ধর্ম যখন সন্ত্রাসীর হাতিয়ার-২: ধর্ম-সমাজ ও শ্রেনীদর্শন (প্রথমপর্ব)

প্রকাশিত: ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২১

ধর্ম যখন সন্ত্রাসীর হাতিয়ার-২: ধর্ম-সমাজ ও শ্রেনীদর্শন (প্রথমপর্ব)

|| হাফিজ সরকার ||

০৮ এপ্রিল ২০২১: (পূর্বে প্রকাশের পরের অংশ)
এবং মানুষের মত চিন্তাশক্তি থাকত তবে তারা নিজেদের মত করে তাদের দেবতাদের আঁকত। স্বভাবতই তাদের দেবতাদের চেহারা হত নিজেদের গোষ্ঠীর আদলে। এইভাবেই ইথিওপিয়ানদের দেবতার নাক ভোঁতা, চুল কালো। থ্রাসিয়ান দেবতার চুল লাল ও চোখ বাদামী। এই ভাবেই সাঁওতালদের ঠাকুরের রঙ কালো।
হিন্দুদের কালী, দুর্গা বা অন্যান্য দেবতার মূর্তি ও কল্পনা করা হয়েছে নিজেদের মত করেই, ঠিক ঐ ইথিওপিয়ান বা থ্রাসিয়ানদের মত। মানব গোষ্ঠীগুলির আচার ব্যবহার তারতম্যের সঙ্গে সঙ্গে এই জন্যই সর্ববিশ্বব্যাপী ঈশ্বরেরও পরিবর্তন ঘটেছে গঠনে ও পুঁজার আচারে, বাঙালী হিন্দুরা দুর্গাদেবীকে শাড়ি পরায়, অসমে আবার শাড়ির বদলে মেখলা পোষাকে সজ্জিতা দেবী প্রতিমা তৈরি হয়।

ধর্মীয় বিশ্বাসঃ

দেবদেবীর এই কাল্পনিক মূর্তি রচনার বিভিন্ন স্তরভেদ ছিল। প্রথমে দেবদেবী কল্পিত হয়েছে শক্তিমান জন্তু জানোয়ারের মূর্তিতে (টেরিওমরফিক স্তর)। এই ভাবে গ্রীক দেবতা জীউস কল্পিত হয়েছে ঈগলরূপে। অটেমিসের মূর্তি ছিল হরিণের মত, আনুবিসের শৃগালের মত।
এর পর মানুষ দেব দেবীর মূর্তির উপর নিজের শারীরিক বৈশিষ্ট্য আরোপ করেছে। মিশরে তো বিড়াল, কুকুর, শিয়াল ইত্যাদি বহু জন্তু মূর্তিই দেব জ্ঞানে পূজিত হয়েছে। হিন্দুদের মধ্যেও হাতির মাথাওয়ালা গণেশ বা সরসরি দেবীজ্ঞানে পুজিতা হয় গাভী। বিভিন্ন দেবদেবীর পুজার সাথে বিভিন্ন “দেবীবাহন” এর পুজা উল্লেখযোগ্য। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা সংস্কৃতির মানুষই
এইভাবে ঈশ্বরের কল্পনা করেছে এবং এই কল্পনার উপরেই ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এককৃত্রিম বিভাগ, ধর্মের নামে। প্রতিটি ধর্মের তথাকথিত ঈশ্বর যেমন কাল্পনিক ও মনুষ্য সৃষ্ট, তেমনি ধর্মীয় নানা অনুশাসনের বিধিনিষেধ তৎকালীন যুগোপযোগী নৈতিকতা ও মনুষ্য সৃষ্টঅজ্ঞতা এবং অসহায়তা থেকেই তৈরি হয়েছে। এইভাবে ঈশ্বর বিশ্বাসের সৃষ্টি হলেও ঈশ্বর তথা ধর্মীয় বিশ্বাস পরবর্তীকালে নানা ভাবে মানুষের স্বার্থ মিটিয়েছে এবং প্রকৃতপক্ষে শ্রেণীবিভক্ত সমাজে ধর্ম সবসময়ই প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকা গ্রহণ করেছে। শোষিতরা হতাশ ও ব্যর্থ হয়ে আশ্রয় নিয়েছে ধর্মে আর শোষকরা ধর্মকে ব্যবহার করেছে শোষণের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে। সংস্কৃতির বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্মের এমনই বিভিন্নরূপ। ইংলণ্ডে ১৩৮১ সালের সামন্ত সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ইংরেজ কিষাণদের তাই বলতে শোনা যায় “খ্রীষ্টের অনুকৃতিতেই ঈশ্বর আমাদের সবাইকে গড়েছেন, তবু আমাদের সঙ্গে এমন পশুর মত ব্যবহার করা হয় কেন‍?” আবার সামন্ত প্রভু ও চার্চের সাহায্যে ধর্মীয় অনুশাসনেই এই বিদ্রোহ স্তব্ধ করা হয়। আমাদের ভারতবর্ষে ১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ, সন্ন্যাস বিদ্রোহও (১৭৬৩-৮০) ও তিতুমীরের বিদ্রোহের আওয়াজেও তাই গরীব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাস দেখা যায়।

