সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২০
রাহমান চৌধুরী, ০৬ মে ২০২০ : চল্লিশ দিন ধরে রান্না করতে হচ্ছে। মাত্র একটি দুপুরে খাবার এসেছে বন্ধুর বাসা থেকে। রান্না করতে গিয়ে হাত কেটে আর হাত পুড়িয়ে দু দুবার মিলিয়ে চার পাঁচদিন রান্না বন্ধ রাখতে হয়েছে। কারণ ক্ষত-হাতে পানি লাগানো যাবে না। নূডলস আর বিস্কুট-কফি খেয়ে কাটালাম তখন, সঙ্গে কিছু ফল। সুদূর আফতাব নগর থেকে ইশরাত শিউলি আমাকে তখন কয়েকদিন খাবার পাঠাতে চেয়েছিল। না করে দিলাম। শিউলি আফতাব নগরের প্রায় একশো দরিদ্র পরিবারের খাওয়া দাওয়া চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্নরকম ভাবে বিভিন্নজনের সহযোগিতা নিয়ে। সমগীত নামের একটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিউলি, প্রচুর পরিশ্রম করে চলেছে এই পরিবারগুলিকে সহযোগিতা করার জন্য। বিভিন্ন জন শিউলির আন্তরিকতায় খুশি হয়ে নিজেদের মতো সাহায্য করছে তার কাজে। সম্ভবত সবার জন্য সেখানে একসঙ্গে রান্না করা হয়। শিউলি বললো সেখান থেকেই আমার জন্য খাবার পাঠাবে। শিউলির আন্তরিকতায় আমি আপ্লুত তবু না করতেই হলো। কারণ যখন যানবাহন চলছে না তখন আফতাব নগর থেকে খাবার পাঠাবে কেউ বিজয়নগরে, সে খাবার খাওয়াটা হবে ভয়াবহ বিলাসিতা। ইশরাত শিউলি মন খারাপ করলো আমি না খেয়ে থাকবো বলে, তা সত্ত্বেও স্পষ্টই তাকে না করলাম খাবার পাঠাতে। না খেয়ে নেই যখন, তখন আর একজনকে এতটা কষ্ট দেয়ার মানে নেই। ভাত তরকারি না খাই কিছু না কিছু তো খাচ্ছি। ভাত তরকারি অামার চপ্রিয় খাবার, কখনো কখনো সেটাও খেতে ইচ্ছা করে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, রান্না যাই করি খেতে সুস্বাদু লাগছে না। খাওয়া দাওয়া বলতে ডাল ভাত সবজি ডিম। কখনো মুরগির মাংস। মাছ রান্না করতে পারি না। মাংস সবসময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। ভবনের নীচের নিরাপত্তা রক্ষীরা হাটবাজার করতে কিছুটা সাহায্য করেন।
কদিন ধরে কিছু খেতেই ভালো লাগছিল না। হঠাৎ মনে হলো শারমিন নাহার লাকিকে ফোন করি। রান্নার অনুষ্ঠান করতো বহুদিন, মোটামোটি সেকারণে ছোটখাটো টেলিভিশন তারকা সে। ভাবলাম শারমিন লাকিকে জিজ্ঞাসা করি কীভাবে রান্না করলে খাবারটা সুস্বাদু হবে। সম্পর্কে সে আমার বোন, সে সঙ্গে কিছুদিন শিক্ষক ছিলাম তার। লাকি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়তো, প্রায় সময়ে সঙ্কটে আমার কাছে চলে আসতো লেখাপড়ায় তাকে সাহায্য করার জন্য। সে কারণেই জিজ্ঞাসা করবার সুযোগ আছে তাকে ভাই হিসেবে। ফোন করলাম শারমিনকে রান্নার পরামর্শ নেবার জন্য। যখন রান্নার অনুষ্ঠান করতো সিদ্দিকা কবীরের সঙ্গে, সবসময় আমার সমালোচনা শুনেছে লাকি। বলতাম, “তোমরা যে কীসব আজেবাজে রান্না শেখাও, গ্রামে যাও সাধারণ মানুষের সাধারণ রান্না খেয়ে দেখো রান্না কাকে বলে। ক্লাশ নিয়ে রান্নার কখগঘ শেখানো যায়, প্রকৃত রান্না শেখানো যায় না। রাজধানীর সাধারণ মানুষরা, বড় বড় শহরের মানুষরা চমৎকার রান্না করেন যুগ যুগ ধরে তোমাদের এসব রান্নার অনুষ্ঠানের আগে থেকে।“ লাকি এসব নিয়ে তখন অবশ্য তর্ক করতো না। কিন্তু মনে মনে কষ্ট পেতো নিশ্চয় আমার সমালোচনায়। হাজার হাজার মানুষ যার ভক্ত, ভাই হয়ে তাকে পাত্তাই দিচ্ছি না। লাকি যে আমার খুব স্নেহের সেটা জানতো, কিন্তু তারকা খ্যাতির মূল্যটা পেতো না। বয়স তখন কম, নিশ্চয় প্রশংসা শুনতে ওর তখন ইচ্ছা করতো।
