জামিল তোমায় মনেপড়ে (পর্ব-০১)

প্রকাশিত: ১:৩৮ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০

জামিল তোমায় মনেপড়ে (পর্ব-০১)

আব্দুল কুদ্দুস টেবলু, ০৩ মে ২০২০ : ১৯৮৮ স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, প্রতিদিন রাজনৈতিক কর্মসূচী।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজর তৎকালীন ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি শহীদ জামিল আখতার রতন।
খুব জনপ্রিয় ছাত্রনেতা, পশ্চিম অঞ্চলের উদীয়মান ছাত্রনেতা।
সে সময় রাজশাহীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রমৈত্রীর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ এটা তখন সাধারণ ব্যাপার ছিলো।
জিরো পয়েন্টে প্রতি মুহূর্তে বাতাসের সাথে বারুদের গন্ধ পাওয়া যেত, ছাত্রমৈত্রীর নেতৃত্বে চলতো গোটা রাজশাহী মহানগর, সে সময় ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ, বাসদ, ন্যাপ সহ সকল প্রগতিশীল সংগঠন গুলো এক কাতারে দাঁড়িয়ে গেছিলো।
৩১ মে সুন্দর পরিস্কার একটি সকাল, আমি বাসা থেকে বের হয়ে কোর্ট স্টেশনে ওয়ান মিনিট রেষ্টুরেন্টে বসেছিলাম আমরা কয়েকজন সহযোদ্ধা সাথী।
সে সময় মোবাইল ফোন ছিলোনা, হঠাৎ এক রিকসা চালক আমাদের বলে ভাই মেডিক্যালে আপনাদের একজন নেতাকে মেরে ফেলেছে ছাত্র শিবিরের লোকজন।
তখন বাজে সকাল ১১ঃ১০ মিঃ আমরা সাথে সাথে রিসকা নিয়ে মেডিক্যালের দিকে রওনা হলাম, এমারজেন্সি গেটে পৌঁছে দেখি শতশত নেতাকর্মী সবাই পাগলের মত এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে, কে কি করবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা, আমার কিছুটা মনে আছে, সে সময় জামিল ভাইয়ের পাশে যাদের দেখেছিলাম, আব্দুল হাকিম, মোহাম্মদ আলী, নাসিম সহ আরো অনেকে, আর জামিল ভাইয়ের জন্য যে ডাক্তার চিকিৎসা করছিলো প্রায় সকর ডাক্তার ছাত্রমৈত্রীর সাথে সমর্পিত ছিলো, কয়েক জনার নাম আমার মনে আছে, ডাঃ ওয়াজেদ, ডাঃ আলাউদ্দিন, ডাঃ রানা, ডাঃ শাহিন, এরা জামিল ভাইয়ের শেষ পর্যন্ত পাশে ছিলো।
এদিকে গোটা শহর ধরে শুরু হয়েছে শিবির ধরা আর মারা অভিযান, থমথমে পরিবেশ গোটা রাজশাহী।

চলবে,,,,,,

আব্দুল কুদ্দুস টেবলু
সভাপতি
২ নং ওয়ার্ড ওয়ার্কার্স পার্টি, রাজশাহী মহানগর