিনি ওষুধ দিয়ে চলে গেলেন। ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে গেলেন তাহের।
ভোরের দিকে টেলিফোনের শব্দে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। লুৎফা তাহের ফোনের রিসিভার তাহেরের হাতে ধরিয়ে দেন। তিনি বুঝতে পারেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কথা হচ্ছে।
কিন্তু কথা শেষ হতে পারলোনা। ফোনের লাইন কেটে যায়। বোঝা গেলো কেউ লাইন কেটে দিয়েছে। ফোন রেখে তাহের লুৎফাকে বললেন জিয়া তাকে বাঁচাতে মুক্ত করতে অনুরোধ করেছে। তাদের আর ঘুমানো হলোনা।
সেদিনই সেনাবাহিনীর কিছু সিপাই, এনসিও, জেসিও তাদের নারায়নগঞ্জের বাসায় আসেন। তারা সেনানিবাসের বাস্তব নানান অবস্থা তাহেরকে জানান। তারা বলেন সেনানিবাসে চরম অস্থিরতা চলছে। সৈনিকরা কারও কমান্ড শুনছেনা।
এক ইউনিটের সদস্য আরেক ইউনিটকে সন্দেহ করছে। সৈনিকরা তাদের করনীয় সম্পর্কে তাহেরের পরামর্শ চায়। তাদের সবাই মুক্তিযোদ্ধা তাহেরকে চিনতেন জানতেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীতে তাঁর গঠনমূলক ভূমিকার কথা অবগত ছিলেন।
তাহেরকে লুৎফাকে ডেকে বললেন জরুরি কাজে তাকে ঢাকা যেতে হচ্ছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা তুললেন লুৎফা। তাহের বললেন, ভাববেনা। ওখানে জাসদের লোকজন আছে। তারা নিশ্চয় দরকার হলে ডাক্তারের ব্যবস্থা করবে।
মুক্তিযুদ্ধে যে সৈনিকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে তাদের মধ্যে এমন সন্দেহ অবিশ্বাসের খবর তাহেরকে ভাবিয়ে তুলে। তাহের ভাবেন ক্ষমতালিপ্সুরা বরাবর এই সৈনিকদের ব্যবহার করেছে। তাদের সঠিক পথ দেখাতে হবে।
সবার আগে দেশ আর সেনাবাহিনীর স্বার্থ। ভারত থেকে ফেরার পর এরমাঝে বেশ কয়েকবার তাহেরকে সিএমএইচে ভর্তি হতে হয়েছে। তখনতো আজকের মতো এম্বুলেন্স ছিলোনা। হাসপাতালে যাবার সময় গাড়ির পিছনে বিছানা করে দিতেন লুৎফা।
এদিনও তাই করে দিলেন। গ্যাস্ট্রিক-আলসারের ব্যথা বেদনা সমস্যা ছিল তাহেরের। এভাবে অসুস্থ শরীরে তার ঢাকা যাওয়া নিয়ে অস্বস্তি বোধ করেন লুৎফা। নারায়নগঞ্জে থেকে তিনি স্পষ্ট কোন খবরই পাচ্ছিলেননা।
তাহেরের ভাই বেলাল, বাহার, আনোয়ার এরা সবাই তখন ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের আবু ইউসুফের বাসায়। ইনি তাহেরের ইমিডিয়েট বড় ভাই। উদ্বিগ্ন লুৎফা তখন ঘনঘন ফোন পাশে গিয়ে বসে আর ভাবেন এই বুঝি রিং বেজে উঠবে।
সন্ধ্যার দিকে জাসদের কিছু লোকজন নারায়নগঞ্জের বাসায় আসেন। বিভিন্ন সময়ে তাহেরের সঙ্গে এটাসেটা পরামর্শের জন্যে তারা বাসায় আসতেন। কিন্তু আজ তাহের বাসায় নেই শুনে তারা এসেই চলে যান। তাদেরকেও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন মনে হলো।
৫ নভেম্বর রাত ৮ দিকে বেলাল ফোন করে লুৎফাকে জানান তাহের আজ রাতে নারায়নগঞ্জ ফিরবেননা। এখানে তাঁর জরুরি মিটিং আছে। অনেক লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। লুৎফা জানতে চান ওখানে এখন আর কে কে আছেন।
বেলাল বলেন ডাঃ আখলাকুর রহমান, সিরাজুল আলম খান, কাজী আরেফ, হাসানুল হক ইনু সহ জাসদ নেতৃবৃন্দ, গণবাহিনী, সৈনিক সংস্থার লোকজন আছেন। মিটিং চলছে। ৬ নভেম্বর সারাদিন ধরে মিটিং চলে।