বিপদে আজ সেই লাকির শরনাপন্ন হলাম কিছু রান্না শিখবো বলে। লাকি প্রথমে খুব উৎসাহী হলো, ভাইকে কিছু নছিহত দেয়া যাবে ভেবে। কিন্তু খুব লাভ হলো না। লাকি একটু পরেই বললো, রাহমান ভাই যা যা আমি বলবো, দেখছি তা আপনি জানেন। বললাম মসুরের ডাল খেতে খেতে বিরক্ত। মুগ ডাল কীভাবে রান্না করবো? লাকি স্পষ্ট বললো, “রাহমান ভাই খিচুড়ি রান্না করলে মুগডাল ব্যবহার করি। না হলে খাই না। ঠিক বলতে পারবো না আপনাকে।“ লাকিকে এ কারণেই পছন্দ করি, কখনো আমার সঙ্গে চালাকি করবে না। মনে মনে ভাবলাম, রান্নার অনুষ্ঠানের তারকা মুগডাল রান্না সম্পর্কে কিছু বলতে পারলো না! কিন্তু আমার রান্নার সাহায্যকারী গ্রামের সেই মেয়েটা, নাহার অসম্ভব রকম ভালো মুগডাল রান্না করতো। দুভাবে সে রান্না করতো। যারা টেলিভিশনে রান্না শেখাচ্ছে সারাদেশের জনগণকে, আমাকে মুগডাল রান্না করাটা শেখাতে পারলো না। কী বিস্ময়কর! মনে হলো লাকি হচ্ছে মাত্র আমাদের সমাজের বড় বড় মানুষের সাধারণ একটা উদাহরণ। সকল মানুষের বিশ্বাসে যোগ্যতার যে জায়গাটা দখল করে আছে বড় বড় খ্যাতিমানরা, প্রায় সকলে সেখানে অযোগ্য। সম্ভবত কথাটা চার্চিল বলেছিলেন, সমাজে কতো অযোগ্য লোকরা মানুষকে নেতৃত্ব দেয়, মানুষ যদি সেটা জানতো তাহলে প্রতিদিনই একটা করে বিপ্লব হতো।
লাকি যেন হঠাৎ অতীত স্মরণ করে আমাকে বললো, “কাকে আমি কী শেখাচ্ছি! রাহমান ভাই, আপনি তো নিজেই খুব ভালো রান্না করেন। কতো আপনার রান্না খেয়েছি একসময়ে। ভুলেই তো গিয়েছিলাম প্রায়।“ বললাম, সেগুলি ছিল পোলাও মাংস ইত্যাদি যা প্রতিবেলায় খাওয়া যায় না। লাকি বললো, কিন্তু আপনি তো বেশ ভালো সবজি রান্না করেন। বললাম, সেরকম একটা বিশ্বাস আমার নিজেরও ছিল। কিন্তু এখন যা কিছু রান্না করি, খেতে একেবারেই ভালো লাগে না। লাকি হাহা করে হেসে দার্শনিকের মতো বললো, “রাহমান ভাই নিজের রান্না নিজের কখনো ভালো না। সবসময় দেখেছি, পরের হাতের রান্নাই ভালো লাগে। যদি আমার রান্না প্রতিদিন আমি খাই ভালো লাগে না, যদি আপনার রান্না প্রতিদিন আপনি খান ভালো লাগবে না। কিন্তু আপনার হাতের রান্না দেখবেন আমার ঠিকই ভালো লাগবে। আবার আমার হাতের খারাপ রান্নাও আপনার অনেক ভালো লাগবে।” লাকির সঙ্গে অনেকটা একমত হলাম। মনে মনে ভাবলাম, পরের অনেক কিছুই ভালো লাগে। পরের জমি সম্পত্তি দখল করতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গে আগেও লাকি আর আমি অবশ্য বহুবার একমত হয়েছিলাম যে, রান্নার অনুষ্ঠান একটা অনুষ্ঠান মাত্র। মা খালাদের যে রান্না আমরা খেয়ে বড় হয়েছি তার স্বাদ অনেক বেশি।
