ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে পুনরায় রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলো সুন্দরবন

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২০

ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে পুনরায় রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলো সুন্দরবন

Manual6 Ad Code

খুলনা, ২২ মে ২০২০: ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে পুনরায় রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলো সুন্দরবন। বুধবার সন্ধ্যা থেকে সুপার সাইক্লোন আম্ফান দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তান্ডব চালাতে শুরু করলে তা প্রতিহত করে বাঁধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় ম্যানগ্রোভ বনটি যা আজ ভোর পর্যন্ত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

Manual8 Ad Code

সুপার সাইক্লোনটি বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝড়ো বাতাস, প্রচন্ডবৃষ্টি এবং ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সহ প্রথম আঘাত হানে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা এবং সুন্দরবনের উপর শক্তি প্রদর্শন করার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ কিঃমি প্রতি ঘন্টায় যা দমকা হাওযার আকারে সর্বোচ্চ ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে সুন্দরবন না থাকলে আম্ফানের ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন আরও অনেক বেশি হতো। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনটি উপকূলীয় অঞ্চলকে আম্ফানের হিংস্রতা থেকে রক্ষা করেছে।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন “সুন্দরবন আম্ফানের বিশাল ক্ষতি থেকে আমাদের রক্ষা করেছে। এই বন আমাদেরকে বরাবরই আম্ফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও এর প্রভাব থেকে রক্ষা করে চলেছে।”
তিনি বলেন, “ঘন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট হাওয়ায় সুন্দরবন একটি ঢাল হিসেবে কাজ করে। বাতাসের গতিকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়ার পাশাপাশি যখন ঝড় এর ভেতর দিয়ে যেতে থাকে তখন এই বন জলোচ্ছ্বাস এবং সমুদ্রের ঢেউ কে ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলে।”
এর আগেও ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে একই ধরনের দুটি ঝড়ে ঢাল হিসাবে কয়েক লাখ মানুষকে রক্ষা করে এই সুন্দরবন।

Manual6 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code