লুৎফা বুঝতে পারেন কিছু একটা ঘটতে চলেছে। বারবার তিনি আনমনা হয়ে যাচ্ছিলেন। ভাবেন তিনিও যদি ওখানে থাকতেন তাঁর মন নিশ্চয় এমন বিক্ষিপ্ত থাকতোনা। বাচ্চাদের খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন লুৎফা।
কিন্তু তাঁর ঘুম আসেনি। শেষ রাতের দিকে হঠাৎ বেজে ওঠে টেলিফোন। ইতস্তত ভেবে রিসিভার তোলেন লুৎফা। ফোন করেছেন তাঁর এক আত্মীয়। ফোনে তিনি বললেন চারদিকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
লোকজন শ্লোগান দিচ্ছে তাহেরের নামে। সেই আত্মীয় জানতে চান এখানে তাহেরের নাম আসছে কেনো। সেতো এখন সেনাবাহিনীতে নেই। লুৎফা তাঁকে বলেন তিনি কিছুই আন্দাজ করতে পারছেননা।
তিনি জানেন তাহের অসুস্থ। ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় সে ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে। এ কথা বলে ফোন রেখে দেন লুৎফা। কিন্তু প্রশ্নবান থেকেতো তাঁর নিস্তার নেই। চারদিক থেকে নানা প্রশ্ন ধেয়ে আসছে। সবাই ভাবছেন লুৎফা সব জানেন।
কিন্তু তিনি যে কিছুই জানেননা, কোথায় কী ঘটছে এসব কেউ যে কিছুই তাঁর সঙ্গে শেয়ার করছেনা এসব কেউ বিশ্বাস করছেননা। ৭ নভেম্বর সকাল ৭ টায় রেডিও অফিস থেকে লুৎফাকে ফোন করেন তাহেরের ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল।
তাঁকে বলেন তাহেরের নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করেছে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা। তারা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে তাকে সেকেন্ড ফিল্ড আর্টিলারিতে নিয়ে এসেছে। বেলাল বলেন তাহেরের নির্দেশে কিছুক্ষনের মধ্যে জিয়া জাতির উদ্দেশে ভাষন দেবেন।
ভোর হতে লুৎফা দেখেন রাস্তায় ঢল নেমেছে জনতার। চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। গত কয়েকদিন যে ফিসফাস দমবদ্ধ অবস্থা চলছিল তা যেন কেটে গেছে। সবাই বলাবলি করছে রেস্টুরেন্টের মালিকরাও নাকি খুশিতে আম পাবলিককে ফ্রি খাওয়াচ্ছে!
লুৎফা ভাবেন এটিই বুঝি গণবিপ্লব! অথবা এর স্বরূপ! নতুবা রেস্টুরেন্টের মালিকদের কী স্বার্থ যে তারা মানুষকে এভাবে ফ্রি খাওয়াবে! নারায়নগঞ্জের বাসায় জাসদের লোকজন আসতে থাকে। তাদের খুব হাসিখুশি দেখায়।
লুৎফা ফোনে তাহেরকে বলেন এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে কেউ যাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে। বাসায় আসা লোকজনকে তাহের ফোনে শান্তি বজায় রাখতে বলেন। তাদের বলেন, শান্তিপূর্ন মিছিল বের করে সৈনিক জনতার অভ্যুত্থানের খবর পৌঁছে দিতে হবে।
তাহেরের সঙ্গে কথা বলতে পেরে তারা খুশি হয়ে চলে গেলেন। এরমাঝে সৈনিকরা বাসে-ট্রাকে-জিপে বিজয় উল্লাস করতে করতে তাহেরের বাসায় আসতে থাকেন। তারা লুৎফাকে অভিনন্দন জানাতে থাকেন।
লুৎফা তাদেরকে বলেন, আমিতো কিছু করি নাই, আমাকে অভিন্দন জানিয়ে কী হবে। আমিতো কিছু করি নাই। আপনারা সবাই মিলে যেটা করেছেন এতে করে মানুষের মাঝে উদ্বেগের অবসান হয়েছে।
এরজন্যে ধন্যবাদতো আপনাদের প্রাপ্য। এরমাঝে অনেকে বললো, আপনাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা দরকার। লুৎফা বিনীতভাবে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। সৈনিকরা তখন তাঁর কাছে তাদের ব্যক্তিগত পরিচয় দিতে শুরু করে।
