সিলেট ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
দিরাই (সুনামগঞ্জ), ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ : আজ কিংবদন্তী বাউল শিল্পী শাহ আবদুল করিমের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি ২০০৯ সালের এই দিনে। প্রতিবছর বাউল মহাজনের মৃত্যুবার্ষিকীতে ঝমকালো স্মরণ অনুষ্ঠানে বাউলের ভক্ত-অনুরাগীদের আগমন ঘটলেও এবার করোনার কারণে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে পারিবারিকভাবে ঘরোয়া আবহে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে বলে জানা গেছে।
সুনামগঞ্জের হাওরঘেরা জনপদ দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামে ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেন শাহ আবদুল করিম। ছোটবেলা থেকেই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বড় হন তিনি। সামাজিক নানা বৈষম্য ও গোঁড়ামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। পড়ালেখা সম্ভব হয়নি অভাবের কারণে। তবে গ্রামের নাইট স্কুলে কয়েকদিন পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। পরের বাড়িতে গরু চরিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর জীবন। এককালের রাখাল বালক পরে বাউল গানের রাজা হয়েছিলেন।
তাঁর গানে দেশাত্মবোধ ছিল চরম। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সনের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উদ্দীপনামূলক গান লিখে বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছেন। মৌলবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু উচ্চকিত ছিলেন এই শিল্পী। তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নির্বাচনী জনসভায় দেশের পক্ষে গান গেয়ে মানুষের সমর্থন আদায় করেছিলেন।
হাজারো কালজয়ী গান রচনা করেছিলেন শাহ আবদুল করিম। তাঁর রচিত আফতাব সংগীত প্রথম গীতিগ্রন্থ। ১৯৫৮ সনে সুনামগঞ্জের মুরশিদি প্রেস থেকে এটি বেরিয়েছিল। এছাড়াও কালনীর ঢেউ, ধলমেলা, ভাটির চিঠি তার উল্লেখযোগ্য গীতিগ্রন্থ। তিনি ২০০১ সনে একুশে পদকে ভূষিত হন।
শাহ আবদুল করিমের একমাত্র ছেলে বাউল শাহ নূরজালাল বলেন, বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিবছর দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে বাড়িতে জড়ো হতেন। গানের ভাষায় তারা প্রার্থনা করতেন। কিন্তু এবার করোনার কারণে কোনো অনুষ্টান হচ্ছে না। আমরা ঘরোয়াভাবেই অনুষ্ঠান পালন করব।
সম্পাদক : সৈয়দ আমিরুজ্জামান
ইমেইল : rpnewsbd@gmail.com
মোবাইল +8801716599589
৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।
© RP News 24.com 2013-2020
Design and developed by M-W-D