সিলেট ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০
ঢাকা, ২৭ জুন ২০২০: বাজেট ঘাটতি বাড়িয়ে হলেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বাড়তি বরাদ্দ রাখার উপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম ও একশন এইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় সরকারকে এ পরামর্শ দেন তিনি।
আতিউর বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে এবার বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানো হলেও এটা যথেষ্ট নয়। কারণ কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় আমাদের হাসপাতালগুলোতে সুযোগ-সুবিধা ব্যাপক হারে বাড়াতে হবে।”
স্বাস্থ্য খাতে পরিবর্তন না হলে অন্যসব অর্জন ম্লান হয়ে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের সব হাসপাতাল মিলে মাত্র বারোশ’র মতো আইসিইউ আছে। এটা অন্তত ৩ হাজারে উন্নীত করা উচিত।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে মানব সম্পদ উন্নয়নবান্ধব বাজেটের মাধ্যমে বৈষম্য ও দূরীকরণে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে পরামর্শ রাখেন এই অর্থনীতিবিদ।
তিনি বলেন, এসকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগামী বাজেটে ঘাটিত বাজেট বাড়িয়ে হলেও স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
সানেম গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশার সঞ্চালনায় ‘তরুণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন: প্রেক্ষাপট ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।
করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়ে আতিউর বলেন, দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তরুণদেরকে সারা দেশের জনগোষ্ঠীর সচেতনতা তৈরিতে যুক্ত করা যায়।
এক জরিপের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “এখনো দেশের মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক পড়ছে। এটা অন্তত ৭০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরুণদের কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা ভাবতে হবে।
“মানসম্পন্ন সচেতনতা তৈরিই মহামারী প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল উপায়। দেশের তরুণদের যুক্ত করেই মানসম্পন্ন সচেতনতা তৈরি করা যায়।”
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, তরুণদের এখন ভোকেশনাল শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ২০১৬ সালে ন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যাকশন প্ল্যানে যে সুপারিশ করা হয়েছিল সেটা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে একশন এইডের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ফারাহ কবির বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধের জন্য যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সেসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ওপরই সফলতা নির্ভর করছে।
“দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রযুক্তির যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের অন্তর্ভুক্ত করে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে সফল হলে উদ্যোক্তারা সুবিধা পাবেন।”
সায়েমা হক বিদিশা বলেন, এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব চলছে। এই বিপ্লব থেকে সুবিধা নিতে পারার মতো করে মানব সম্পদ তৈরি করতে হবে। এই শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে পারলে আগামীতে বেকারত্ব ঘুঁচবে। না হলে বেকারত্ব সমস্যায় থেকে যাবে।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D