লাকির পর ফোন করলাম কলকাতায় আমার আর এক বন্ধু শ্রীলেখাকে। সে কখনো রান্নার অনুষ্ঠান করেনি কিন্তু চমৎকার রান্না করে কম তেল মশলা দিয়ে। কলকাতায় বেড়াতে গেলে যার বাড়িতে থাকতে চাই সুস্বাদু রান্না খাবার খেতে পাবো বলে। শ্রীলেখা যেটা যখন রান্না করে করে তখন সেটাই কেন যেন সুস্বাদু হয়। শ্রীলেখা খানিকটা গৃহীনি খানিকটা কর্মী। শ্রীলেখা আমাকে অল্প সময়ে কয়েকটা রান্নার পরামর্শ দিল। খুব কম মশলায় সাদা মুরগির মাংস, সবজি আর ডাল রান্না শেখালো। সেদিনই তার কথামতো ডাল রান্না করে খুব তৃপ্তি নিয়ে খেলাম। শ্রীলেখা রান্নার অনুষ্ঠানের তারকা নয়। টেলিভিশনে কখনো রান্না শেখায়নি। কিন্তু সংসার আর নিজের অন্য কাজ করতে করতে একবার এক সিনেমা পরিচালকের অনুরোধে ‘পরশুরামের কুঠার’ নামে একটা ছবিতে অভিনয় করে বসলো। সিনেমা পরিচালক নব্যেন্দু চ্যাটার্জি তিনিও আমার খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। শ্রীলেখা প্রথম ছবিতেই সারাভারতে সেবছরের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরষ্কার পেল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অভিনয়ের সঙ্গে সেভাবে থাকা হলো না। কারণ শুধু অভিনয়ের যোগ্যতা দিয়ে চলচ্চিত্রে একজন মেয়ের পক্ষে টিকে থাকাটা কঠিন। কারণ নানা অযোগ্যতাই অনেক সময় সেখানে যোগ্যতা। শ্রীলেখা এখনো নানাভাবে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত আছে, কিন্তু সেটা বেশির ভাগ জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে। কিন্তু শ্রীলেখার অভিনয়ের যে প্রতিভা ছিল তার প্রকাশ পুরোটা ঘটলো না ব্যবসায়িক সংস্কৃতির জগতে। কারণ শ্রীলেখা যে অভিনয়টি করেছিল, সেটা ছিল ভিন্নমাত্রার অভিনয়। গ্লামার সর্বস্ব অভিনয় নয়। শ্রীলেখা এবং তাঁর স্বামী ধূর্জটি এখন নিজের সামান্য সামর্থের মধ্যে দরিদ্র শিশুদের একটা আশ্রম চালায়, বহু বছর ধরে রাস্তার বেওয়ারিশ চল্লিশ পঞ্চাশটা কুকুরদের খাওয়ায়।
লাকির কথায় আবার ফিরে আসি। হঠাৎ মনে হলো, সে একবার দু হাজার সাত সালের দিকে আমার কাছে এসেছিল এ কথা বলার জন্য সে পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা বা গবেষণা করতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বা পড়াশুনা করার জন্য আমার সাহায্য চাইলো। বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়া মেয়ে হঠাৎ এতবছর পর পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়ন করতে চাইছে কেন? লাকি বলেছিল, রান্নার অনুষ্ঠান করে খুব তৃপ্ত নয় সে। সে মনে করে রান্নার অনুষ্ঠানে আসলে পুষ্টিকর খাবার কী সেটা শেখানো দরকার। কম পয়সায় সাধারণ মানুষ কী করে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে সেরকম একটা রান্নার অনুষ্ঠান করতে চায় সে; তার আগে এ ব্যাপারে খুব ভালোভাবে গবেষণা করার সুযোগ চায়। খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে সে আগে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে চায়। সেই প্রথম রান্নার অনুষ্ঠান নিয়ে লাকিকে মন খুলে আমি সমর্থন দেই। লাকির কথাটা আমার খুব ভালো লেগেছিল। বলেছিলাম, হ্যা, এবার তোমার যোগ্য জায়গাটা খুঁজে পেয়েছো। রান্নার অনুষ্ঠান আসলে তেমনটি হওয়া দরকার। কিন্তু লাকিকে পুষ্টি নিয়ে পড়াশুনা বা গবেষণা করার কাজে সাহায্য করতে পারলাম না। বাংলাদেশের বা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থার ধরন এমন যে লাকির জন্য কিছু করা যায়নি তখন।