এদের কাউকে কাউকে লুৎফা যুদ্ধের সময় দেখেছেন। কাউকে দেখেছেন যুদ্ধকালীন সময়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকার সময়। কাউকে কাউকে দেখেছেন সেনানিবাসে। তারাই আবার সবাই তাহেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ দেখে ভালো লাগে লুৎফার।
এরমাঝে তাদের কেউ কেউ বললেন, যার নেতৃত্বে আমরা বিপ্লবে অংশ নিয়েছি তিনি আমাদের সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আমরা কোনদিন বেঈমানি করবোনা। এই রাখেন আমাদের অস্ত্র। আমরা আমাদের অস্ত্র ছুঁয়ে শপথ নিচ্ছি।
লুৎফা ভাবেন একজন সৈনিকের কাছেতো একটি অস্ত্র আর তার পবিত্র শপথের চেয়ে বড় কিছু নেই। তারা তাহেরের সঙ্গে বেঈমানিও করেনি। তাদের অনেকের ভাগ্যও তাহেরের মতো হয়েছিল। ফাঁসিতে তাদেরকেও প্রান দিতে হয়েছিল।
ঢাকার প্রকৃত খবর জানার জন্যে অস্থির হয়েছিলেন লুৎফা। শুনলেন শহীদ মিনারের মিটিং হয়নি। কথা ছিল জিয়াকে সৈনিকরা কর্নেল তাহেরের ভাই আবু ইউসুফের এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় আসবেন। সেখান থেকে তারা যাবেন শহীদ মিনারে।
কিন্তু ততক্ষনে ‘নারায়ে তাকবির’ শ্লোগানের প্রতিবিপ্লবীরা ঘিরে ফেলেছে জিয়াকে। জিয়া যে তাদেরই লোক এটিও ক্রমশ খোলাসা হতে শুরু করে। সৈনিকরা তখন ১২ দফা দাবিনামা দিয়েছিলেন। ১২ দফা দাবি মেনে নেবার ঘোষনা দিয়েছিলেন জিয়া।
কিন্তু আদতে কিছু নেতাদের মুক্তি দেয়া ছাড়া আর কিছুই কার্যকর করেননি জিয়া। এরমাঝে তাহেরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন লুৎফা। এ নিয়ে তিনি নানান বন্ধু মহলের ফোন পাচ্ছিলেন। নভেম্বরের ৮, ৯, ১০, ১১ তারিখে নানান খবর তার কাছে আসছিল।
কিন্তু এসবের সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের কাউকে পাচ্ছিলেননা। ১২ নভেম্বর ঢাকায় গেলেন লুৎফা। গিয়ে দেখেন আবু ইউসুফের বাসায় তাহের মিটিঙে ব্যস্ত। লুৎফার খবর শুনে মিটিং থেকে উঠে এসে তাহের তাঁকে বলেন তিনি এখন অনেক ব্যস্ত আছেন।
পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। লুৎফা ফিরে আসেন নারায়নগঞ্জে। ১৭ তারিখে লুৎফা আবার ঢাকায় যান। তাহের তখন অবস্থান পাল্টেছেন। ভাই আবু ইউসুফের বাসা থেকে তাঁর এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে উঠেছেন। লুৎফাকে সে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তাহের তাকে দেখে হাসতে হাসতে বলেন এসব কাজ করতে গেলে এমন অনেক কিছু ঘটে। এতে উদ্বেগ-টেনশনের কী আছে। তাহের বলেন, আমার নির্দেশে এ পর্যন্ত নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু জিয়াকে এখন অন্যরকম মনে হচ্ছে।
কথা ছিল তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে যে কাউন্সিল হবে সেখানে দল হিসাবে জাসদকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। কিন্তু জিয়া সেখানে শুধু ব্যক্তি হিসাবে আমাকে অন্তর্ভূক্ত করতে চায়। কিন্তু আমিতো কোন ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশে বিপ্লবে জড়াইনি।
জিয়া আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কিন্তু আমাদের পথ সুনির্দিষ্ট। এখান থেকে বিচ্যুতির কোন সুযোগ নেই। সাত নভেম্বর কোন রক্তপাত ছাড়া আমরা যে পরিবর্তন আনতে চাইলাম তাতে বাগড়া দিলো জিয়া এবং তার সুহৃদরা। দেশে তারা একটি রক্তপাতের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D