ময়মনসিংহের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কৃষিখাত

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২১

ময়মনসিংহের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কৃষিখাত

আরিফা খাতুন | ময়মনসিংহ, ৩০ মে ২০২১ : ময়মনসিংহের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে কৃষিখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা বাঙ্গালী, আমরা খাবারের বেলায় শতভাগ দেশী খাবার খুঁজি। কারন দেশী,খাবারের সাথে অন্য কোনো খাবারের তুলনা করা চলে না। স্বাদে, গুণে মানে সেরা কৃষি পণ্য হলো আমাদের দেশের কৃষি পণ্য।

ময়মনসিংহে ধান, পাট, লেবু, ছোট আলু, বাদাম, কচু, উন্নত জাতের বেগুন, তরমুজ সহ আরো অনেক ধরনের কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়।ধান হলো এই বিভাগের প্রধান কৃষি পণ্য। আমাদের দেশে চালের চাহিদা অনেক বেশী। প্রতিবছর সরকার অনেক ধরনের চাল আমদানি করে আমাদের দেশের মানুষের জন্য।

আমাদের দেশের যেসব জেলায় ধান চাষ হয় সেসব এলাকায় সরকার অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছে যাতে কৃষি কাজে কৃষকরা আগ্রহী হয়। কৃষকদের চাষাবাদে আগ্রহী করতে হলে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষিত উদ্যোক্তা ও সমাজের এলিট-শ্রেণীর লোকদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটতে পারে।

ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলায় প্রচুর ধানের ফলন হতে পারে এবং বছরে ৩ বার ধানের ফলন ওঠতে পারে।কৃষকরা যদি উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদন করতে পারে এবং উদ্যোক্তার যদি তাদের সাথে মিলে চালকে ই-কমার্সের আওতায় নিয়ে আসতে পারে তাহলে দেশের চালের চাহিদা অনেকাংশেই পূরণ করা সম্ভব।

ধান থেকে কুড়া হয় সেই কুড়া দিয়ে রাইসবার্ন ওয়েলও তৈরি হতে পারে। এদিকেও তাহলে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে।
ফলে বেকার সমস্যা যেমন কমবে, তেমনি সরকারের চালের আমদানিতে ব্যয় কমে যেতে পারে। আবার চালের চাহিদা ও ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকরা ধানচাষে আগ্রহী হবে।
ময়মনসিংহের উদ্যোক্তারা এদিকে কাজ করলে ময়মনসিংহের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে খুব সহজেই নিজের অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবে।