খেশ নিয়ে জাদুঘর হওয়া উচিৎ

প্রকাশিত: ২:০৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২০

খেশ নিয়ে জাদুঘর হওয়া উচিৎ

নিগার ফাতেমা || ঢাকা, ১৩ নভেম্বর ২০২০ : খেশ শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করছি ১ বছর আগে।একদম অচেনা একটি পন্য সকলের মাঝে নিয়ে আসতে পেরেছি। খেশ নিয়ে অনেক পোস্ট আছে এবং সেই তথ্য গুলো পুনরায় আবার সবাই লিখছে ।অনেকেই খেশ নিয়ে কাজ করার প্ল্যান করছে এবং সাহস করছে এই পণ্যটি নিয়ে কাজ করতে।একজন উদ্যোক্তার সফলতা এইখানেই। খেশ নিয়ে শুধু ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ালেই হবে না , ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং প্রচারের জন্য অনেক কাজ করতে হবে।

খেশের প্রচারের জন্য জাদুঘর হওয়া দরকার। জাদুঘরে মূলত ঐতিহ্যবাহী বিষয়গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য থাকে। যার ফলে মানুষ সে বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে। খেশের সাথে মিশে আছে কবি গুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। যদি খেশ নিয়ে জাদুঘর হয় তাহলে সেখানে খেশ কিভাবে তৈরি হলো, এর পেছেনের ইতিহাস, খেশ তৈরির লক্ষ্য, তাঁতিদের জীবন কাহিনী ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য থাকবে সেখানে। প্রথম দিকে খেশ দিয়ে তৈরি পণ্যগুলো কেমন ছিল এবং পরবর্তীতে কিভাবে এতে নতুনত্ব যোগ হলো এইসব বিষয় নিয়ে তথ্য থাকবে সেখানে ।

একজন ক্রেতা কিন্তু পণ্য ক্রয় করেনা সেবা ক্রয় করে এবং সেই সাথে পণ্যের সাথে মিশে থাকা তার আবেগ অনুভব করে। সেল পোস্ট দিয়ে কখনও সেল বাড়েনা। আমাদেরকে নিজেদের পণ্যের যাবতীয় তথ্য ক্রেতার সামনে তুলে ধরতে হবে। তারা যত পণ্য সম্পর্কে জানবে তত তা ক্রয় করতে আগ্রহী হবে এবং এভাবেই একটি পণ্যের চাহিদা বাড়বে সেইসাথে প্রচারও।

যদি খেশ নিয়ে জাদুঘর হয় তাহলে ঐতিহ্যবাহী এই পণ্য সম্পর্কে সবাই জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেব এবং সেই সাথে খেশ পণ্যের প্রচার সর্বত্র ছড়িয়ে পরবে।