রাবি শিক্ষার্থী সিফাত হত্যা মামলার নিম্ন আদালতের রায় বাতিল

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২০

রাবি শিক্ষার্থী সিফাত হত্যা মামলার নিম্ন আদালতের রায় বাতিল

Manual6 Ad Code

ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ৩ মাসের মধ্যে পুনরায় মামলাটির বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে এ সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করতে না পারলে বিচারিক আদালতকে আসামি আসিফের জামিন বিবেচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Manual2 Ad Code

রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। অন্যদিকে, বাদীপক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান শুনানি করেন। তবে শেষ সময়ে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এ মামলায় সিফাতের বাবা আমিনুল ইসলাম নিজেই মামলার শুনানি করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে সিফাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরদিন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমানের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিফাত আত্মহত্যা করেছেন। পরে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন জন চিকিৎসক।
দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ সিফাতের স্বামী আসিফ প্রিসলি, আসিফের বাবা মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জোবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
এ মামলায় নিম্ন আদালত ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে তার স্বামী মোহাম্মদ আসিফ প্রিসলিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
তবে আসিফের বাবা মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার নজলী ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান খালাস পান। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আপিল করেন আসিফ। অপরদিকে, আসিফের সাজা বৃদ্ধি ও তিন আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে বাদীপক্ষ। এরপর হাইকোর্ট উভয়পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলাটি পুনরায় বিচার করার জন্য বিচারিক আদালতে প্রেরণ করলেন।

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code