গণস্বাস্থ্যের কিটের উপযোগিতা প্রমাণিত হলে অনুমতি পেতে পারে : ওয়ার্কার্স পার্টি

প্রকাশিত: ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২০

Manual3 Ad Code

ঢাকা, ২৮ এপ্রিল ২০২০: করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্যের তৈরি কিটের উপযোগিতা যদি প্রমাণিত হয়, তবে সরকার জনস্বার্থে তা প্রয়োগের অনুমতি দিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

Manual8 Ad Code

Workers Party of Bangladesh

Manual6 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে সরকার ও গণস্বাস্থ্য কতৃপক্ষ উভয়কে এটির বৈধ বৈজ্ঞানিক বিধি রক্ষার্থে যে ৭টি প্রতিষ্ঠান এর সাথে সংশ্লিষ্ট; তাদের যে কোন একটির মাধ্যমে ‘পিয়ার রিভিউ’ পরিক্ষার ব্যবস্থা করা। তাদের প্রত্যয়নে উল্লেখিত কিটটির উপযোগিতা যাচাই প্রমানিত হলে সরকার তা জনস্বার্থে প্রয়োগের অনুমতি দিতে পারে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এক সভায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে ধরেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।
রিপোর্টে বলা হয়, যে কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য বৈজ্ঞানিক সাবধানতা যেমন কাম্য, তেমনি কোন ধরণের জটিলতায় এমন সংকটের সময় তার বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা বন্ধ হোক এটা কাম্য নয়।
রিপোর্টে কারখানা মালিকদের কর্মকাণ্ডের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ২৫ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ’এফবিসিসিআই’ কর্তৃক চলমান সরকারি ছুটিতে কারখানা চালু করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গার্মেন্টস মালিকদের সমিতি তাদের কারখানা খোলার ঘোষণা দেয়। তাদের ঘোষণায় ২৬ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালানো এবং শুধুমাত্র ঢাকা ও কারখানার আশেপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে কালখানা চালানোর যে বিজ্ঞাপন তারা জারি করেছিলেন- তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।
ছাঁটাইয়ের ভয় দেখিয়ে দূরের শ্রমিকদের কাজে আসার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে রিপোর্টে বলা হয়, ’বিজিএমইএ’ কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলো, কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিক ছাড়া দূরদুরান্তে অবস্থিত শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার প্রয়োজন নেই। অথচ কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মোবাইলসহ নানা মাধ্যমে শ্রমিকদের কাজে যোগদানে নির্দেশ করেছেন এবং কাজে যোগ দিতে ব্যর্থ হলে মুজুরি কর্তন ও ছাঁটাইয়ের ভয় দেখিয়েছেন। ফলে গত ৪ এপ্রিলের ন্যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে যোগদানের উৎকণ্ঠা থেকে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তাতে সঙ্গনিরোধবিধি ভঙ্গ হওয়ার উপক্রম এবং করোনা সংক্রমণ বিস্তার হয়ে জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
রিপোর্টে চলমান সরকারি ছুটিতে কোন কারখানা লে-অফ, শ্রমিক ছাঁটাই না করার সরকারের যে ঘোষণা, তা নজরদারি করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও শ্রমিকদের মজুরি, বেতন দ্রুত পরিশোধ করে উদ্ভুত শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক ও কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানান ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর নেতারা।
আলোচনায় আরও অংশ নেন পলিটব্যুরো সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লা এমপি, আনিসুর রহমান মল্লিক, ড. সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, হাজী বশিরুল আলম , নজরুল ইসলাম হাক্কানী, নজরুল হক নীলু, নুর আহমেদ বকুল, কামরূল আহসান প্রমুখ।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি, বেতন দ্রুত পরিশোধ করে উদ্ভুত শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনের অাহবান সৈয়দ অামিরুজ্জামানের

শ্রমিকদের মজুরি, বেতন দ্রুত পরিশোধ করে উদ্ভুত শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক ও কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান।

Manual1 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code