বিধবার শাড়ী–

প্রকাশিত: ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ, মে ৭, ২০২১

বিধবার শাড়ী–

।। || লিনু হক ||।।

মেয়ে মানুষ বিধবা হয় —ছেলে মানুষ বিধবা হয় কি?
যেদিন বন্ধু বিধবা হয়েছিলো—সেদিন দেখেছিলাম বিধবার ঘরে নতুন শাড়ি।জেনেছিলাম সমাজের রীতি।আজ থেকে বিধবার কোন রঙ নেই, কোন রঙিন স্বপ্ন নেই,তাঁর স্বপ্ন জীবন সাথীর সাথে কবর স্থানে।
কিশোর বেলায়, শরৎচন্দ্রের বইতে, গল্প নাটকে দেখেছিলাম বিধবার সাদা শাড়ী।

বন্ধু বিধবা হবার পর, খেয়াল কোরেছি, আত্মীয় স্বজন বিধবা হলে, মা শাড়ী পাঠাতেন।তবে একেবারে সাদা শাড়ী নয়, সাদা শাড়ীতে রঙ্গিন কাজ। আমাকে দিয়ে নয়,আমাদের সব চাইতে ছোট বোনটিকে দিয়ে — সে মায়ের আদেশ পালন করতো।আমি কখন কোন বিধবাকে শাড়ী পাঠাইনি। দাদা যখন অনন্তলোকে– ভাবীর জন্য শাড়ী নিয়ে গিয়েছিলাম,জীবন সঙ্গীর বিরোধীতা সত্বেও, পাছে ভাবী যদি ভাবেন, দাদা নেই, তাঁকে সম্মান জানাচ্ছি না।ভাবীর সন্তান ভাবীর জন্য শাড়ী নিয়ে এসেছে,আমি একমাএ চাচী, আমার কি কোন দায়বদ্ধতা নেই সমাজ সংসার এর প্রতি। না ভাবী অখুশি হয়নি।
মা অনন্ত অসীমে — আমার জন্য, মায়ের আশীর্বাদ–বিধবার শাড়ী, নিয়ে এসেছিলো, আমার সেই ছোট বোনটি।

সুরা বাকারায় ২৩৪ তম আয়াত– আল্লাহ নির্দেশ কোরেছেন–যে সমস্ত মেয়েদের স্বামী মারা যায়, তাঁরা যেন চার মাস দশদিন নিজেকে বিরত রাখেন।
হাদিস বলে—বিধবা শোক পালন কোরবে — যে বাড়ী থেকে স্বামী তাঁকে ছেড়ে যাবে- সে বাড়ীতে সে চারমাস দশদিন অবস্থান করবে।প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হবে না।সুন্দর সাজ পোশাক, গহনা,পরিধান করবে না, চোখে সুরমা কাজল আঁকবে না।সধবার বেশ চলে যাবে বিধবার কাছে — অতঃপর চার মাস দশদিন পর সে মুক্ত।

স্ত্রী মারা গেলে স্বামীর কি কিছু করনীয় নেই? না — নেই। স্বামী স্ত্রী কে সম্মান কোরে শোক করতে পারেন,দোয়া কোরতে পারেন ইত্যাদি ইত্যাদি।