আগুনে পোড়া সেজান জুস কারখানা পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১

আগুনে পোড়া সেজান জুস কারখানা পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল

Manual5 Ad Code

ঢাকা, ১১ জুলাই ২০২১ : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে পোড়া সেজান জুস কারখানা পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।

আজ রোববার (১১ জুলাই ২০২১) দুপুরে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পরে তারা নিহত ও আহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং কারখানাটি ঘুরে দেখেন।
এসময় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক বাদল, নারায়ণগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, শ্রমিকদের প্রাণহানি মেনে নেওয়া যায় না। কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না। কেউ অনিয়ম করলে আমরা তার শাস্তি চাই। সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে নিহত ও আহতদের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। এঘটনায় তিনি খুব দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি আহত শ্রমিকদের সু চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
নারায়নগঞ্জ থেকে বাসাস সংবাদদাতা জানিয়েছেন রোববার দুপুরে আগুনে পোড়া সেজান জুস কারখানা পরিদর্শন করেছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন শেষে মির্জা আজম বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গাফেলতি তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করা হবে। এরকম অগ্নিকান্ড যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এ জন্য প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনার জন্য মালিকপক্ষের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা যেমন কলকারখানা অধিদপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, রাজউকসহ যাদেরই এ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে গাফেলতি রয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে তা চিহ্নিত করে তাদের সকলের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

Manual5 Ad Code

রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, আরপি নিউজের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান বলেন, “নিহত প্রতি শ্রমিক পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও বেঁচে থাকার ক্ষতিপূরণ, সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ, ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি প্রদান সহ প্রতিটি শিল্প কারখানায় বিল্ডিং কোর্ট এবং কারখানা আইন মেনে চলছে কিনা তা পরিবিক্ষণ করতে হবে।”

Manual6 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

 


Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code