‘করোনাকালে মানুষের পাশে’ -স্লোগানে ‘শহীদ রাসেল ব্রিগেড’-এর যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: ১১:১০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২১

‘করোনাকালে মানুষের পাশে’ -স্লোগানে ‘শহীদ রাসেল ব্রিগেড’-এর যাত্রা শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি | ঢাকা, ০৯ জুলাই ২০২১ : ‘গত দেড় বছর যাবত করোনা অতিমারী সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপরিসীম দায়িত্বহীনতা, অদুরদর্শিতা, পরিকল্পনাহীনতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে ব্যাপকহারে জীবনহানি হচ্ছে। এজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে যোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করা দরকার। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে আশা রাখি।’ আজ শুক্রবার (৯ জুলাই ২০২১) সকাল ১১টায় শহীদ রাসেল বিগ্রেড-এর স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টর সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি অনুষ্ঠানে এমন অভিমত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে পার্টির তোপখানা রোডস্থ কার্যালয় চত্বরে উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ রাসেল বিগ্রেড-এর স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নগর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায় ও শহীদ রাসেল ব্রিগেডের প্রধান সমন্বয়ক কমরেড সাদাকাত হোসেন খান বাবুল প্রমুখ।
এসময় কমরেড বাদশা বলেন, ‘করোনা এখন কেবলমাত্র নগরের অতিমারী নয়, বর্তমানে গ্রামের মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের একদিকে দরিদ্রতা, অন্যদিকে চিকিৎসার অপ্রতুলতা। উপজেলা হাসপাতালে করোনার সুচিকিৎসা না থাকায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে গ্রামাঞ্চল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তহীনতা, অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও দুর্ণীতির রেকর্ড নিয়ে সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে। তারপরেও সমস্ত হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহের দাবি করছি। অবিলম্বে গ্রাম-শহরে গণটিকা প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে এবং জীবন, জীবিকার জন্য টিকা ও সরকারী সহায়তা দানের কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সংকটময় মূহুর্তে শহীদ রাসেল ব্রিগেড “করোনাকালে মানুষের পাশে” দাড়ানোর শপথ নিয়ে জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এটাকেও সংগ্রামী দায়িত্ব বলে মনে করে। পার্টির প্রতিটি কর্মীকে সাধ্যানুযায়ী নিজ উদ্যোগে করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষার্থে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করাসহ রোগাক্রান্ত মানুষকে সর্বাত্মক সহায়তা দানের আহবান জানাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন বলেন, ‘রোম যখন পুড়ে, নিরো তখন বাঁশি বাজায়’ দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কার্যক্রম দেখে তাই মনে হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার উচিত যোগ্যব্যক্তির নিকট দায়িত্ব অর্পণ করা। কারণ উনি ইতোমধ্যেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও লক্ষ লক্ষ মানুষের সংক্রমনজনিত ভোগান্তির জন্য দায়ী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ টিকা সংকটে পড়েছে।’
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ রাসেল ব্রিগেডের স্বেচ্ছাসেবকগণ ঢাকা-৮ আসনের তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন, বিজয় নগর, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সংলগ্ন এলাকা, সেগুনবাগিচা হাই স্কুল প্রভৃতি এলাকায় জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান ও মাস্ক বিতরণ করেন।

করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষার্থে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করাসহ রোগাক্রান্ত মানুষকে সর্বাত্মক সহায়তা দানের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “চীন ও রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়াসহ জরুরি ভিত্তিতে ১৮ বছর বয়সসীমার উর্দ্ধে জনগণের সকল অংশকে ভ্যাকসিন প্রদানের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”