ধর্মের নামেঃ

* দুঃখের বোঝায় জীবন যাদের ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছ, তাদের প্রবোধ দেওয়া হয় পারলৌকিক জীবনের নিরবিচ্ছিন্ন স্বর্গীয় সুখের ও জন্মান্তরের আশার বাণী শুনিয়ে।
বাস্তব জীবনের সমস্ত সুখ সাচ্ছন্দ্যে বঞ্চিত মানুষের সামনে তাই সমস্ত ধর্মের গুরুরাই প্রাচীন রীতিনীতির মহিমা ও ত্যাগের মাহাত্ম্য প্রচার করেন। মজার কথা হল, ভাবের রাজ্যতারা সর্বজীবে ব্রহ্মের স্থিতি প্রচার করছে, অথচ মানুষকে জঘন্যভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
বেদ, উপনিষদ শিক্ষার চর্চায় শুদ্রদের কোন অধিকার ছিল না। তারা কেউ তপস্যা করলে শিরচ্ছেদ হবে যেমন হয়েছে রামের হাতে শম্বুকের। শুদ্রের কানে বেদ মন্ত্র ঢুকলে সেই কানে গরম সীসে ঢালার আদেশ আছে মনুসংহিতায়। অথচ উচ্চ বর্ণের প্রয়োজনে শুদ্রদের নির্বিচারে কাজে লাগিয়েছে তারা। গুহক চণ্ডালের নৌকা করে রামচন্দ্র নদী পার হয়েছে। বেদব্যাস পিতা পরাশরের পৌরুষ বাধেনি, ধীবর কন্যা মৎসগতাকে দ্বীপে টেনে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করতে।
নীতি হিসাবে অহিংসা, আস্তেয় ও বৈরাগ্যের প্রচার করা হয়েছে, কিন্তু কার্যত হিংসা, দুর্নীতি ও ভোগবিলাসের চর্চাই চলেছে। বেদ ও ব্রাহ্মণ বিরোধী প্রচারকে উন্মত্তের মত ধ্বংস করা হয়েছে। এইভাবে চার্বাক দর্শনের সমস্ত পুঁথি বৈদিক ব্রাহ্মণেরা ধ্বংস করে দিয়েছিল। কি ছিল চার্বাকপন্থীদের দর্শনে‍? সরাসরি এ সম্পর্ক কোন পুঁথিপত্র না পাওয়া গেলেও সনাতন পন্থীদের
ব্যঙ্গ বিদ্রুপের থেকে যেটুকু জানা যায় তা হল, তাঁদের মতে মাটি, জল, আগুণ ও বায়ু এই চার ভূতের সম্মিলিত রাসায়নিক ক্রিয়ার এই জগৎ এর জীবনের উৎপত্তি। প্রাণ বা চেতনাকে তাঁরা সজীবতার অংশ বলে মনে করতেন। তাঁদের বিচারে তাই আত্মা বলে কিছু নেই। তাঁদের মতে জীবনান্তের সঙ্গে সঙ্গেই সব কিছুর অবসান। প্রাক্তন কর্মফল বলে কিছু নেই।
অর্থাৎ চার্বাকপন্থীরা আত্মা ও আকাশের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন অদৃশ্য বলে। ভবিতব্য, জন্মান্তরবাদ ও মোক্ষকে অস্বীকার করেছেন কল্পিত বলে। ঈশ্বরকে অস্বীকার করেছেন
অপ্রামান্য বলে। পূজা উপাসনা, ব্রত উপবাস ও শ্রাদ্ধ তর্পণ বর্জনীয় বলেছেন অনাবশ্যক বলে।
পূজা উপাসনা, ব্রত উপবাস ও শ্রাদ্ধ তর্পণ বর্জনীয় বলেছেন অনাবশ্যক বলে। অতএব মৈত্রায়ণী উপনিষদে বললেন, “তৈ সহন সংবংসেং” – এদের সঙ্গে বাস করা যাবে না। মনু নির্দেশ দিলেন এদের সাধু ও শিষ্ট সমাজ থেকে বহিস্কারের। বিষ্ণু পুরন এদের সঙ্গে বাক্যলাপ নিষিদ্ধ করেছে – “বাঙমাত্রেনানি নার্চয়েং”। মহাভারতের শান্তি পর্বে আছে, দেবতারা কিভাবে ব্রহ্মার কাছে চার্বাকের মৃত্যুৃ কথা জানতে চাইলেন।

