সহিদ হোসেন ইকবাল : রাজনীতির এক কৃতিপুরুষ

প্রকাশিত: ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৪, ২০২০

মৃদুল কান্তি পাল মলয়, ০৪ মে ২০২০ : শ্রদ্ধেয় সহিদ হোসেন ইকবাল মহোদয়ের অন্তর্দৃষ্টি

আর অনুপম জীবনবোধ শব্দের স্বাতন্ত্র্যে সুবিন্যস্ত

সহিদ হোসেন ইকবাল

করা কিংবা যথাযথ অঙ্কন অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়।
কারন কবি – লেখকের সাহিতকর্ম কিংবা কোন
শিল্পকলার শিল্পমান ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা এক
বিষয় আর সহিদ হোসেন ইকবাল মহোদয়ের মতো সমকালিন একজন বিদগ্ধ রাজনীতিকের ব্যক্তিত্ব
জীবনদর্শন, রাজনৈতিক পথপরিক্রমার পূর্বাপরের পসরা সাজানো সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বিষয়।
অধিকন্তু আমি যেমন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট কেউ না
তেমন সমকালিন রাজনীতিও যেখানে গুটিকতেক
স্বার্থান্বেষী ও সুবিধাভোগীদের কারনে প্রশ্নবিদ্ধ।

এই মহোদয়ের সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন
পরিচয় অথবা আলাপচারীতা নেই। শুধু তাঁকে
দূর থেকে দেখি নমিতনেত্রে শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতার
অবগাহনে। আর অন্তঃকরণ দিয়ে অনুভব করি
একটি গ্রহ কিভাবে নক্ষত্রের হয়ে উঠতে পারে।
তাঁর সাদাসিধে জীবনচর্চায় মুগ্ধ ও ভাবিত হই।

তবে তাঁর অগ্রজ কয়েকজন পঁচাত্তর পরবর্তী
ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ এবং তৎকালীন সামরিক
শাসকের জেল-জুলুমের শিকার রাজনীতিক
সেইসাথে সমকালিন আওয়ামীলীগ রাজনীতির
দায়িত্বশীল ও পদস্থ কয়েকজনের সাথে একান্ত
আলাপনে জানা যায়, এক ঝঞ্জা-বিক্ষুব্ধ বৈরী
পরিবেশে জনাব সহিদ হোসেন ইকবাল বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন। অতঃপর নিজ মেধা, যোগ্যতা ও সততায়
তিনি নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত
করেছেন । তাঁর জীবনজিজ্ঞাসা, রাজনৈতিক
দর্শন, গণতান্ত্রিক অন্বেষা, প্রগতিশীল চিন্তাচেতনা, সেবাময় মনোদৃষ্টি আর পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা তাঁকে নিঃসন্দেহে অনন্যতা দান করেছে। তাঁর সাবেক ও
সমসাময়িক অনেক সহযোদ্ধারা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ও
সশ্রদ্ধ চিত্তে মতামত ব্যক্ত করে বলেন তাঁর তাবৎ গুণাবলী অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্তমূলক।
কোন চাওয়াপাওয়া বা রাজনৈতিক কলুষতা
তাঁর মানবিক শুভবোধকে কখনই স্পর্শ করতে
পারেনি। দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তিগত
কোন স্বার্থসাধনেও তিনি গরহাজির। তাঁর যেমন
রয়েছে অসাধারন নেতৃত্বগুণ, সাংগঠনিক দক্ষতা তেমন রয়েছে যে কোন সার্বজনীন মতামতকে
গুরুত্ব দেবার ও গ্রহণ করার ইতিবাচক মানসিকতা। তাইতো তিনি তৃণমূল সংলগ্ন নেতাকর্মীর নয়নের মণি, আশা ভরসার প্রতীক ও আস্থার স্থপতি। অন্যদিকে
তিনি নিজেও নিজ নেতৃত্বের প্রতি পরম শ্রদ্ধাশীল।
দল ও নেতৃত্বের যে কোন আদেশনির্দেশ পালনে
তিনি সদাসচেষ্ট ও সতত দৃঢ় প্রতীজ্ঞ। এ জন্যই
তাঁর সর্বজনীনতা সর্বজনবিদিত ও প্রশ্নাতীত।
একজন রাজনীতিকের রাজনৈতিক জীবনের
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি নিজেকে সার্বজনীন হিসেবে
প্রতিষ্ঠিত করা। আর এ ক্ষেত্রে তাঁর জীবন ও কর্ম
হীরকপ্রভ দ্যুতিমান। রাজনীতিতে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে সবাইকে আপণ করে নেবার তাঁর রয়েছে
প্রকৃতপ্রদত্ত আশ্চর্য সহজাত গুণ। তিনি বঙ্গবন্ধুর
আদর্শের সৈনিক হলেও অপরাপর বা প্রতিদ্বন্দ্বী
কোন দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অহেতুক বিষদোগার
করেন না। তবে কখনও কোন তাঁবেদার, তোষামোদি
এবং সুবিধাবাদী মানুষকেও আশ্রয় প্রশ্রয় দেন না।
নিজেকেও কোন গ্রুপিং বা বৃত্তের ঘেরাটোপে আবদ্ধ
রাখেন না। তাইতো তিনি সাম্প্রতিক ও সর্বশেষ
দলীয় কাউন্সিলে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পদের
সকলের সুচিন্তিত মতামত ও একান্ত ভালোবাসায়
শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ
সম্পাদকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাশালী
পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

এই জনবান্ধব ব্যক্তিত্ব ও সকলের নয়নের মণি
বক্ষব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের একটি
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চলমান সমস্যাসংকুল সংকটময় মুহুর্তে তাঁর
মতো সেবাময় মনোদৃষ্টির মানুষের অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতি কাটিয়ে উঠা কষ্টকর। এই দুর্যোগময় দুঃসময়ে তাঁর মতো মানুষের শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
এই মুহুর্তে গণমানুষের জন্য তিনি কতটা অনিবার্য আর অপরিহার্য তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

পরম করুণাময়ের কাছে তাঁর সার্বিক সুস্থতাসহ
দীর্ঘায়ু প্রার্থনা করছি। এই দরদীয়া যেন যথাশিঘ্রই
আমাদের মাঝে আর তাঁর পরিবাবের মাঝে ফিরে
এসে আবারও সকলের সুখদুঃখের সাথী হয়ে উঠেন।

সবাই তাঁর জন্য দোয়া – আশীর্বাদ করবেন।

মৃদুল কান্তি পাল মলয়
লেখক ও সংস্কৃতি কর্মী, শ্রীমঙ্গল
১৭ এপ্রিল ২০২০

গুরুত্ব বিবেচনায় লেখাটি অাজ প্রকাশ করা হলো। – সম্পাদক

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