টীকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২১

টীকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিশেষ প্রতিনিধি, গণভবন || ঢাকা, ০৪ মার্চ ২০২১ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে টিকা নেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালেই টিকা নিয়েছেন। এ সময় প্রধামন্ত্রীর পাশে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নেন শেখ রেহানা।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

করোনা মহামারিতে যখন সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত, তখন এর প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করতে নেমে পড়ে। সফলও হয়েছে কয়েকটি। এরমধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে কোভ্যাক্স, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং জনসনের টিকা অন্যতম।

এরমধ্যেই যাদের ভ্যাকসিন আগে আসবে, সেই ভ্যাকসিনটাই যে দ্রুত বাংলাদেশ পায়, সেজন্য সরকার অগ্রিম টাকা দিয়ে চুক্তি করে ফেলে। যার ফলশ্রুতিতে ৩ কোটি ডোজ করোনার টিকার জন্য গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর কথা। দেশে টিকার প্রথম চালান আসে ২৫ জানুয়ারি।

এর আগে উপহার হিসাবে বাংলাদেশে পাঠানো ভারত সরকারের ২০ লাখ টিকা পৌঁছায় ২১ তারিখ। এ টিকা পাওয়ার পর সরকার ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম টিকা প্রয়োগ শুরু করে। ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় গণটিকা কার্যক্রম। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলছে।

এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে টিকার দ্বিতীয় চালান ঢাকায় আসে। এই চালানে ২০ লাখ ডোজ আসে। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে বলা হয়েছে। সারা দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা দেওয়া শুরু হয়। সেই হিসাবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।

শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটায় করোনার টিকা নিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা সহ সাংবাদিকরা।
সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টিকা নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ভয়-ভীতির কোনো সুযোগ নাই। নিজেদের সুরক্ষার প্রয়োজনেই সবাইকে করোনার টিকা নিতে হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত মহামারি প্রতিরোধে অন্য অনেক উপজেলার তুলনায় শ্রীমঙ্গল এগিয়ে। জনগণকে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম যাতে না হয় সে দিকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।”