লাকি নিজের পকেট থেকে সেজন্য অনেক টাকা খরচ করে হলেও পুষ্টিবিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের ছাত্রীকে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় দেবে পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করা বা উচ্চশিক্ষার সুযোগ? শিক্ষার ব্যাপারে শারমিন লাকির আন্তরিকতার সুযোগ এ রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থা দিতে পারেনি। যখন সে আন্তরিকভাবে পুষ্টি নিয়ে পড়তে চাইলো পারলো না। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের শিক্ষা হচ্ছে সনদ দেয়ার লক্ষ্যে। শিক্ষার্থীর যোগ্যতা বা আন্তরিকতা কোথায় সে ব্যাপারে তাদের উৎসাহ নেই। ফলে যোগ্য লোকরা যোগ্য জায়গায় যেতে পারছে না। লাকি তখন আর একটা কথা বলেছিল। বলেছিল, রান্নার অনুষ্ঠান করার সুবাদে তার মনে হয়েছে কিছু গরীব ছেলে মেয়েকে প্রতিদিন বিনেপয়সায় পুষ্টিকর খাবার দেয়ার একটা প্রকল্প হাতে নেয়া। কীভাবে তা দেয়া যায় সে নিয়ে চেষ্টা করে কিছুই করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট যাদেরকে বলেছিলো তারা কেউ রাজি হয়নি বা উৎসাহ দেখায়নি। কারণ লাকি নিজে তার উপার্জন থেকে সামান্য খরচ করতে চাইলেও অন্যান্য ধনীদের সমর্থন লাভ করেনি। নিজের সেই ব্যর্থতা আর দুঃখের কথা জানিয়েছিল তখন আমাকে।
বর্তমান ঘটরার প্রেক্ষিতে লাকির কথাটা খুব মনে পড়লো। দরিদ্র মানুষের ভিতরে খাদ্য বিতরণে বর্তমান সময়ে দেশের ধনীদের প্রতিক্রিয়া দেখলে লাকির কথার সত্যতা স্পষ্ট হয়। ইশরাত শিউলি খুব সাধারণ একজন মানুষ তিনশো মানুষের খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে, সেখানে দেশের বিত্তবান বা ধনীদের বেশিরভাগের ভূমিকাটা কী! ছোটবেলায় পড়েছিলাম, বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। যোগ্য মানুষরা যোগ্য হয়ে উঠতে চাইলে সমাজে বা রাষ্ট্রে তাদের স্থান কোথায়? কথা হলো, লাকি বহুকাল রান্নার অনুষ্ঠান করার সুযোগ পেল, কিন্তু সততা সত্ত্বেও সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবারের অনুষ্ঠান করতে পারলো না। শ্রীলেখা অভিনয় করার সেরকম সুযোগ পেল না কারণ ছবির গথবাঁধা গল্পগুলি ঠিক ওর অভিনয় করার উপযোগী ছিল না। ইশরাত শিউলি নামের যে মেয়েটা প্রতিদিন তিনশোর বেশি অসহায় মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছে, সে কখনো রাষ্ট্রের বড় দায়িত্বে ছিল না। কিন্তু বিপদের দিনে এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিল। শিউলি এখন সেখানকার তিনশো মানুষের মধ্যে যারা কর্মক্ষম তাদের নিয়ে চাষাবাদ আরম্ভ করেছে সেখানকার খালি পড়ে থাকা জমিগুলিতে যাতে সেখান থেকে মানুষগুলোর কিছু সংস্থান হয়। শিউলি একক প্রচেষ্টায় অবশ্যই অন্যের সহযোগিতা নিয়ে এই যে বিশাল দায় পালন করে চলেছে, কাল বিপদ কেটে গেলে সে কি রাষ্ট্রে তার যোগ্য জায়গাটা পাবে? যোগ্য মানুষের যোগ্য স্থান পাওয়াটা এখানে দুর্লভ। বহু মানুষ যোগ্যতা নিয়ে যোগ্য স্থান পাচ্ছে না, কিন্তু অযোগ্যরাই সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D