ধর্মের বৈশিষ্ঠ্যঃ

* সমস্ত ধর্মই দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করা বাহ্যিক শক্তিগুলির মানব মনে প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই প্রতিফলনের প্রক্রিয়ায় জাগতিক শক্তিগুলি অতিপ্রাকৃত রূপ পায়। ইতিহাসের শুরুতে প্রাকৃতির নানা শক্তিই কেবল এভাবে প্রতিফলিত হত এবং ক্রমবিবর্তণের ফলে, বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীর মধ্যে, বহু বিচিত্র ধরণের ব্যক্তিত্ব এতে আরোপিত হয়েছে।
* কিন্তু খুব বেশি দিনের কথা নয়, প্রাকৃতিক শক্তিগুলির পাশাপাশি সামাজিক শক্তিগুলিও সক্রিয় হতে শুরু করল। এই শক্তিগুলি প্রাকৃতিক শক্তির মত একই ধরণের বৈরীতা, রহস্যময়তা, শক্তিমত্ততা নিয়ে মানুষেুর উপর আধিপত্য বিস্তার
করতে থাকল, যেন স্বাভাবিক ভাবেই।
* যে সব অদ্ভূত চরিত্রগুলি এতদিন শুধু রহস্যময় শক্তিগুলিরই প্রতিনিধিত্ব করত, এখন থেকে তারা সামাজিক রূপ পেল, ইতিহাসের শক্তি সমুহের প্রতিনিধিত্ব করতে লাগল।

অত্যাচারীর মুখোসঃ

* এইভাবেই অত্যাচারী চিরত্রহীন রাজারাও দেবজ্ঞানে পুজিত হতে লাগল। ধর্মীয় অনুশাসনে রাজদ্রোহিতা পাপ ও নরক বাসের যোগ্য বলে অভিহিত হল। অন্যদিকে পরম সম্মানিত পুজা দেব দেবীর চরিত্রর মধ্যেও প্রক্ষিপ্ত হতে থাকল এই রাজার মানবিক চরিত্র ও চরিত্রহীনতা।

* হিন্দুধর্মের দেবতাদের রাজা ইন্দ্র আর্য অনার্যদের সংগ্রামে প্রধান সেনাপতি। নগরের পর নগর ধ্বংস করেছিল বলে তার নাম পরু ন্দর। ইন্দ্র যে একজন সমর নায়ক, তা ঋক বেদের
দ্বিতীয় মণ্ডলের ১২/৪ সুক্তে এবং তৃতীয় মণ্ডলের ৩৪/১ সুক্তেই বোঝা যায়। যাইহোক, এই ইন্দ্র ছিলেন অত্যন্ত কামকু ও চরিত্রহীন। পাণ্ডুর স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের ফলে জন্ম হয় অর্জুনের, গৌতমের স্ত্রী অহল্যা কিংবা দেবশর্মার স্ত্রী রুচির মতো আরও বহুজনই তার লালসার শিকার। সে মদ্যপও বটে। সোমরস ছিল তার প্রিয় পানীয়। জন্মেই মাতা অদিতির স্তনে সে সোম দর্শন করে। পিতার তৃষ্ণার সোম রস জোর করে খেয়ে নেয়। নিজের লালসাসংযত করতে না পেরে সে ইন্দ্রাণীর সতীত্ব নষ্ট করে ও নিজের শ্বশুর পোলুমাকে মেরে ফেলে। দেবরাজ ইন্দ্রের এই ধরণের অজস্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যেন এক অত্যাচারী রাজারই প্রতিচ্ছবি – যে রাজাকে প্রজাদের কাছে গ্রহণীয় করে তোলার জন্য, এক কৌশলী প্রচেষ্টা এর মধ্যে স্পষ্ট। শাসকশ্রেণীর স্বার্থে তৈরি করা হয়েছে ধর্মীয় অনুশাসনকে। এইজন্যই ধার্মিক খ্রীষ্টানদের বলা হয়েছে “যদি তোমার ভাই, স্ত্রী, পুত্র বা কন্যা গোপনে অন্য দেবতার আরাধনা করে বা করতে বলে তবে তাকে পাথর ছুড়ে হত্যা কর”(Denteronomy, 13th Chapter)। ধার্মিক মুসলমানকে বলা হয়েছে “একহাতে তরবারি ও অন্যহাতে কোরাণ নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠা কর”।

* কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে, রাষ্ট্রবিপ্লব দমনে বা প্রজার উপর অতিরিক্ত কর চাপাতে সরাসরি ধর্মকে ব্যবহার করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে রাজাকে। প্রয়োজনে রাতের অন্ধকারে শিবলিঙ্গ স্থাপন করে তাকে স্বয়ম্ভু বলে প্রচার করার পরিকল্পনাও ছকে দেওয়া আছে।

* একসময় এই আরোপিত ধর্মান্ধতারই চূড়ান্ত রূপ ক্যাথালিক-প্রোটেষ্টান্ট বিরোধে। ঈশ্বরের মহিমাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে, ঐ সময় ধর্মীয় কারণে অসংখ্য মানুষকে প্রকাশ্যে, চার্চ ও রাষ্ট্রের মদতে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। একইভাবে অন্তধর্ম সংঘর্ষগুলিও ঘটেছে হিন্দুদের মধ্যে শৈব-বৈষ্ণব শক্তির বিরোধ; মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নী লড়াইতে; বৌদ্ধদের মধ্যে হীনযান মহাযান সংগ্রামে। আর ধর্মে ধর্মে সংঘর্ষের কথা তো যত কম বলা যায় ততই ভাল। আজও তার মাসুল দিচ্ছেন অযোধ্যা, সারাজোভা-বসনিয়া, প্যালেস্টাইন ও আরও অসংখ্য স্থানের নির্যাতিত মানবগোষ্ঠীগুলি।

আত্মসর্বস্বতাঃ

* একটু নজর দিলেই আমরা দেখতে পাব বেদ, উপনিষদের ছত্রে ছত্রে আছে জাগতিক চাহিদা পূরণের আকুল প্রার্থণা। ঋক বেদের দশ সহস্রাধিক মন্ত্রের মধ্যে আনুমানিক একদশমাংশে
কেবলমাত্র “আমাকে অর্থ দাও”, “গোধন দাও”, “অশ্ব দাও” এইসব মন্ত্র রয়েছে।

* বৃহদারণ্যক উপনিষদের চতুর্থ ব্রাহ্মণে, এত অশ্লীল শ্লোক আছে যা সাহিত্য বা নৈতিকতা সমস্ত কিছুকেই অত্যন্ত হীন করে তুলেছে। চিরন্তনতার অচলায়তন যে কত ভ্রান্ত, তা সহজেই
বোঝা যায়। যে গোমাংস ভক্ষণ আজ হিন্দুদের ধর্মান্তরিতকরণের সমান সেই গাভী, অশ্ব, মহিষের মাংস ভক্ষণের কথা ঋক দেবের বহু ছত্রে বর্তমান। ঋক দেবের প্রথম মণ্ডলের ১৬২/১১ সুক্তে অশ্ব মাংস ভক্ষণের উল্লেখ আছে। ষষ্ঠ মণ্ডলে ১৭/১১ ঋকে ইন্দ্রের জন্য শত মহিষপাকের উল্লেখ আছে। এমন কি বর্তমানে যে কুক্কুট বা মুরগী হিন্দুদের কাছে অচ্ছুৎ, শ্রী শ্রীচণ্ডীর বর্ণনাতে দেখা যায় দেবী সেই কুক্কুট পরিবৃতা “ময়ূর কুক্কুট বতেৃ মহাশক্তি ধরে হন যে”।
* মানুষের কল্পলোকে জন্ম নেওয়া ঈশ্বর এক সময় তার সৃষ্টিকর্তা মানুষের কল্পলোককেই বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সৃষ্টি করেছে অন্ধ অনুগত, মেরুদণ্ডহীন, যুক্তিবোধহীন অসংখ্য
সরল বিশ্বাসী ভক্তের। নিজের ভবিতব্য নিজে নিয়ন্ত্রণ করার পরিবর্তে অসহায়ভাবে মানুষ আত্মসমর্পণ করেছে অলৌকিক, অতি প্রাকৃতিক এক সর্বশক্তিমানের কাছে, যা একান্তই অস্তিত্বহীন। (চলবে)
সংগ্রহ ও সম্পাদনাঃ
হাফিজ সরকার

তথ্যসূত্রঃ
অমর ভট্টাচার্য