ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার আরেক দাবি পূরণ হচ্ছে

প্রকাশিত: ১:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২০

ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার আরেক দাবি পূরণ হচ্ছে

Manual7 Ad Code

ঢাকা, ২৮ জুন ২০২০: করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে সরকার অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছে, অন্যদিকে ইন্টারনেটের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধিতা করে গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন বক্তৃতায় কলরেট ও ইন্টারনেট খরচ না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

Manual1 Ad Code

এর তৃতীয় দিনের মধ্যে শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ আগের জায়গায় রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নতুন করে বাড়তি কর কর্তন করা হবে না। ফলে মোবাইল ও ইন্টারনেট খরচ আগের জায়গায় বহাল থাকবে। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের ফলে এমপি ফজলে হোসেন বাদশার আরেকটি দাবি পূরণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতিতে ননএমপিও শিক্ষক- কর্মচারীদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সংসদে তোলা এমপি বাদশার প্রথম দাবিটি পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ২৩ জুন বাজেট অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়িয়ে তাদের ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোন দেওয়া যেত। উল্টো সারচার্জ বসিয়ে মোবাইল চার্জ, ডাটা, ইন্টারনেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। সৃষ্টি করা হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইড। এ দেশটা বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের জন্য করেছিলেন। বড়লোকদের জন্য নয়। অর্থমন্ত্রী যদি সেটা খেয়াল রাখতেন তাহলে খুশি হতাম। এই অতিরিক্ত করের বোঝা দরিদ্র মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়বে।

এছাড়া তা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথেও প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠবে। এর ফলে মোবাইল শিল্পখাত আরো দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই অবিলম্বে মোবাইল সেবার ওপর কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা প্রয়োজন বলে সংসদে জোরালো দাবি রাখেন সংসদ সদস্য বাদশা।

গত ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়। এরপর থেকেই মোবাইল অপারেটরগুলো এসএমএসের মাধ্যমে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর তথ্য গ্রাহকদের জানায় এবং তা কার্যকর করা শুরু করে দেয়। তবে সরকার সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় আগের মতোই থাকছে মোবাইল ও ইন্টারনেট খরচ।

প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার আগে একজন গ্রাহক মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ভ্যাট-ট্যাক্স হিসেবে সরকার পাচ্ছে ২২ টাকা ৭২ পয়সা। আর প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ বাড়ানোয় মোবাইলে কথা বলার খরচও বেড়ে যায়। অর্থাৎ ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ভ্যাট-ট্যাক্স বাবদ কেটে নেওয়া হয় ২৫ টাকা। এতে বেড়ে গেছে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ।

Manual4 Ad Code

সূত্র বলছে, দেশে করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। অনেকে কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরসহ ব্যবসায়ী মহল থেকেও বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হতে থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশ দেওয়ার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক আগের অবস্থানেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থবিল পাসের দিন এটি সংশোধন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

Manual8 Ad Code

এদিকে বর্তমান প্রেক্ষিতে জনমতের ভিত্তিতে মোবাইল সেবার ওপর থেকে বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।

মোবাইল সেবার ওপর থেকে বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপ প্রত্যাহারের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, অারপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ অামিরুজ্জামান। এর আগে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় কলরেট ও ইন্টারনেট খরচ না বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বিষয়টি উত্থাপন করায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